www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

দেশী মসলা বিস্কুট জুস ও পানীয়ের চাহিদা বাড়ছে বিদেশে

সম্প্রসারিত হচ্ছে বাংলাদেশী পন্যের রফতানি বাজার। বিশেষ করে গত পাঁচ বছরে শুধু খাদ্য রফতানিই বেড়েছে পাঁচ গুণ। এটা দেশের অর্থনীতিতে দারুণ সুখবর। ভবিষ্যতে এ হার আরো বাড়বে । স্থানীয়ভাবে প্রস্তুতকৃত খাবারের মধ্যে বিশেষ করে মসলা, বিস্কুট, জুস ও পানীয়ের চাহিদা বাড়ছে বিদেশে। তবে এর মধ্যে সিংহভাগই বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশী। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে মসলা রফতানি করা হয়েছে ৩.৯৩ মিলিয়ন ডলার। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরের এর আকার দাঁড়ায় ৬০.৪২ মিলিয়ন ডলার। একই সময়ে বিস্কুটের রফতানি বেড়েছে ছয় গুণ। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বিস্কুট রফতানি থেকে আয় হয় ২০.০৭ মিলিয়ন ডলার। একই সময়ে জুস ও পানীয় রফতানির পরিমাণ বেড়েছে পাঁচ গুণ। ৬৬.৮৫ মিলিয়ন ডলার অর্থ এসেছে দুই পণ্য রফতানির মাধ্যমে। খাদ্য প্রস্তুতকারকদের সংখ্যা বৃদ্ধি, সরকারের সরবরাহকৃত সহজ ঋণ, ভালো দাম ও স্থানীয় খাদ্যপণ্যের গুণগত মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে কঠোরতা কারণে রফতানি বাড়ছে। এর মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় বাংলাদেশী পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বিশ্বে আমাদের বাজার বাড়ছে এবং এটা অব্যাহত । এক দশক আগেই বিদেশে মসলার বাজারে পাকিস্তান ও ভারতীয় রফতানিকারকদেরই আধিপত্য ছিল বেশি। বাংলাদেশ থেকে খুব অল্প পরিমাণে মশলা রফতানি হতো তখন। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্থানীয় প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের চেষ্টায় বিদেশে বাংলাদেশের বাজার বিস্তৃত হয়েছে। বাংলাদেশী অভিবাসীরা এখন বাংলাদেশী পণ্যকেই প্রাধান্য দেয় বেশি। আর মধ্যপ্রাচ্যে অনেক নাগরিক বাংলাদেশী পণ্য পছন্দ করে। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত- যেখানে হাজার হাজার বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করছে এসব দেশসহ বিশ্বের মোট ১৩০টি দেশে বাংলাদেশের খাদ্যপণ্য বিক্রয় হয়। বর্তমানে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বাজার সম্প্রসারণেরও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৬৭৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/০৮/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast