যুবসমাজের হাত ধরেই পাল্টে যাবে দেশ
যুব সমাজ একটি দুরন্ত শক্তি। যুবক, যারা বিতর্ক করে তারা নিজের মতামতটাকে যুক্তি দিয়ে উপস্থাপনের সাধনার মধ্যে থাকে। অন্যের মতামত মনোযোগ দিয়ে শুনে সেই মতামতের সঙ্গে নিজের মতামত মিলিয়ে কিংবা তার বিরুদ্ধে গিয়ে যুক্তিতর্ক দিয়ে উপসংহারে পৌঁছায়। আমরা গণতন্ত্রের যে সবচেয়ে বড় শর্তারোপ করি, সবার অংশগ্রহণে সবার মতামতের ভিত্তিতে একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছানো, একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছানো, আজ জাতীয় জীবনে সেটারই অভাব প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। আর বিতর্কের সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে আমরা নিশ্চয়ই এমন একটি আবহ তৈরি করতে পারব, যেখানে হানাহানি ও অন্যের ওপরে অত্যাচার করে অন্যায়ভাবে মতামত চাপিয়ে দেয়ার যে প্রবণতা, যেটা আমাদের রাজনীতিতে, সমাজ ব্যবস্থায়, অর্থনীতিতে ও সংস্কৃতিকে দেখছি সেটার পরিবর্তন আসবে। বিতর্কের মাধ্যমে যৌক্তিক বোধ সম্পন্ন হয়ে আগামীর বাংলাদেশের হাল ধরতে হবে তরুণ সমাজ ও বিতার্কিতদের। একই সঙ্গে অন্যান্য বিষয়ের তুলনায় গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ তেমন অগ্রসর হতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সকল যুবদের উজ্জীবিত হতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে নিজেকে ‘সবচেয়ে ভাল ও অগ্রসর’ অবস্থানে নিয়ে যেতে পেরেছে। বিতর্কের মধ্য দিয়ে যে সাধনাটা যুব সমাজ করে যাচ্ছ, তাতে তারা পরিবর্তনটা আনতে পারবে। সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে কারণ যুবরাই মুক্তিযুদ্ধের উত্তরাধিকারী। এই মুক্তি কূপমুন্ডকতা থেকে মুক্তি, অন্ধ বিশ্বাস থেকে মুক্তি, মানুষের ওপরে নির্যাতন করার প্রবণতা থেকে মুক্তি, বঞ্চনা থেকে মুক্তি, অবহেলা থেকে মুক্তি, অপমান থেকে মুক্তি, অপমান করার যে প্রবণতা সেটা থেকে মুক্ত হয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মানুষ হতে হবে। যারা বিতর্ক করে তারা আলোকিত মানুষ। তারা যুক্তি দিয়ে সকল কূপমুন্ডকতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। যুবরাই দেশের ভবিষ্যৎ, তারাই পারে দেশকে পরিবর্তনের হাওয়ায় পাল্টে দিতে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১১/০২/২০১৭যুবসমাজ ভালো হলে দেশটাও ভালো হবে।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১১/০২/২০১৭TTH = তবে তাই হোক!!
-
মোনায়েম খান নিজাম ১১/০২/২০১৭আশাবাদী করলেন।