সন্দ্বীপের চর হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চল
বঙ্গোপসাগরবেষ্টিত সন্দ্বীপ উপজেলার একসময় সবচেয়ে ভাঙনপ্রবণ এলাকা ছিল সন্তোপুর, আমানুল্লাহ ও দীর্ঘাপার ইউনিয়ন। এসব এলাকার হাজার হাজার বাস্তুহারা মানুষ সন্দ্বীপ হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। তবে সেই ভাঙন থেকে প্রায় তিন দশক আগে চরের দেখা মেলে সন্দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলটিতে। আর সেই জেগে ওঠা চরকে কেন্দ্র করে বিশেষ অথনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা করছে সরকার। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনায় উদ্যোগী হয়ে উঠেছে অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নকারী সংস্থা বেজা। চট্টগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের আরেকটি গন্তব্য হচ্ছে সন্দ্বীপ। চারদিকে সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ায় সড়ক যোগাযোগের অভাবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কিছুটা পিছিয়েই আছে সন্দ্বীপ। বিশেষ করে বিদ্যুৎ সুবিধা না থাকায় শিল্প-কারখানা এবং নগরায়ণের তেমন কোনো সুবিধা নেই এই দ্বীপটিতে। যদিও এই দ্বীপের বড় একটি অংশ যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যপ্রবাসী। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, উপজেলাভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে সন্দ্বীপের অবস্থান দ্বিতীয়। তবে বিদ্যুতের সেই বাধাও দূর হতে চলেছে। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সন্দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ১৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। ২০১৮ সালে প্রকল্পটি শেষ হবে বলে জানিয়েছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সন্দ্বীপের মানুষ প্রথমবারের মতো জাতীয় গ্রিডের আওতায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাবে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সন্দ্বীপে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে আগ্রহী। এটা যদি বাস্তবায়িত হয় তাহলে সন্দ্বীপবাসীর জন্য হবে সবচেয়ে বড় পাওয়া। সন্দ্বীপে জেগে ওঠা চরে বিশাল জমি পতিত অবস্থায় পড়ে আছে। এটা যদি শিল্পায়নের কাজে লাগানো হয় তাহলে পিছিয়ে থাকা সমুদ্রবেষ্টিত এই জনপদটির আর্থসামাজিক অবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৩/০১/২০১৭ভালো। তা-ই হোক।