www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট ‘শৈলপ্রপাত’

প্রাকৃতিক ঝর্ণার সৌন্দর্য দেখতে চাইলে বর্ষা মৌসুম হচ্ছে সবচেয়ে উত্তম সময়। এ ছাড়া আপনি যখনই বান্দরবান শহর থেকে রুমা সড়কের দিকে যাবেন তখন অবশ্যই ‘শৈলপ্রপাত’ দেখে আসতে ভুলবেন না। কারণ শৈলপ্রপাতে সৌন্দর্য একেক মৌসুমে একেক রকম থাকে। বান্দরবান শহর থেকে বান্দরবান-রুমা সড়কের ৮ কিলোমিটার পয়েন্টে প্রাকৃতিক ঝর্ণা শৈলপ্রপাত অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ সৃষ্টি। ঝর্ণার হিমশীতল পানি এখানে সর্বদা বহমান। শৈলপ্রপাত বান্দরবানের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটের একটি। পাহাড়ের পাদদেশে ঝর্ণার পাশে পিকনিক করার উপযোগী পরিবেশ রয়েছে। পাহাড়, ঝর্ণা এবং গ্রামীণ জীবনযাত্রা এসব কিছুই আপনি একসাথে দেখতে পাবেন শৈলপ্রপাতে।
শৈলপ্রপাত গেলেই চোখে পড়বে বম উপজাতীয়দের জীবনধারা। তাদের হাতে বোনা চাদর, মাফলার, বেডশিটসহ বেত ও বাঁশের তৈরি বিভিন্ন আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র সহনীয় মূল্যে পাওয়া যায়। বম নারী-পুরুষেরা শৈলপ্রপাতকে ঘিরে এসব জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে। রাস্তার পাশে শৈলপ্রপাতের অবস্থান হওয়ায় এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত থাকে। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পরিচালনায় শৈলপ্রপাতে নির্মাণ করা হয়েছে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় বিভিন্ন স্থাপনা।
বমদের উৎপাদিত মৌসুমী ফলমূল এখানে সবসময় পাওয়া যায়। শৈলপ্রপাতের আশপাশেই আরো দেখতে পাবেন বিভিন্ন রকম পাহাড়ি ফলের দোকান। এ ফলগুলোর স্বাদ অসাধারণ। সবচেয়ে মজা পাবেন উপজাতিদের আনারস কেটে বিক্রি করার ধরন দেখে। এমনভাবে আনারস কেটে দেবে যে আপনাকে খাওয়ার জন্য আলাদা প্লেটের প্রয়োজন হবে না। আনারসের ডাটা হাতে রেখেই গোটা আনারস খেয়ে ফেলতে পারবেন। যদিও শৈলপ্রপাতকে উদ্দেশে করে আলাদা ভাবে এখানে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কারণ আপনি যখন চিম্বুক বা নীলগিরি যাবেন, পথেই শৈলপ্রপাত পড়বে। কাজেই ভাড়া করা গাড়ি রাস্তার পাশে থামিয়েই বেড়াতে পারেন।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৫৫৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৯/০৩/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast