শীঘ্রই শুরু হচ্ছে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত প্রকল্পের কাজ
দেশকে উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। কলকারখানা ও কৃষি খাতে সেচের মৌসুমে বিদ্যুতের একটা চাহিদা থাকে। আর এ জ্বালানি সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন যাতে ব্যাহত না হয় কিংবা উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ সন্তোষজনক থাকে সেই লক্ষ্যে সরকার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্তের আলোকে চুক্তিও হয়। আর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের এ ধরনের চুক্তি বাড়তে বাড়তে দাঁড়িয়েছে ২৪-এ। এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ২১ হাজার ৭৮৫ মেগাওয়াট। আর সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পে ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা দিয়ে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করার কথা রয়েছে। সেই হিসেবে চুক্তি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। সেই ধারায় শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক দ্বিতীয় তাপ বিদ্যুত প্রকল্পের কাজ। চায়না এবং বাংলাদেশ সরকার জি টু জি প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুত প্লান্টের কাজ হচ্ছে। তবে এ প্রকল্পের প্রথম কাজ হচ্ছে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের পুনর্বাসন প্রকল্প। এ প্রকল্পের জন্য ১৫০ পরিবারকে পুনর্বাসনে ২৫ একর জমির অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে পুনর্বাসন প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় ১৩২০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির মাধ্যমে এ প্লান্টটি নির্মাণ হতে যাচ্ছে। প্রথমেই পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। একদিকে বাড়িঘর-জমির টাকা তো পাবেই ক্ষতির শিকার লোকজন। এছাড়া এ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন নির্ধারিত মূল্যের তিনগুণ অর্থ। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এ প্রকল্পে ৯২ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রত্যেক পরিবার এক হাজার দুইশ’ বর্গফুট এলাকা নিয়ে একটি নির্দিষ্ট বাউন্ডারি করে সেখানে সেমি পাকা ঘর তুলে দেয়া হবে। এজন্য বরাদ্দ রয়েছে ৬০ কোটি টাকা। থাকছে এ প্রকল্পে বিদ্যুত সুবিধা। থাকছে রাস্তা, সড়ক বাতি, লেক। এক কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় করে নির্মাণ হবে মসজিদ। থাকছে কবরস্থান, হাসপাতাল। দুই কোটি সাত লাখ টাকা ব্যয় হবে স্কুল-মাদ্রাসা নির্মাণে। দুই কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয় করে নির্মাণ হবে বহুমুখী ব্যবহারের জন্য আট হাজার বর্গফুটের একটি কমিউনিটি হল। খেলার মাঠ, লেকসহ মিনি পার্ক। ৬৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা ব্যয় ৬৫ হাজার তিন শ’ ৪০ বর্গফুট আয়তনের একটি পুকুর খনন করা হবে। যার গভীরতা থাকছে ১০ ফুট। এছাড়া বিদ্যুত প্লান্ট এরিয়ার অবকাঠামোসহ রাস্তাঘাট উন্নয়ন এবং এখানকার মানুষের জীবন মান উন্নয়নে প্রকল্প থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুত থেকে তিন পয়সা করে উন্নয়ন তহবিলে জমা হবে। তাতে অন্তত বছরে ২৫ কোটি টাকা জমা হবে। যা ব্যয় হবে উপরোক্ত উন্নয়নে। এছাড়াও এ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণকৃতরা যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মসংস্থানের সুযো
গ পাবেন।
গ পাবেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ১৩/১২/২০১৬বেশ তো
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৩/১২/২০১৬সমন্বিত ও ভালো উদ্যোগ।