সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও পরমত সহিষ্ণুতাকে লালন করা একটি দেশ বাংলাদেশ। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের শ্রেষ্ঠ উপাদান হিসেবে ধারন করে এ দেশের প্রতিটি মানুষ। যে কোন দেশে সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকলে রাজনৈতিক স্বাধীনতা মূল্যহীন। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আমাদের উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করতে এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে ধর্মের নামে হত্যা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করতে চাইছে। শুধু বাংলাদেশে নয়; এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন দেশে ধর্ম, বর্ণ ও জাতিসত্তার নামে নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ সহায়-সম্বল হারিয়ে ঘর ছাড়তে, দেশান্তরী হতে বাধ্য হচ্ছে। জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জঙ্গী দমনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলাদেশ সরকার ও নাগরিক সমাজ মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করছে তা বহু দেশের জন্য অনুকরণীয় এখন। সামাজিক মনস্তত্ত্বে সাম্প্রদায়িকতা ঢুকে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে স্বাধীনতাবিরোধী একটি মহল। একেক সময় একেকভাবে তারা সক্রিয় হচ্ছে। কখনো বহির্বিশ্বের সহায়তায় তৎপর আবার কখনো ধর্মকে পূজি করে চালাচ্ছে অরাজকতা। আমাদের মনে রাখতে হবে, শুধু ইসলাম নয়, কোন ধর্মই নরহত্যা, সন্ত্রাস, ধ্বংসযজ্ঞ সমর্থন করে না। সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রতি ভালবাসা এবং সমাজ ও মানুষের কল্যাণ। সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই। তাদের পরিচয়, তারা সন্ত্রাসী। এদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে, হতে হবে ঐক্যবদ্ধ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।