অর্থনীতিতে অপার সম্ভাবনাময় ফুল ব্যবসা
‘জোটে যদি মোটে একটি পয়সা খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি/ দু’টি যদি জোটে অর্ধেকে তার ফুল কিনে নিয়ো, হে অনুরাগী!’ ফুল পবিত্র। ফুল শুভ্রতা, সৌন্দর্য, শান্তি ও ভালবাসার প্রতীক। তাই দেশে দেশে ফুল নিয়ে এমন হাজারো কবিতা লিখেছেন কবিরা। ফুলের প্রতি আকর্ষণ নেই এমন মানুষ বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। বিয়ে, জন্মদিন, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি, পহেলা ফাল্গুন থেকে শুরু করে এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই যেখানে ফুলের প্রয়োজন হয় না। ভালবাসার মানুষের মন পাওয়াতে, মান ভাঙাতেও ফুলের জুড়ি নেই। ফুল চাষে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ দেশের জমি ও আবহাওয়া ফুল চাষের উপযোগী। বর্তমানে দেশের ২৪টি জেলার প্রায় ১২ হাজার একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হচ্ছে। ফুল চাষ ও ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২০ লাখ মানুষ জড়িত। ফুল চাষের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এ বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তি। গত তিন দশক ধরে ফুলের যে আবাদ হচ্ছে তা অনেকটা অনুমানের ওপর নির্ভর করে। যে কারণে অনেক সময় ফুলচাষিরা ক্ষতির শিকার হন। এজন্য প্রয়োজন নিত্যনতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও গুণগতমানসম্পন্ন ফুল উৎপাদন। বর্তমানে বিশ্ববাজারে বছরে ২০ বিলিয়ন ডলারের ফুলের ব্যবসায় ভারত, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, জাপান ইত্যাদি দেশ উল্লেখযোগ্যহারে অংশগ্রহণ করছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশেরও রয়েছে অপার সম্ভাবনা। এক্ষেত্রে ফুল চাষ সম্প্রসারণে প্রকৃত চাষিদের বহির্বিশ্ব থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে কর্তৃপক্ষ। স্থায়ী পাইকারি বাজার স্থাপনসহ স্বল্পসুদে চাষিদের ঋণের ব্যবস্থা ও ফুল আমদানি রোধে শুল্ক বৃদ্ধি করা যেতে পারে। তাহলেই বাংলাদেশ ফুল আবাদ, উৎপাদন ও সম্প্রসারণে আরো এগিয়ে যাবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৩/০২/২০১৭ফুলের মত সুন্দর মনের অধিকারী হলে দেশ সত্যিই এগিয়ে যাবে!!!!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৩/০২/২০১৭দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে।