শিক্ষার মান নিয়ে আর নয় আপোষ
সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অব্যাহত উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা তা দেশকে প্রতিনিয়ত এনে দিচ্ছে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নানা সম্মান আর স্বীকৃতি। কিন্তু উন্নতির এই ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে হলে দেশের শিক্ষার জন্য একটি নির্দিষ্ট মানদন্ড নির্ধারণ এবং তার যথাযথ অনুসরণ করা আবশ্যক। কেননা মানসম্পন্ন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যতিরেকে ভবিষ্যতের জন্য সুশিক্ষিত ও দক্ষ জনবলও তৈরি হবে না, আমাদের জাতীয় উন্নয়নও ধারাবাহিকতা হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই বর্তমান সরকার সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে
দেশের প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার জন্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন-১৬’ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এই আইন পাস হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ও কার্যক্রমসহ উচ্চশিক্ষার সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করবে কাউন্সিল। শুধু তাই নয়, স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যা ঙ্কিং উল্লেখ করে সনদ দেবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া কোন প্রকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবে না। ৯ সদস্য নিয়ে গঠিত কাউন্সিলে সদস্য পদ দেয়া হবে ২৫ বছর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে। আগামী সপ্তাহে খসড়াটি পাস করার জন্য মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। খসড়া অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম, কারিকুলাম এবং কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ
করবে কাউন্সিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন এবং গুণগতমানও নিশ্চিত করবে কাউন্সিল। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বা বিভাগ খোলার জন্যও কাউন্সিলের কাছে আবেদন করতে হবে। কাউন্সিলের সদস্যদের সরেজমিন পরিদর্শনে শেষে দেয়া প্রতিবেদনের আলোকেই মিলবে অনুমোদন। অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট যোগ্যতা নির্ধারণ করে একটি সনদ দেয়া হবে। কোন শর্ত ভঙ্গ হলে সনদ বাতিল হবে। কাউন্সিলকে প্রত্যেক আর্থিক বছরের ৩০শে জুনের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে হবে। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ সম্পর্কে আইনে বলা
হয়েছে, সনদের আবেদন প্রক্রিয়া, আবেদন মঞ্জুর ও নামঞ্জুর, অ্যাক্রেডিটেশন সনদের বৈধতা, সনদের উপর শর্তারোপ, অডিট ও অ্যাসেসমেন্ট এবং সনদ বাতিল আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তবে কোন প্রতিষ্ঠানের সনদ বাতিল করা হলে তারা রিভিউ
আবেদন করতে পারবে। কাউন্সিল একটি রেজিস্টারে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক প্রোগ্রাম, প্রতিষ্ঠানের অ্যাক্রেডিটেশন সংক্রান্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করবে। কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রেজিস্টারের তথ্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। তবে কাউন্সিলের অ্যাক্রেডিটেশন সনদ ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞপ্তি বা তথ্য নির্দেশিকা প্রকাশ এবং কোন সনদ দিতে পারবে না। কাউন্সিলের সদস্যরা কোন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে কোন তথ্য গোপন করতে পারবে না, ভুল তথ্যদিলে সনদ বাতিল করা হবে। কাউন্সিলের
গঠনতন্ত্রে নির্ধারণ করা হয়েছে, কমপক্ষে ২৫ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ এবং ১০ বছর অধ্যাপক
হিসেবে দায়িত্বপালনকারী গুণগত শিক্ষা সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকেই কমিশনের চেয়ারম্যান করা হবে। কমিশনে আরও থাকবেন খণ্ডকালীন ৮ জন সদস্য। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন পূর্ণকালীন সদস্য, অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের সরকারের একজন প্রতিনিধি, এসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অথবা তার প্রতিনিধি, বিদেশি কোনো স্বীকৃত কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও অ্যাক্রেডিটেশন সংস্থার একজন বিশেষজ্ঞ, পেশাজীবী সংস্থার একজন প্রতিনিধি, সরকার কর্তৃক ফেডারেশন অব চেম্বার্সের একজন বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা, সরকার কর্তৃক মনোনীত শিক্ষা প্রশাসনে অভিজ্ঞ একজন শিক্ষানুরাগী, সরকার কর্তৃক মনোনীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞএকজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞ শিক্ষকরাও সদস্য হতে পারবেন। ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন-১৬’ এর অনুমোদন ও বাস্তবায়নে নিশ্চিত হবে এদেশে ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ ও যোগ্য কর্মীর অব্যাহতযোগান। মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টিতে সরকারের আপোষহীন মনোভাবে নির্ধারিত হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশবিনির্মাণে অব্যাহত পথচলা।
দেশের প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করার জন্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন-১৬’ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এই আইন পাস হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন ও কার্যক্রমসহ উচ্চশিক্ষার সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করবে কাউন্সিল। শুধু তাই নয়, স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়কে র্যা ঙ্কিং উল্লেখ করে সনদ দেবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া কোন প্রকার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারবে না। ৯ সদস্য নিয়ে গঠিত কাউন্সিলে সদস্য পদ দেয়া হবে ২৫ বছর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে। আগামী সপ্তাহে খসড়াটি পাস করার জন্য মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো হবে। খসড়া অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম, কারিকুলাম এবং কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা নিয়ন্ত্রণ
করবে কাউন্সিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন এবং গুণগতমানও নিশ্চিত করবে কাউন্সিল। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা বা বিভাগ খোলার জন্যও কাউন্সিলের কাছে আবেদন করতে হবে। কাউন্সিলের সদস্যদের সরেজমিন পরিদর্শনে শেষে দেয়া প্রতিবেদনের আলোকেই মিলবে অনুমোদন। অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট যোগ্যতা নির্ধারণ করে একটি সনদ দেয়া হবে। কোন শর্ত ভঙ্গ হলে সনদ বাতিল হবে। কাউন্সিলকে প্রত্যেক আর্থিক বছরের ৩০শে জুনের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিতে হবে। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ সম্পর্কে আইনে বলা
হয়েছে, সনদের আবেদন প্রক্রিয়া, আবেদন মঞ্জুর ও নামঞ্জুর, অ্যাক্রেডিটেশন সনদের বৈধতা, সনদের উপর শর্তারোপ, অডিট ও অ্যাসেসমেন্ট এবং সনদ বাতিল আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে। সনদপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তবে কোন প্রতিষ্ঠানের সনদ বাতিল করা হলে তারা রিভিউ
আবেদন করতে পারবে। কাউন্সিল একটি রেজিস্টারে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক প্রোগ্রাম, প্রতিষ্ঠানের অ্যাক্রেডিটেশন সংক্রান্ত তথ্য লিপিবদ্ধ করবে। কাউন্সিলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রেজিস্টারের তথ্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে। তবে কাউন্সিলের অ্যাক্রেডিটেশন সনদ ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞপ্তি বা তথ্য নির্দেশিকা প্রকাশ এবং কোন সনদ দিতে পারবে না। কাউন্সিলের সদস্যরা কোন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে কোন তথ্য গোপন করতে পারবে না, ভুল তথ্যদিলে সনদ বাতিল করা হবে। কাউন্সিলের
গঠনতন্ত্রে নির্ধারণ করা হয়েছে, কমপক্ষে ২৫ বছরের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ এবং ১০ বছর অধ্যাপক
হিসেবে দায়িত্বপালনকারী গুণগত শিক্ষা সম্পর্কে অভিজ্ঞ ব্যক্তিকেই কমিশনের চেয়ারম্যান করা হবে। কমিশনে আরও থাকবেন খণ্ডকালীন ৮ জন সদস্য। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন পূর্ণকালীন সদস্য, অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের সরকারের একজন প্রতিনিধি, এসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অথবা তার প্রতিনিধি, বিদেশি কোনো স্বীকৃত কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স ও অ্যাক্রেডিটেশন সংস্থার একজন বিশেষজ্ঞ, পেশাজীবী সংস্থার একজন প্রতিনিধি, সরকার কর্তৃক ফেডারেশন অব চেম্বার্সের একজন বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা, সরকার কর্তৃক মনোনীত শিক্ষা প্রশাসনে অভিজ্ঞ একজন শিক্ষানুরাগী, সরকার কর্তৃক মনোনীত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞএকজন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ২০ বছরের অভিজ্ঞ শিক্ষকরাও সদস্য হতে পারবেন। ‘অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আইন-১৬’ এর অনুমোদন ও বাস্তবায়নে নিশ্চিত হবে এদেশে ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ ও যোগ্য কর্মীর অব্যাহতযোগান। মানসম্পন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টিতে সরকারের আপোষহীন মনোভাবে নির্ধারিত হবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশবিনির্মাণে অব্যাহত পথচলা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ০৯/১০/২০১৬ভাল
-
আব্দুল হক ০৪/১০/২০১৬ভালো হয়েছে
-
রোজারিও ০৪/১০/২০১৬দেশের সরকারগুলো- শিক্ষাকে সবচেয়ে দুষ্প্রাপ্য করে রেখেছে ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৩/১০/২০১৬ভালো লোকজন ছাড়া এইসব কাউন্সিল দিয়ে কিছুই হবে না। দেশপ্রেমিক মানুষ দরকার।