উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়াসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য কাজ করছে। রাজধানী ঢাকাকে পরিকল্পিত নগর হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। হচ্ছে গুলিস্তান যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ। সরকার রাজধানীতে আরো কয়েকটি ফ্লাইওভার নির্মাণে কাজ করছে। এই সব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সত্যিই অন্যরকম এক ঢাকা দেখতে পাবেন রাজধানীবাসী। এছাড়া বর্তমানে ঢাকা নগরীর সবুজায়নে কাজ করছে দুই সিটি কর্পোরেশনের। ঢাকাকে সবুজ নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে ফুটওভার ব্রিজগুলোর ওপর লাগানো হচ্ছে ফুলের গাছ। উত্তর ও দক্ষিণ দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘ক্লিন ঢাকা গ্রীণ ঢাকা’ পূরণের লক্ষ্যে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সবুজায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী ছয় মাসের মধ্যে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের একটি পরিবর্তন দেখতে পাবেন নগরবাসী। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের আরও উন্নতি হচ্ছে যেমন, পদ্মা সেতু এখন আর স্বপ্ন নয়, দৃশ্যমান বাস্তবতা। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর কাজের ৩৯ ভাগ অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান অগ্রগতির মধ্যে দুই থেকে তিন মাসের ভেতর প্রথম স্প্যানটি পিলারের ওপর বসবে। এরপর ১৫ দিন অন্তর একেকটি স্প্যান বসবে। এ সেতুর ইতিহাসে স্থানীয়দের ত্যাগ সব সময় মিশে থাকবে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে গিয়ে বাংলাদেশ নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। পদ্মা নদীর কাওড়াকান্দি ফেরিঘাট শিগগির কাঁঠালবাড়ি স্থানাস্তর করা হচ্ছে। এতে করে ১৩ কিলোমিটার কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌ পথের দূরত্ব কমে যাবে ৬ কিলোমিটার। ফলে ৪০ মিনিটেই পদ্মা নদী পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিদ্যুতকেন্দ্রগুলোর সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। সব মিলিয়ে পদ্মা সেতু, ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, গ্রীণ ঢাকা এবং সরকারের নানা উদ্যোগে সত্যিকারভাবেই উন্নয়নের মহাসড়কে এখন বাংলাদেশ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কুয়াশা ২০/১২/২০১৬এগিয়ে যাও বাঙ্গালী তথা বঙ্গবাসী। ভালো লাগল
-
নরসিংহ (নব রঞ্জন সিংহ) ১৯/১২/২০১৬বাংলাদেশ আরও আরও অনেক উন্নতি করুক, একজন ভারতীয় হয়ে এটাই সবসময় কামনা করি । শুভেচ্ছা ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/১২/২০১৬আরও এগিয়ে যাক আমাদের বাংলাদেশ।