আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে জনতার শক্তির
শেষ পর্যন্ত পালিয়ে বাঁচতে পারল না রিশার খুনি ওবায়দুল। ঢাকা থেকে দিনাজপুর, সেখান থেকে ঠাকুরগাঁও হয়ে নীলফামারী- শেষ পর্যন্ত জনতার সহায়তায় ধরা পড়েছে কিশোরী রিশার খুনী ওবায়দুল। স্বস্তি নেমে এসেছে জনমনে, বিশেষ করে রিশার সহপাঠীরা আশ্বস্ত হয়েছে। তারা আন্দোলন স্থগিত করে ফিরেছে ক্লাসে। দেশের মানুষ বুঝেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন যথেষ্ট সক্রিয় ও আন্তরিক। ওবায়দুল এক জেলা থেকে অন্য জেলায় পালিয়েছে, পুলিশও হাল না ছেড়ে আসামি ধরার জন্য সম্ভাব্য সব জায়গায় হানা দিয়েছে। নীলফামারীর ডোমার এলাকাবাসীর সহায়তায় শেষ পর্যন্ত র্যা ব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে গ্রেফতার হলো আসামি। এতে আরও একবার প্রমাণিত হলো সাধারণ মানুষ সতর্ক সজাগ থাকলে এবং সহযোগিতা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপরাধ দমন সহজতর হয়। রিশার হত্যাকারীকে ধরতে সাধারণ মানুষের সক্রিয় সহায়তা এখন আমাদের মনে আশাবাদ জাগিয়ে তুলবে। এখনও সমাজে ইতিবাচক, উপকারী ও অপরাধীকে পাকড়াও করার মতো মানসিকতাসম্পন্ন মানুষ রয়েছে। তাদের শুভবোধ জাগিয়ে তোলার জন্য শুধু সমাজের অগ্রসর সচেতন ও সংবেদনশীল মানুষের উদ্যম ও উদ্যোগ দরকার। একই সঙ্গে এই সাধারণ মানুষের মধ্যে সাহস জোগানো এবং তাদের তৎপরতার স্বীকৃতি দিয়ে সম্মান জানানোয় সরকারেরও ভূমিকা রয়েছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ০৪/০৯/২০১৬ভাল লাগলো।
-
অঙ্কুর মজুমদার ০৩/০৯/২০১৬vlo likhechen
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৩/০৯/২০১৬জনগণ জেগে উঠলেই শয়তানগুলো মরবে।
-
আনিসা নাসরীন ০৩/০৯/২০১৬আমরা যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করি তাহলে কোন অপরাধী পার পাবে না।