www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কর্ণফুলী টানেল-স্বপ্ন আজ বাস্তবের পথে

কর্ণফুলী নদীর তলদেশে স্বপ্নের টানেল নির্মাণ হলে বদলে যাবে চট্টগ্রামের চিত্র। আমূল পরিবর্তন আসবে অর্থনৈতিক আঙিনায়। প্রতিষ্ঠিত হবে বহুমুখী যোগাযোগব্যবস্থা। বিস্তৃত হবে চট্টগ্রাম নগর। চাপ কমবে নগরের ওপর। কমবে শহরকেন্দ্রিক নির্ভরতা। বৃদ্ধি পাবে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা। আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের চীন যৌথভাবে কর্ণফুলী টানেলের কাজ শুরু হবে। ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পতেঙ্গা এলাকায়। ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা (সম্ভাব্য) ব্যয়ের টানেলের অ্যালাইনমেন্ট হবে চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে কর্ণফুলী নদীর ২ কিলোমিটার ভাটির দিকে। টানেলের প্রবেশপথ হবে নেভি কলেজের কাছে। বহির্গমন পথ হবে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পারের সিইউএফএল সার কারখানা সংলগ্ন ঘাট। মোট ৯ হাজার ২৬৫ দশমিক ৯৭১ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটির মধ্যে টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার ৫ মিটার (উভয় পাশের ৪৭৭ মিটার ওপেন কাট ব্যতীত)। টানেলে থাকবে ৯২০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুটি ফ্লাইওভার। এর মধ্যে শহর প্রান্তের ‘অ্যাট গ্রেড সেকশন’ হবে ৪৬০ মিটারের আর দক্ষিণ প্রান্তের ‘অ্যাট গ্রেড সেকশন’ হবে ৪ হাজার ৪০৩ দশমিক ৯৭১ মিটারের। দেশের প্রথম এই টানেলটি হবে ‘ডুয়েল টু লেন’ টাইপের। টানেল নির্মাণ করা হবে ‘শিল্ড ড্রাইভেন মেথড’ ।প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে চট্টগ্রামের চিত্র। গড়ে উঠবে চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ও যুগোপযোগী সড়ক যোগাযোগ, আধুনিকায়ন হবে বিদ্যমান সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা, সংযোগ স্থাপিত হবে এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে, যুক্ত করা হবে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা শহরের সঙ্গে ডাউন টাউনকে, ত্বরান্বিত হবে বিভিন্ন উন্নয়নকাজ, বৃদ্ধি পাবে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ও সুযোগ-সুবিধা, গতি পাবে প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্রবন্দরের নির্মাণকাজ, নতুন যোগাযোগব্যবস্থা সৃষ্টি হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ৫৬৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০১/০৯/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast