মেট্রোরেল হচ্ছে মিরপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত
বর্তমান বিশ্বে যেকোন দেশের উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসিম। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে রাজধানীবাসিকে যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিতে সরকার হাতে নিয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্প। এরই মধ্যে রাজধানীতে যানজট নিয়ন্ত্রণে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্প শুরু হয়েছে। কিন্তু একটি রুটে রেল চালু করে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা কতোটা সম্ভবপর হবে। তাই আরও একটি রুটে মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনা হচ্ছে। মেট্রোরেলের এই রুট রাজধানীর ভাটারা থেকে নতুন বাজার হয়ে গুলশান, বনানী হয়ে মিরপুর ১৪ নম্বর দিয়ে মিরপুর-১ নম্বর পর্যস্ত বিস্তৃত হবে। নতুন এই রুটে মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। উত্তরা থেকে মতিঝিলের মতো এই প্রকল্পেও অর্থায়ন করবে জাপানি সহায়তা সংস্থা জাইকা এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি। রাজধানীতে তীব্র যানজটের জন্য যেসব কারণকে দায়ী করা হয়, তার একটি নগরীর পূর্ব অংশের সঙ্গে পশ্চিম অংশের সড়ক ব্যবস্থা । এই রুটটি চালু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা যায়। মিরপুরের দিয়াবাড়ি এলাকায় ডিপো নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও এবং ২০২০ সালে শাপলা চত্বর পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণকাজ শেষ হবে। বর্ষা মৌসুমে যেন কোনো সড়ক ভাঙা না থাকে তাই শুকনো মৌসুমেই সারাদেশে সড়ক সংস্কার কাজ শেষ করা হচ্ছে। মহাসড়কে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যেন কোনো যানবাহন চলতে না পারে সে জন্য এক মাসের মধ্যেই মহাসড়কের নির্দিষ্ট স্থানে এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন স্থাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে সড়ক ভেঙে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত ওজন নিয়ে যানবাহন চলাচলকে দায়ী করা হয়। এই স্টেশনগুলো চালু হলে এই সমস্যার সমাধান হবে। বিভিন্ন সড়ক ও সেতুর টোল আদায়ের বিষয়ে আগামী জানুয়ারির মধ্যে একটি নীতিমালা করা হচ্ছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
গুরুপদ নেয়ে ১৭/১২/২০১৬
-
মোনায়েম খান নিজাম ১৫/১২/২০১৬সুসংবাদ!
-
সোলাইমান ১৩/১২/২০১৬খুব ভাল, পরে মুগ্ধ হলাম।
-
মোমিনুল হক আরাফাত ১২/১২/২০১৬এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।
-
আনিসা নাসরীন ০৯/১২/২০১৬শুভ সংবাদ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৯/১২/২০১৬খুব ভালো কথা। এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
ধন্যবাদ!