সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণেই রুখবো আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ
সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে সরকারের ভূমিকা মুখ্য হলেও গণমাধ্যমসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখতে হলে উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়তে হবে। কোন অবস্থাতেই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেয়া যাবে না। দেশ বিরোধী দানব যতই শক্তিশালী হোক না কেন সকলের সম্মিলিত প্রতিরোধে তারা নিশ্চিহ্ন হতে বাধ্য। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির জন্য মানবাধিকার কমিশন বিভিন্ন ভাবে জনগনকে সচেতনতা মূলক প্রচারাভিযান চালাচ্ছে। জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশ থেকে জঙ্গি বাদের শেকর নির্মূল করা জনগনের ও দ্বায়িত্ব। মৌলবাদের একটি সহিংস রূপ হলো জঙ্গীবাদ। এই জঙ্গীবাদ শুধু সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বহিনী দিয়ে নির্মূল সম্ভব নয়, এটি নির্মূলে সর্বসাধারণকে এগিয়ে আসতে হবে। ক্ষমতাবানরাই বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। শুধু সরকারী লোকজনই যে ক্ষমতাবান তা নয়। সমাজের অনেক বিত্তবান অর্থ সম্পদের প্রভাব খাটিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে থাকেন। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এরকম কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মানবাধিকার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দুর্বলের পক্ষে কথা বলে সবলের প্রতি কতটা সফল হতে পারেন সেটাই আপনাদের চ্যালেঞ্জ। কারণ যুগ যুগ ধরে দুর্বল জাতিগোষ্ঠী নির্যাতিত হয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে সবলরা অপরাধ করে পার পেয়ে যায়। প্রগতিশীল আন্দোলনের ফসল হলো জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনের জন্য রাষ্ট্র রয়েছে। মানবাধিকার কমিশন কাজ হলো সন্ত্রাসীদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো। এজন্য গণমাধ্যম ও জনগণের সহযোগিতা দরকার। সরকার মানবাধিকার কমিশন গঠন করে। কমিশন গঠিত হওয়ার পর তা আর সরকারের নয়, জনগণের। শুধু কথা নয়, সবার অধিকার সুনিশ্চিত করতে হবে। আর সেজন্য প্রয়োজন সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/১০/২০১৬এই দেশে এখনও রাজাকাররা নানান সমস্যার জন্ম দিচ্ছে।