তার দেখানো পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য তাঁর প্রদর্শিত পথ ও আদর্শ আজও আমাদের কাছে আলোকবর্তিকাস্বরূপ। সেই আলোকবর্তিকা অনির্বাণ। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসের কিংবদন্তির মহানায়ক। এ মহানায়কের মহামন্ত্রেই গড়ে উঠছে স্বপ্নের বাংলাদেশ। যত দিন বাংলা ভাষা, বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন বঙ্গবন্ধুও থাকবেন। একটি স্বাধীন, সার্বভৌম আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বস্তরের মানুষকে সমন্বিত করে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতায় চারটি মূল নীতিকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন তিনি। বিভিন্ন মত, পথ ও নির্দেশনায় দ্বিধাবিভক্ত জাতি বঙ্গবন্ধু কখনো প্রত্যাশা করেননি। তিনি চেয়েছিলেন বাঙালি জাতিসত্তার অভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী সবাইকে নিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে। এ জন্য বঙ্গবন্ধুর সংজ্ঞায় গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দগুলো পৃথক সত্তায় বিরাজ করে না। বরং এসবই একই মোহনায় বিরাজিত অভিন্নার্থক শব্দবন্ধ। তিনি সেই গণতন্ত্র চেয়েছিলেন, যা সাধারণ মানুষের কল্যাণ সাধন করে থাকে। সেই প্রকৃত গণতান্ত্রিক অধিকারকে নিশ্চিত করার জন্যই ১৯৭২ সালের সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজব্যবস্থার স্বপ্নে বিভোর হয়েই সব সময় আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়। বঙ্গবন্ধু আইন করে কোনো ধর্মকেই বন্ধ করতে চাননি। বরং তিনি চেয়েছিলেন একটি ধর্মীয় সম্প্রীতি। প্রত্যেকেই প্রত্যেকের ধর্ম পালন করবে এবং এ নিয়ে কারো সঙ্গে কারোরই কোনো বিভেদ বা হানাহানি থাকবে না, এই ছিল মূল কথা। আমাদের দেশ শিল্পে ততটা উন্নত নয়। ‘কৃষিই জাতির মেরুদণ্ড’ এজাতীয় উক্তি এখনো আমাদের দেশে প্রযোজ্য। বঙ্গবন্ধু বিষয়টি উপলব্ধি করে আমাদের কৃষিব্যবস্থায় গতি সঞ্চার করেন। সব কৃষক যাতে জমি পায় সে জন্য বঙ্গবন্ধু ভূমি সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তিনি কৃষিতে ভর্তুকি প্রথা চালু করেছিলেন। তাঁর সব কর্মসূচির মূলে একটি সত্যই প্রতিভাত ছিল, আর তা হচ্ছে আত্মনির্ভরশীল একটি জাতি তথা সর্বক্ষেত্রে স্বনির্ভর বাংলাদেশ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৬/০৩/২০১৭আমাদের বঙ্গবন্ধু কৃষকবন্ধুও ছিলেন।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৬/০৩/২০১৭কাউকে বাদ দিয়ে নয় বরং সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যাক দেশ এই বিশ্ব মাঝে।