এ পথে কারা কী উদ্যেশ্য তাদের
গুলশানের হোলে আর্টিজান রেস্তোরাঁসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক বেশ কিছু হামলা ও খুনের ঘটনায় বাংলাদেশের জঙ্গিদের নিয়ে এখন দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিশেষ করে গুলশানের হোটেল আর্টিজানে বন্দুকধারীদের হামলার পরে বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা নিয়ে দুনিয়াজুড়ে আলোচনা শুরু হয়। জঙ্গিদের নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় চললেও এদের কারা নিয়ন্ত্রণ করছে, কারা তাদের নেতা সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য প্রথমদিকে না পেলেও ধীরে ধীরে এখন স্পষ্ট হয়ে উঠছে ইন্ধনদাতাদের এবং আর্থিক সহায়তাকারীদের। সরকার জঙ্গি নির্মুল এবং এর অর্থায়ন প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগে সম্প্রতি বেশ কিছু বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংককে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক বিভিন্ন এনজিও অর্থের বড় জোগানদাতা। এ ছাড়া সৌদি আরব, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ব্যবসায়ীরাও অর্থায়ন করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, অর্থদাতাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গেছে। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দেশের ভেতরে ও বাইরে বেশ কয়েকজনকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দেশের আটটি ব্যাংকে থাকা মোট ৩৫টি হিসাবের মাধ্যমে ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোটি কোটি টাকা এসেছে বাংলাদেশে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। তবে কে বা কারা এই অর্থ দেশে পাঠিয়েছে তা জানতে দেশগুলোর ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। একা সরকার বা সাধারণের ওপর নির্ভরশীল হলে চলবে না।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ২৯/০৭/২০১৬দমন হবেই
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২০/০৭/২০১৬সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।