জলবায়ু সম্মেলনের সফলতা
প্যারিস চুক্তির আলোকে বৈশ্বিক জলবায়ু কার্যক্রমকে বিশ্বব্যাপী দ্রুত এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে মারাকেশ জলবায়ু সম্মেলন। মারাকেশ ভিশন নামে উন্নয়নশীল দেশগুলোর আরও একটি সংগঠন অঙ্গীকার করেছে, ’২০ ও ’৫০ সালের মধ্যে তারা কার্বন নির্গমন কমাতে শতভাগ নবায়ণযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্য অর্জন করবে। এছাড়া কানাডা, জার্মানি, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে, তাদের দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু কৌশল ২০৫০ বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাসে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য অর্জন করবে। শতাব্দীর দ্বিতীয় ভাগে জন্ম নেবে স্বল্প কার্বণ নির্গমনের এক নতুন পৃথিবী। এবারের জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতাজনিত ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয় ও ক্ষতি তথা লস এ্যান্ড ড্যামেজ। এ বিষয়ে মারাকেশ সম্মেলনের ঘোষণায় বলা হয়েছে, জলবায়ু পরবর্তনের ক্ষয় ও ক্ষতির ব্যাপারে ওয়ারশ ইন্টারন্যাশনাল মেকানিজম অনুযায়ী ৫ বছরের একটি ফ্রেমওয়ার্ক প্রণয়ন করা হবে। এ ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় জলবায়ু বাস্তুচ্যুত, অভিবাসন এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের স্থানান্তর ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মারাকেশ ঘোষণায় নির্মল প্রযুক্তির সহায়তায় বিলিয়ন ও মিলিয়ন ডলারের বহুমুখী প্যাকেজ এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের করা হয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য পানি ও খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণের কথা ঠাঁই পেয়েছে নতুন ঘোষণায়। সেই সঙ্গে সরকারগুলো ২০১৮ সালের মধ্যে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের রুল বুক প্রণয়নের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে, যা আগামী দশকগুলোতে জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় আস্থা, সহযোগিতা ও সাফল্য নিশ্চিত করবে। মারাকেশ জলবায়ু সম্মেলন প্যারিস চুক্তি কার্যকরে লক্ষ্য অর্জন করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়নে নতুন যুগের সন্ধান পাবে এ বিশ্ব। উন্নত দেশগুলো ’২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা পূরণে এখন থেকেই কাজ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতিকে ট্রিলিয়ন ডলারে রূপান্তর করতে হবে। জলবায়ু অভিযোজনের স্বার্থে ২০১৭ সালের মধ্যে অবশ্যই অর্থ সংস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। মারাকেশ জলবায়ু সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করবে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র ফিজি। তবে এতবড় সম্মেলন আয়োজনের অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকায় ফিজির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা জার্মানির সহায়তায় বন শহরে ’১৭ সালের জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন করবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ২৫/১১/২০১৬এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ
-
সোলাইমান ২২/১১/২০১৬বেশ ভালো লাগলো।
-
মশিউর ইসলাম (বিব্রত কবি) ২০/১১/২০১৬সময় উপযোগী লেখা ।
ভালো লাগলো -
সাইয়িদ রফিকুল হক ২০/১১/২০১৬জলবায়ু-সম্মেলনের উদ্দেশ্য সফল হোক।