সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদের শিকড়-বাকড় ছেদ জরুরী
সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল, দৃশ্যমান ও সুসংহত হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গীবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা কেবল প্রশংসিতই নয়, বাংলাদেশকে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে অভিহিত। গুলশানে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় বাংলাদেশের সম্মান কিছুটা হলেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে বলা যায়। আমাদের লক্ষ্য মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া। আমরা সে পথে এগিয়ে যাচ্ছি। তবে কষ্ট কথা যখন দেখা যায়, যে আমরা সম্মান অর্জন করেছিলাম, বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে আসীন হয়েছিলাম এসব সন্ত্রাসী ঘটনায় সে সম্মানে কিছুটা হলেও ছেদ পড়ছে। বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ ও উগ্রবাদ যে স্থানীয়ভাবে বেড়ে ওঠা এবং স্বাধীনতার পরাজিত গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাস চালিয়ে যাচ্ছে এবং এর বিরুদ্ধে আছে সরকারের সুদৃঢ় অঙ্গীকার এবং ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের মদদদাতা, অর্থদাতা ও প্রশিক্ষণদাতাদের খুঁজে বের করতে হবে। একই সঙ্গে কোথা থেকে অর্থ আসছে, কারা সেগুলো সরবরাহ করছে সেসব চিহ্নিত করা জরুরী। অর্থাৎ সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদের শিকড়-বাকড়, ডালপালা উপড়ে ফেলতে হলে সর্বাগ্রে তা চিহ্নিত করা জরুরী। শুধু বাংলাদেশ নয়, জঙ্গীবাদ এখন বৈশ্বিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তিকে একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সৈয়দ আলি আকবর, ৩০/০৭/২০১৬সহ মত
-
পরশ ২৯/০৭/২০১৬ভাল
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৭/০৭/২০১৬জঙ্গির বিরুদ্ধে লিখুন। শুভেচ্ছা।