সুস্থ সমাজ গড়তে মাদককে না বলি
পরিবারের শিশু সন্তানটি দিনে-দিনে বাবা-মা আত্মীয়-স্বজনদের আদর, সোহাগ, ভালোবাসা, শাসন পেতে-পেতে বড় হয়। আস্তে আস্তে পরিবারের গণ্ডি পেরিয়ে সমাজে মিশতে শুরু করে। এক সময় স্কুল, কলেজে সহপাঠী, বন্ধু, বড়দের সংস্পর্শে এসে নিজেকে মেলে ধরে। আচার-আচরণে একে অপরকে প্রভাবিত করে। জীবনধারায় পরিবর্তন আসতে শুরু করে। সকলের মাঝে নিজের একটা স্থান করে নেয়। তারপর ধীরে-ধীরে নিজেকে বিকশিত করে জগত সংসারে ব্যক্তি পরিচয়ে বড় হতে থাকে। জীবনের এ চলার পথে একে অন্যের সাহচর্যে কখনো ভালো দিকে এগিয়ে যায় আবার কখনও বা বিপথগামী হয়ে পড়ে। সমাজে প্রচলিত রীতিনীতির ভালো খারাপ দিক বিবেচনায় কেউ বা মানুষের মত মানুষ হয়। আর কেউ-কেউ খারাপ বন্ধুর সাহচর্যে নিজেকে বিপথগামী করে জড়িয়ে ফেলে কু-অভ্যাসে। এ রকম কু-অভ্যাসের মধ্যে ধূমপান বা মাদকাসক্ত বর্তমান সময়ের এক বড় সমস্যা। যুবক বয়সে নিজেকে অন্যের কাছে মেলে ধরতে-ধূমপান বা মাদকাসক্ত হওয়া মানে যেন “জাতে ওঠা”। নিজের সর্বনাশ করে জাতে উঠতে-উঠতে তারা এক সময় মৃত্যুর হাতছানিতে নিজেকে এগিয়ে নেয়। যারা কোনো ভালো সাহচর্যে আসার সুযোগ পায় তারা নতুন জীবনের স্বাদ পেলেও বাকিরা ধীরে-ধীরে রোগাক্রান্ত হয়ে দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগতে-ভুগতে একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আজ বিশ্বে লাখ লাখ তরুণ বিপন্ন, বিধ্বস্ত, অন্ধকারে দিনাতিপাত করছে। মাদক সম্পর্কে ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আসুন সকলে মিলে সরকারের পাশাপাশি যার যার অবস্থান থেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সচেতনতা সৃষ্টি করি। সকলে সিগারেট তথা মাদককে বর্জন করি, সুস্থ সমাজ গড়ি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ১২/০৮/২০১৬ভাল লিখেছেন
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১১/০৮/২০১৬কিন্তু মাদক কাউকে সহজে ছাড়ে না।
-
স্বপ্নময় স্বপন ১১/০৮/২০১৬অনেক অনেক ভালো লেগেছে! এরকম সচেতনতা সত্যিই দরকার।