মুনাফায় ফেরাতে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে সরকারী পাটকল
লোকসান থেকে মুনাফায় ফেরাতে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে সরকারী পাটকলগুলো। প্রাথমিকভাবে তিনটি পাটকল আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন পাটনীতি করছে সরকার। পাটের বহুমুখী পণ্য উৎপাদনে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে চীন। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে পাটের বস্ত্র, বিভিন্ন প্রকার সুতা তৈরি করা হবে। এই সব বস্ত্র দিয়ে তৈরি সামগ্রী বিদেশে রপ্তানির এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। এটি বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পাট সেক্টর আধুনিকায়ন সম্পন্ন হলে রপ্তানির মাধ্যমে এই খাত থেকে বছরে ২০ থেকে ৩০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি পাটের সুদিন ফেরাতে পাট আইন করার পাশাপাশি পাটনীতি সংশোধন করারও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বর্তমানে বিজেএমসি’র ২৩ পাটকলে দৈনিক ৬৮০ টন পাটপণ্য উৎপাদিত হয়। অথচ মিলগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হলে উৎপাদন বাড়বে কয়েক গুণ। প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামের আমিন জুটমিল, ঢাকার করিম জুটমিল ও খুলনার প্লাটিনাম জুটমিল আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে এই তিনটি পাটকল আধুনিকায়ন করা হবে। মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে আধুনিকায়নের পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিজেএমসির ২৬ মিলের মধ্যে তেইশটি আধুনিকায়ন করা হবে। তবে প্রথম পর্যায়ে তিনটি মিলকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। পাটকলগুলো আধুনিকায়ন করা হলে উৎপাদন খরচ ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ করে আসবে। এতে জনবল কম প্রয়োজন হবে। বর্তমানে বছরে প্রায় ৫শ’ কোটি টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। সরকার আর এই সেক্টরে ভর্তুকি দিতে চায় না। এই লোকসান কাটিয়ে এ সেক্টরকে লাভজনক এবং বাংলাদেশে শীর্ষ লাভজনক এটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চাই। প্রথম ধাপে তিনটি এবং ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর পাঁচটি করে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের বিএমআরই করা হবে। ২০২০ সালে পঞ্চম ধাপে ছয়টি পাটকলের বিএমআরইর মাধ্যমে পুরো সরকারী পাটকলের আধুনিকায়ন শেষ করা হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৭/০৮/২০১৬নতুন করে জেগে উঠুক পাটশিল্প।
-
স্বপ্নময় স্বপন ১৬/০৮/২০১৬তথ্যবহুল চমৎকার নিবন্ধ... বেশ ভালো লাগলো!