উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরও এক মাইলফলক
বর্তমান সরকারের বিনিয়োগ বান্ধব নীতিমালা আর দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় অর্জিত স্থিতিশীলতার কারণে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য এক অনন্য সম্ভাবনার দুয়ার উন্মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশে। ফলে দেশজুড়ে অব্যাহত গতিতে বয়ে চলেছে বিনিয়োগের স্রোতধারা। সরকারের যুগোপযোগী নির্দেশনায় বিনিয়োগ ভাবনাতে এসেছে নানা বৈপ্লবিক পরিবর্তন। আগে যেখানে অবকাঠামো উন্নয়ন খাতের বিনিয়োগে একচেটিয়া অংশগ্রহণ ছিল শুধুমাত্র সরকারের, সেখানে সময়ের দাবিতে আজ লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। তাই দেশে বৃহৎ পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ন্যায় অবকাঠামো উন্নয়ন খাতেও এখন শুরু হয়েছে বাণিজ্যিক বিনিয়োগ। এরই অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনায় দেশের অন্যতম শিল্প উদ্যোক্তা এস আলম গ্রুপের তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে ১৩২০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের অন্যতম বৃহৎ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। বেসরকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণে এটিই দেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। চীনের সেপকো ও এইচটিজির সঙ্গে যৌথভাবে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি শিল্প উদ্যোক্তা এস আলম গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠানটির ৭০ শতাংশ একক মালিকানা রয়েছে এস আলম গ্রুপের এবং অবশিষ্ট ৩০ শতাংশ মালিকানা থাকছে চীনা প্রতিষ্ঠান দু’টির হাতে। প্রকল্প এ্রলাকায় ইতোমধ্যে স্থানীয়দের মাঝে মূল্য পরিশোধের মাধ্যমে ৬০০ একর জায়গা কেনা হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নে। আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা আর বিনিয়োগ ভাবনায় এক নতুন মাইল ফলক স্থাপন করতে যাচ্ছেন। আগামী ৪৫ মাসের মধ্যেই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্পূর্ণ কার্যক্রম শেষ করার ব্যাপারে আশাবাদী উদ্যোক্তরা। অর্থাৎ, ২০১৯ সালের নভেম্বরের মধ্যেই এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে। দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ ভাবনায় শুধু বাণিজ্যিক মুনাফা অর্জনের পরিবর্তে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখার মাধ্যমে সমৃদ্ধির পথে অব্যাহত অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করার সামাজিক দায়বদ্ধতার দৃষ্টান্ত এই উদ্যোগ। কেননা, এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহায়ক হবে আরও শিল্পায়নে, অধিকতর কর্ম সংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে নিশ্চিত হবে জনগণের জীবন মানের উন্নয়ন – যাতে নিশ্চিত হবে দেশের টেকসই উন্নয়ন। ব্যক্তি ও গোষ্ঠী স্বার্থের উর্দ্ধে দেশ ও জাতির কল্যাণকে অধিকতর গুরুত্ব প্রদানের মাধ্যমে দেশিয় শিল্প উদ্যোক্তারা এ ধরণের কল্যাণমুখি বিনিয়োগ ভাবনায় উজ্জীবিত হবে এটাই প্রত্যাশিত। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বিত যৌথ উদ্যোগেই সম্ভব হচ্ছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অব্যাহত অগ্রযাত্রা- বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বনির্ভর, সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্ন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ২১/১০/২০১৬আপনার লেখাগুলি আমাকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। শুভেচ্ছা।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৫/১০/২০১৬বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে
-
সোলাইমান ১৫/১০/২০১৬সত্যিকার বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাচ্ছে।
-
আব্দুল হক ১৪/১০/২০১৬েদশ আসলে িপছােচ্ছ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৪/১০/২০১৬সবকিছু দেশের স্বার্থে করতে হবে। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।