২০১৮ সালের মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির উদ্যোগ
এলএনজি আমদানি করে গ্যাস সংকট মেটানোর দিকে যাচ্ছে ধাবিত হচ্ছে সরকার। বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সারকারখানায় এখন প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাস এক ডলারে সরবরাহ করছে বাংলাদেশ তৈল গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন(পেট্রোবাংলা। বিশেষ করে বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করছে ৭৯.৮২ টাকা বা এক মার্কিন ডলারে। সার কারখানায় ৭৩.০৬ টাকা বা শূন্য দশমিক ৯৪ মার্কিন ডলার। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে বাংলাদেশের গ্যাস সংকট মেটানো হবে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মাস্টারপ্ল্যানে এলএনজি আমদানির বিষয়টি ছিল না। মাস্টারপ্ল্যানে ছিল ব্যয়বহুল জ্বালানি তেলের নির্ভরতা কমিয়ে এনে বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লার ব্যবহার করা। এতে সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়া যায়। এখন নতুন করে এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দেশের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে জ্বালানির জোগান দিতে হবে। আমাদের অভ্যন্তরীণ গ্যাসের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং শিল্পে গ্যাসের জোগান দিতে এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মোট সাড়ে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আমদানি করতে আরও ১৫টি দেশি-বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। এভাবে গ্যাস সংকট মেটানোর জন্য এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/১১/২০১৬ভালো উদ্যোগ। স্বাগত জানাই।