www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

গোয়েন্দাগিরিতেও থ্রিডি প্রযুক্তির ছোঁয়া

কোথায় নাই ডিজিটালের ছোঁয়া। শিকড় থেকে শিখড়ে সব জায়গায় প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। প্রযুক্তির কল্যাণে থ্রিডি প্রযুক্তির সাহায্যে ভার্চুয়াল গোয়েন্দা গিরি করা হচ্ছে। একসময় গোয়েন্দা চরিত্র শার্লক হোমস শুধু আতশ কাঁচ দিয়েই অনেক কঠিন রহস্যের সমাধান করেছেন। আজকের প্রযুক্তিসর্বস্ব বিশ্বে তদন্তকারীদের হাতে একের পর এক নতুন অস্ত্র চলে আসছে। যেমন অকুস্থলের থ্রিডি প্রতিচ্ছবি। ফিতা ও পেনসিলের বদলে লেজার স্ক্যানার দিয়ে নিখুঁত পরিমাপ সম্ভব হচ্ছে। আলোর রশ্মি দেয়াল বা আসবাবপত্রে প্রতিফলিত হয়ে এক ত্রিমাত্রিক ছবি সৃষ্টি করছে। সেই নিখুঁত প্রতিচ্ছবিতে কোন সূক্ষ্ম বিশেষত্বই বাদ যায় না। অকুস্থলে পৌঁছে চট করে বোঝা যায় না, সেখানে কী ঘটেছে, অপরাধ কীভাবে হয়েছে। প্রথমে সব ক্লু বা সূত্র খোঁজা হয়। তারপর অপরাধের ঘটনাক্রমের একটা ছবি ফুটে ওঠে। অর্থাৎ অনেক সময়ে ঘটনার অনেক পরে বোঝা যায় কোন বিষয়টা আসলে জরুরী। তারপর কনট্রোল রুমে ফিরে কাজ শুরু হয়। লেজার স্ক্যানার থেকে পাওয়া তথ্য ডিজিটাল ক্যামেরায় তোলা ছবির সঙ্গে মিলিয়ে অকুস্থলের থ্রিডি ছবি সৃষ্টি করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবার সেই ভার্চুয়াল ঘরের মধ্যে ঢুকে যে কোন জায়গা থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, নিখুঁত মাপজোক করতে পারেন। অপরাধের রহস্য কিনারা করার কাজে এই থ্রিডি স্ক্যান তদন্তকারীদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। এভাবে ভিডিও নজরদারির ছবির সঙ্গে লেজার পদ্ধতিতে নেয়া তথ্যের মেলবন্ধন ঘটানো সম্ভব। অপরাধীকে এ ক্ষেত্রে ভার্চুয়াল ‘অবতার’ করে তোলা হচ্ছে। এভাবে তার উচ্চতা নির্ণয় করা যায়। তদন্তের কাজে এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। কম্পিউটারের পর্দায় এই থ্রিডি তথ্যের মূল্যায়ন অবশ্য প্রথম ধাপ। ডেভেলপাররা এমন প্রযুক্তি সৃষ্টি করেছেন, যা দিয়ে অকুস্থলের থ্রিডি প্রতিচ্ছবি হুবহু ফুটিয়ে তোলা সম্ভব। কম্পিউটারের পর্দায় নয়, তদন্তকারীরা পায়ে হেঁটে ভার্চুয়াল অকুস্থলের হুবহু নকল এক জগতে ঘুরে বেড়াতে পারেন। এভাবে কার্যত অপরাধীর জায়গায় নিজেকে কল্পনা করা যায়। কোন্ দিক থেকে হামলা চালানো হয়েছিল, তাও নির্ণয় করা যায়। চশমা তদন্তকারীর নিখুঁত অবস্থান কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয়। কম্পিউটার তখন সঠিক এ্যাঙ্গেল থেকে ছবি প্রোজেক্ট করে। পদে পদে তা বদলে যায়। এই প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে গুলির গতিপথ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ফুটিয়ে তোলা যায়। ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি চালানো হয়েছিল কিনা, এই পদ্ধতিতে সেই প্রশ্নেরও জবাব পাওয়া যায়। এই ভার্চুয়াল অকুস্থলের নেপথ্যে এক অভাবনীয় প্রযুক্তি কাজ করছে। প্রত্যেকটি শক্তিশালী প্রোজেক্টর সিনেমা হলের জন্য উপযুক্ত। শুধু তাই নয়, সঙ্গে ৬টি ছোট আকারের প্রোজেক্টরও রয়েছে। এই প্রযুক্তিকে দ্রুত আরও নিখুঁত করার উদ্যোগ চলছে। অদূর ভবিষ্যতে তদন্তকারীরা আরও নির্ভরযোগ্যভাবে ভার্চুয়াল জগতে বিচরণ করতে পারবেন এবং এই প্রক্রিয়ায় কোন অপরাধ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এভাবেই দিনে দিনে বদলে যাচ্ছে প্রযুক্তি।
বিষয়শ্রেণী: সংবাদ
ব্লগটি ৮৩৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০১/১২/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast