www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেল ২৪ বীরাঙ্গনা

১৯৭১ সালের মক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আর দেশের স্বাধীনতার এই বিশাল অর্জন সফল হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে। মুক্তিযোদ্ধাদের পাশা-পাশি আমাদের কাছে আরও একটি পরিচিত নাম বীরাঙ্গনা। সেদিন এই বীরাঙ্গনারাই নির্মম, নিষ্ঠুর ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন পাকিস্তানি বাহিনী এবং রাজাকারদের হাতে। আজ বাংলাদেশ সরকারের উন্নত চিন্তার ধারাবাহিকতায় আরও ২৪ জন বীরাঙ্গনা পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৩৭তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ১৭০ জন বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেলেন। তারা প্রতি মাসে ভাতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের মতো অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন। ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের ‘বীরাঙ্গনা’ স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সম্মান জানান। তার নির্দেশনায় বীরাঙ্গনাদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়, যা ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আগ পর্যন্ত চলছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি সামরিক শাসকদের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে পাকিস্তানি জান্তার সহযোগীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। পুনরায় বর্তমান সরকার বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এরইমধ্যে এ বিষয়ে আদালতের নির্দেশনাও আসে। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের ৪৩ বছর পর গতবছরের অক্টোবর মাসে বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। গত বছরের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদে ওই প্রস্তাব পাস হয়।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৬১৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৪/১১/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast