তরুণদের কাঙ্ক্ষিত পেশা নির্বাচনে সহায়ক
বর্তমান পৃথিবীতে দিন দিন প্রতিযোগিতা বেড়েই চলেছে। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যেতে হলে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে যেন অনেকের মাঝ থেকে নিজেকে আলাদা করা যায়। সেই প্রতিযোগিতার সাথে শুরু হয় আমাদের টিকে থাকা আর যে স্বপ্ন বাস্তবায়নের লড়াই। ভালো ফলাফলের পরও আমরা অনেকেই ব্যর্থ হই আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করতে এবং পারি না আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে। এভাবেই হয়ত একদিন হারিয়ে যাই আমরা, হারিয়ে যায় আমাদের স্বপ্নগুলো। আমাদের আশ-পাশে একটু চোখ মেলে তাকালে এমন স্বপ্ন ভঙ্গ কিংবা ব্যর্থতার উদাহরণ কিন্তু অনেক খুঁজে পাওয়া যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাধারণ অনেকেই হয়ত কাজের দেখা পেয়ে যায়। তবে অনেকেই নিজের জন্য প্রযোজ্য নয় এমন কোনো কাজের সাথে জড়িত হয়ে নিজস্ব প্রতিভার অপচয় করে সারাজীবন এবং শেষ প্রান্তে এসে হতাশ হয় জীবনের প্রাপ্তি নিয়ে। তখন আমরা বুঝতে পারি যে জীবনে একটু সঠিক দিক-নির্দেশনা আর নিজের যোগ্যতার বিকাশ যদি ঘটানো যায়, তবে জীবনে সফলতার মাত্রাটা অনেকাংশেই বেড়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন যখন শেষ হয় তখন প্রশান্তির নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। সেই সকাল সকাল ক্লাসে যাওয়া, পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করা, ক্লাস শেষে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরার দিন বোধ হয় শেষ। কিছুদিন যাওয়ার পরই আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে কী কঠিন এক পৃথিবী আমাদেরকে স্বাগত জানিয়েছে। নিজের অজান্তেই মন থেকে প্রশ্ন আসে, ‘এখন কী করব?’ যে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো কোনো সূত্র আমাদের জানা নেই। তখন সবার অসংখ্য পরামর্শের মাঝে আমরা নিজেদেরকেই হারিয়ে ফেলি। এ সকল ধারণার পর নিজেকে তৈরি করার সময় আসে চাকরি বাজারের জন্য। চাকরি প্রত্যাশী মানুষ যেখানে অসংখ্য সেখানে সুযোগ খুবই সীমিত। এই দুটি সংখ্যার মধ্যে সমতা আনার সুযোগ খুব বেশি না থাকলেও নিজেকে ঐ সীমিত সুযোগগুলোর জন্য প্রস্তুত করা যায়। সে প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই পড়াশোনার পাশাপাশি আমরা নিজেকে এমন কিছু কার্যক্রমের সাথে জড়িত রাখি যার মাধ্যমে নিজেকে জানা এবং নিজের সুপ্ত প্রতিভাগুলো ভালোভাবে তুলে আনা যায়। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান সমাজের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক এবং ভিন্ন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যত্ জীবনের সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। নেতৃত্ব প্রশিক্ষণের পর এবার সেই শিক্ষার্থীদেরকে পেশাদার জীবনের জন্য প্রস্তুত করার পালা। সেই কাজ সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যাত্রা শুরু অফিস অফ প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্টের। তরুণ শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত পেশা নির্বাচনের জন্য সহায়ক বিভিন্ন বিষয় যেমন, নিজের জীবন ও কর্ম বৃত্তান্ত তৈরি, সঠিক প্রতিষ্ঠান বা ক্ষেত্র নির্বাচনের যোগ্যতা অর্জন এবং সেখানে সাফল্য লাভের জন্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগের গুণাবলীসহ নানাবিধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে। তরুণ শিক্ষার্থীদেরকে তাদের পছন্দ এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি লাভে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে কাজ করা হচ্ছে। তরুণরা যেন নিজেদের সম্পর্কে জেনে নিজেদেরকে কর্মক্ষেত্রে নিয়োজিত করতে পারে এমন সকল উদ্যোগও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আমি-তারেক ০৩/১২/২০১৬valo bolehen...
-
পরশ ৩০/১১/২০১৬ভাল কথা বলেছেন
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৭/১১/২০১৬আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন এক হলে সবই সম্ভব।
-
আনিসা নাসরীন ২৭/১১/২০১৬এর কতটুকু আসলেই কাজ করছে এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।