www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সাগরে মাছ ধরায় স্যাটেলাইটের সহায়তা

বঙ্গোপসাগরের গভীরে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা সম্পন্ন নানা প্রজাতির দামি মাছ থাকলেও তা আহরণের আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর সক্ষমতা বাংলাদেশের মৎস্যজীবীদের নেই। এ দেশের জেলেরা অনুমানের উপর ভিত্তি করে উপকূলের মাত্র ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে মৎস্য শিকার করে থাকে। অথচ ঐতিহাসিক সমুদ্র বিজয়ের পর বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার বিস্তৃতি উপকূল থেকে প্রায় সাড়ে ৬শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত। উন্নত প্রযুক্তি ও দক্ষতা উন্নয়নের সীমাবদ্ধতায় গভীর সমুদ্র হতে এখনও মৎস্য আহরণ করতে পারছে না বাংলাদেশ। তবে সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগে গভীর সমুদ্রে মৎস্য জোন নির্ণয়ে ইন্ডিয়া-স্যাট-৭ এর মাধ্যমে সহযোগিতায় সম্মত হয়েছে ভারত, এতে বর্তমানের চেয়ে প্রায় ৪০ গুণ বেশি সামুদ্রিক মাছ আহরণ করা সম্ভব হবে। গভীর সমুদ্রে এলাকাভেদে বিভিন্ন ধরনের জলজ উদ্ভিদ থাকে, প্রজাতিভেদে যেগুলো এক এক ধরনের সামুদ্রিক মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসব জলজ উদ্ভিদ গভীর সমুদ্রের যেখানে উৎপন্ন হয়, সেখানে খাদ্য আহরণে আসা মাছের বিচরণ বেশি। স্যাটেলাইট ডাটার মাধ্যমে নির্দিষ্ট প্রজাতির জলজ উদ্ভিদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নির্দিষ্ট প্রজাতির মৎস্য জোনে গেলে অল্প সময়ে বেশি পরিমাণে মাছ আহরণ করা যাবে। বঙ্গোপসাগরে প্রায় ৪৭৫ প্রজাতির মাছ রয়েছে আর প্রতি বছর সাগরে ধরা পড়ে প্রায় ৬৬ লাখ টন মাছ। সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বিশাল জলরাশিতে বাংলাদেশের এখন সার্বভৌম অধিকার। এই বিপুল জলরাশিতে স্যাটেলাইট সহায়তার মাধ্যমে মৎস্য সম্পদ আহরণের কার্যক্রম শুরু হলে যে বৈপ্লবিক সম্ভাবনাময় ব্লু ইকোনমির স্বপ্ন লালন করা হচ্ছে তার কিছুটা হলেও বাস্তবে ধরা দিবে।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৭০১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৪/১১/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast