www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

শিক্ষার মানদণ্ড বিচারে সহায়ক সফটঅয়্যার

মানসম্পন্ন পাঠদান আর বাড়তি কারিকুলাম ও নিয়মানুবর্তিতাসহ বিভিন্ন মানদণ্ডের ভিত্তিতে ‘অসাধারণ’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করবে একটি স্বয়ংক্রিয় সফটঅয়্যার। এর মাধ্যমে অন্যান্য মানদণ্ডে নির্বাচিত হবে ‘অতিউত্তম’ ‘উত্তম’ ‘চলতিমান’ ও নিম্নমানসম্পন্ন ৫ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এভাবে দেশের ৩৬ হাজার সরকারি, এমপিওভুক্ত ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও কলেজকে ভাগ করা হবে। দেশকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের অন্যতম উদ্যাোগ হিসেবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) বর্তমানে এ লক্ষ্যে কাজ করছে। ‘পেয়ার ইন্সপেকশন সফটঅয়্যার’ নামের এই সফটঅয়্যারের মাধ্যমেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাটাগরি বিন্যাস করা হবে। এতে ১৪টি মানদন্ড বিবেচনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভালো-মন্দ নির্ধারণ করা হবে। এই সফটঅয়্যারের কাজ শুরু হলে মাউসের এক ক্লিকেই পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য। অফিসে বসেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আপডেট তথ্য জানতে পারবে শিক্ষা প্রশাসন। জনবল ও সম্পদের সীমাবদ্ধতায় ডিআইএ বর্তমানে দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে বিদ্যমান ৩৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিবছর মাত্র ৩ হাজারটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে সক্ষম হয়। ফলে একটি প্রতিষ্ঠানে ১০ বছরের মধ্যে একবারের বেশি পরিদর্শনের সুযোগ থাকে না। এতে প্রতিষ্ঠানগুলো নানা অনিয়মে জড়িয়ে শিক্ষার সার্বিক মানের অবনমন ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। এই অচলাবস্থা নিরসনে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে ডিআইএর ‘পেয়ার ইন্সপেকশন সফটঅয়্যার’ নির্ভর যুগোপযোগী উদ্যোগ। এতে একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম মূল্যায়ন করবে অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠান। এজন্য ডিআইএর সেন্ট্রাল সফটঅয়্যারে ৩৬ হাজার প্রতিষ্ঠানের প্রতিটির জন্য আলাদা আলাদা পেজ বরাদ্দ করা হয়েছে, সেখানে প্রতিদিন প্রতিষ্ঠানগুলোকে তথ্য আপডেট করতে হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান ও পরিচালনা কমিটির তথ্য, শিক্ষকদের চাকরিকালীন তথ্য ও ছবিসহ জীবনবৃত্তান্ত, ক্লাস ও শিফট অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ছবিসহ যাবতীয় তথ্য, প্রতিদিনের উপস্থিতি ইত্যাদি আপলোড করতে হবে। ভালো-মন্দ প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের জন্য ১৪টি মানদন্ড হলো প্রতিষ্ঠান প্রধানের কার্যক্রম মূল্যায়ন, শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব মূল্যায়ন, শিক্ষার্থীদের কৃতিত্ব মূল্যায়ন, শিক্ষকদের গোপনীয় অনুবেদন, ক্লাস রুটিন পর্যালোচনা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সমাবেশ, শ্রেণিকক্ষ, পরিবেশ, স্যানিটেশন ও সাঁতার, শিক্ষার্থীদের আসন ব্যবস্থা, মিলনায়তন-সংক্রান্ত তথ্য, পাঠাগার, বিজ্ঞানাগার, কম্পিউটার ল্যাব, শিক্ষার্থীদের ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা যাচাই এবং আয়-ব্যয় বিবরণী। মূলত এই সফটঅয়্যারের মাধ্যমে উপজেলা, জেলা ও বিভাগওয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। এতে সব প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে মনিটর করা যাবে ও কাজের সর্বশেষ অবস্থা দেখে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেসেজ দেয়া যাবে। পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত শ্রেণিবিন্যাস করে সার্বিক চিত্র প্রতিবেদন আকারেও পাওয়া যাবে।মূলত এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৬৪১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৫/০১/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast