বিলুপ্ত ছিটবাসীর ভোটাধিকার প্রয়োগ
সাতচল্লিশে দেশ ভাগের সময় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এলাকার এসব বাসিন্দার এক দেশের নাগরিক হয়ে আরেক দেশে বসবাস। এরপর ভারত এবং পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এলেও মুক্তি মেলেনি তাদের। সরকারের আন্তরিক চেষ্টায় গত বছর বহু প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নানা বঞ্চনার অবসান হয় ছিটবাসীদের। বাংলাদেশের ৫১টির বিনিময়ে ভূ-খণ্ডের মধ্যে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দারা পায় এদেশের নাগরিকত্ব। ছিটমহল বিনিময়ের এক বছরের মাথায় গত ৪ সেপ্টেম্বর বিলুপ্ত ছিটের সাড়ে দশ হাজারেরও ভোটারযোগ্য নাগরিককে ভোটার করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রায় ছয় দশকের ‘বন্দী’ জীবন থেকে বেরিয়ে আসা বিলুপ্ত ছিটমহলের বাসিন্দারা নিজেদের প্রতিনিধি বাছাইয়ে এবার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন। বিলুপ্ত ছিটমহলগুলো পার্শবর্তী যে সব ইউনিয়ন পরিষদে যুক্ত হয়েছে সেগুলোয় আগামী ৩১ অক্টোবর ভোট হবে। কুড়িগ্রামের ছয়টি, লালমনিরহাটের নয়টি এবং পঞ্চগড়ের আটটি ইউপি রয়েছে। এগুলোর বাইরে আরও কিছু ইউপিতে ওই দিন ভোটের আয়োজন করা হচ্ছে। এসব এলাকায় মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ৬ অক্টোবর, যাচাই-বাছাই ৭ অক্টোবর, প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৪ অক্টোবর। সংশ্লিষ্ট ইউপিতে ভোট হবে ৩১ অক্টোবর। সেক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো বিলুপ্ত ছিটবাসী ভোটাধিকারের সুযোগ পাচ্ছেন। তবে সীমানা জটিলতায় বিলুপ্ত ছিটমহলযুক্ত নীলফামারীর তিনটি ইউপি- দেবীগঞ্জ, দেবীডোবা ও বলরামপুরে এখন ভোট হচ্ছে না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৬/০৯/২০১৬প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
-
সোলাইমান ২৬/০৯/২০১৬খুব সুন্দর কথা তুলে ধরেছেন।