রাকুদিয়া হোক গ্রামীন উন্নয়নের মডেল
ক্ষুধামুক্ত জীবন, অভাবমুক্ত সংসার আর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ধন্য একটি গ্রাম। গ্রামের নাম রাকুদিয়া। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে ব্যস্ততা বেড়ে যায় প্রতিটি গৃহবধূর। অভাবকে বিদায় জানানোর সংগ্রামে তারা প্রত্যেকেই এখন একেক জন সফল নারী উদ্যোক্তা। অনেকেই এখন পরিবারের শীর্ষ উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের দিন কাটে সংসার সামলিয়ে নিজেদের গড়ে তোলা খামারের পরিচর্যা করে। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগতি ইউনিয়নের দক্ষিণ রাকুদিয়া গ্রামের ১৯৮ জন নারী এখন স্বাবলম্বী। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) এসব নারীকে স্বাবলম্বী করে তুলেছে। সংশ্লিষ্ট সংস্থার ‘নতুন জীবন লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (এনজেএলআইপি)’ নামের একটি প্রকল্প এই গ্রামে চলমান। সময়ের পরিবর্তনে ‘বিয়ের পর ঘরের বাইরে যাওয়া নিষেধ' এই নিয়মের শৃঙ্খল ভেঙ্গে এই গ্রামের নারীরা কৃষিভিত্তিক নানা উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবারিক আয়ে ভূমিকা রেখে সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তিও অর্জন করেছে। পাশাপাশি দারিদ্র্য কমায় স্বাবলম্বী এই নারীরা সমাজে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছেন। গ্রামের প্রতিটি পরিবারের সকল সন্তানেরাই এখন স্কুলে যায়।’ গ্রামীন উন্নয়নের আদর্শ হিসেবে আগামী ১৮ অক্টোবর বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের গ্রামটি পরিদর্শনের কথা রয়েছে। অর্থনৈতিক কার্যক্রমে গ্রামীন নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে আগামীতে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম হয়ে উঠবে রাকুদিয়া, এটাই সকলের প্রত্যাশা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল্লাহসাকি ১৬/১০/২০১৬বাস্তব যদি এমন হতো! আর তা ধরে রাখা যেত!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৬/১০/২০১৬রাকুদিয়ার ঘটনা জাতিকে নতুন পথ দেখাবে।
লেখিকাকে ধন্যবাদ।