মীর কাশেম আলীকে জেল থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই গুলশানে জঙ্গি হামলার অন্যতম লক্ষ্য
গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারি রেস্টুরেন্টে হামলার সময় সারারাত ব্যস্ত ছিল বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার। রেস্তোরাঁয় হামলার পর কামন্ডো অভিযানের সময় তারেক রহমান ৪৫ বার ফোন করেছেন বাংলাদেশে, যার মধ্যে একবার একজন জঙ্গি নেতার সঙ্গে তার কথোপকথনের প্রমান পাওয়া যায়। সেদিন তিনি তার এক বিশ্বস্ত চাকরের নামে নথিভুক্ত ফোনে ওই রাতে কথা বলছিলেন তারেক জিয়া। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গেও তার যোগাযোগ রয়েছে। ফাঁসির আসামি জামাতে ইসলামি নেতা মীর কাশেম আলীকে জেল থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যেই গুলশানে জঙ্গি হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল। মীর কাশেম আলী বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত একজন যুদ্ধাপরাধী। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়ে খুনি ‘আল বদর’ বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন চট্টগ্রামে তৎকালীন ছাত্রনেতা মীর কাশেম। বিদেশিদের পণবন্দি করে মির কাসেম আলিকে মুক্ত করার পাশাপাশি সেনাদের বিদ্রোহে উস্কানি দেওয়াও উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গিদের। সরকারকে উৎখাত এবং প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ছক হিসাবে জঙ্গিগোষ্ঠীকে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে মীর কাশেম পরিবার। ১লা জুলাই রাতে জঙ্গি হানা চলার সময়ে করাচি এবং মধ্য এশিয়ার মধ্যে কয়েক হাজার ফোন কল গিয়েছে। পাশাপাশি দুবাই, সিরিয়া থেকেও ওই সময় ঢাকায় অজস্র ফোনালাপ হয়েছিল। পণবন্দি অবস্থায় করাচি, আরব এবং ঢাকার মধ্যে অজস্র ফোনালাপ থেকেই স্পষ্ট হচ্ছে কোন কোন দেশ এই ঘটনার নেপথ্যে কলকাঠি নেড়েছে। গুলশানে হামলাকারী পাঁচ জঙ্গির কাছেও আরব থেকে সরাসরি ফোন এসেছিল। গুলশন-বনানী এলাকার ফোন পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। তার পরেও দেখা যায় যে ওই বেকারিতে কয়েকটি স্যাটেলাইট ফোন সক্রিয়। জঙ্গিরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে আরবের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার লন্ডনবাসী ছেলে তারেক জিয়ার ফোনও ১ জুলাই সারারাত ব্যস্ত ছিল। তার ফোন থেকেও ঢাকা, করাচি ও আরবে কথা বলার প্রমাণ রয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে নিজের বিচার প্রক্রিয়া চলার সময়ে মীর কাশেম বিশ্বের নামি-দামি আইনজীবীদের নিয়োগ তো করেছিলেনই, বিচার বন্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রচারের জন্য বিপুল অর্থ ঢেলে মার্কিন লবিস্টও নিয়োগ করেছিলেন। তার ফাঁসির রায়ের পরে পাকিস্তানের আইনসভায় বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল। তুরস্ক সরকারও ফাঁসি বাতিল চেয়ে ঢাকার কাছে সরকারিভাবে আবেদন করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকেও কাশেমের ফাঁসি বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ১৭/০৯/২০১৬সুন্দর
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২১/০৮/২০১৬তবুও ফাঁসি হবে, ইনশা আল্লাহ।
-
স্বপ্নময় স্বপন ২১/০৮/২০১৬সুন্দর উপস্থাপন!