নতুন দিগন্তে বিমান
জাতীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স উপর্যুপুরি দ্বিতীয় বছরের মতো মুনাফা অর্জন করেছে। বিশ্ব বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে এভিয়েশন জেট ফুয়েলের তুলনামূলক অধিক মূল্য এবং কার্গো পরিবহনে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিমানের এই মুনাফা অর্জন নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য সফলতা বিমানে গ্রাহকের আস্থা এবং যাত্রী সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। সদ্য বিদায়ী অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিমান নীট মুনাফা অর্জন করেছে ২৭৬ কোটি টাকা। এর পূর্ববর্তী অর্থবছরে অর্থাৎ ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে করপরবর্তী মুনাফার পরিমান ছিল ৩২৪ কোটি টাকা অর্থাৎ বিগত দুই অর্থবছরে বিমান ৬০০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে। ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বিমান রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ৩১০ কোটি টাকা রাজস্ব কর প্রদান করেছে। ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে বিমান যাত্রী পরিবহন করেছিল ১৫ লক্ষ ৭১ হাজার।২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ২০ লক্ষ ২০ হাজার এবং ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে বেড়েছে ২৩ লক্ষ ১৮ হাজার অর্থাৎ দুই বছরের ব্যবধানে বিমানে যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে প্রায় আট লক্ষ। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বিমান বহরে যুক্ত হচ্ছে বিশ্বের সর্বাধুনিক ব্র্যান্ডনিউ ০৪টি বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭। ইতোমধ্যে বিমান ০৬টি এয়ারক্রাফটের ক্রয় আদেশের বিপরীতে নিজস্ব অর্জিত আয় হতে ১২০০ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষে কানাডার এয়ারক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠান বোম্বারডিয়ার হতে তিনটি ব্র্যান্ডনিউ ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ উড়োজাহাজ ক্রয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে,যা ‘জি টু জি’ পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হবে। বিমান এখন নতুন দিগন্তে। লোকসান কাটিয়ে বিমান এখন একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান। মুনাফার এই ধারা চলতি বছরেও অব্যাহত থাকবে। একই সাথে যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধি এবং ফ্লাইট সিডিউল রেগুলারিটি নিশ্চিত করার জন্য বিমান নিরলসভাবে প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে।গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার মান বাড়ানোর জন্য ১০০ কোটি টাকার গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট ক্রয়ের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, আগামী ০৩ মাসের মধ্যে যা দৃশ্যমান হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০৯/০২/২০১৭বিমান বাংলাদেশ...
-
মুশফিকুর রহমান ০৮/০২/২০১৭”বাংলাদেশ বিমান” বিদেশে আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে,তাই বাংলাদেশ বিমানের বহরে মানসম্মত,আধুনিক উড়োযাহাজ যুক্ত করার আকুতি অনেক দিনের।
ডিসি-১০ বিমান দিয়ে যাত্রী পরিবহন করে মুনাফা করা সত্যিই বিশ্বয়কর ঘটনা।ডিসি-১০ এর ব্যয়বহুল তিন-ইঞ্জিন নকশার কারনে ২০০৭ সনে বিশ্বের সকল বানিজ্যিক উড়োজাহাজ প্রতিষ্ঠান এটির ব্যবহার বন্ধ ঘোষনা করে ।২০১৪ সন র্পযন্ত বাংলাদেশ ডিসি-১০ ব্যবহার করেছে। -
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৭/০২/২০১৭ভালো। উন্নতি হলেই ভালো।