বাড়ছে বিদেশি বিনিয়োগ
গত কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর সার্বিক বাজার বিশ্লেষনে আস্থার সংকট কিংবা বিনিয়োগ ঝুঁকি বিবেচনায় নিরাপত্তাহীনতা না থাকাতেই দেশীয় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করেছে বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানি ও বিনিয়োগকারী। তারা বাজারে শেয়ার বিক্রির চেয়ে কিনছে বেশি পরিমাণে, পুঁজিবাজারের লেনদেন বিশ্লেষণ করে এমনটিই জানা গেছে। বাজারে কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারের দাম ক্রমশঃ বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠায় বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ এর জানুয়ারিতে ঢাকার শেয়ারবাজারে বিদেশিদের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। আগের মাসে এর পরিমাণ ছিল ৯৭৫ কোটি টাকা অর্থাৎ শেয়ার বাজারে এক মাসে বিদেশিদের লেনদেন বেড়েছে ৬১ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে বিদেশিদের লেনদেনের পরিমাণ ছিল মাত্র ৬৬৮ কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তারা শেয়ার কিনেছেন ৬১১ কোটি টাকার আর বিক্রি করেছেন ৪২৫ কোটি টাকার। অর্থাৎ নিট বিনিয়োগের পরিমাণ ১৮৬ কোটি টাকা। পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির এই প্রবণতা দেশের পুঁজিবাজারে তৈরি হওয়া বিনিয়োগের সম্ভাবনার ইতিবাচকতারই সূচক। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যাতে এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে তাদের সুবিধাজনক সময়ে পুঁজি প্রত্যাহার করে বাজার থেকে টাকা তুলে নিতে না পারে এ বিষয়ে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। দেশি বিনিয়োগকারীদেরও সময় মতো মুনাফা উত্তোলন করতে হবে, যাতে হঠাৎ কোন অনাকাঙ্খিত বাজার ধসে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস পায়। সরকারের নানা সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে দেশে বর্তমানে কোন রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই, সরকারি নির্দেশনায় পুঁজিবাজারের নেতিবাচক ইস্যুগুলোও সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা দূর করতে সক্ষম হয়েছে। মূলত এতেই অনেক ভাল কোম্পানির শেয়ারের মূল্য আকর্ষণীয় পর্যায়ে নেমে আসাতে পুঁজিবাজারে বিদেশিদের বিনিয়োগ বাড়ছে। পুঁজিবাজারের বিনিয়োগে দেখা দেয়া এই ইতিবাচকতার প্রতিফলনকে স্থায়ী রুপ দিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে তৎপর হতে হবে। তাহলেই আগামী প্রজন্মের জন্য অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ সোনার বাংলা উপহার দেয়ার অঙ্গীকার স্বপ্নের গন্ডি পেরিয়ে ক্রমশঃ বাস্তব হয়ে উঠবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০২/০২/২০১৭পুঁজিবাজার-রক্ষার জন্য সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।