জাতীয় ঐক্যের নামেও ষড়যন্ত্র কেন
আমরা এমনই এক জাতি দিন দিন কেমন যেন বৈরি আবহ গাযে মেখে মন ও দেহটাকে করেছি স্বার্থের খাচায় বন্ধি। একে অপরের সাথে নেই নুন্যতম যোগাযোগ বা আলাপচারিতার মাখামাখি। তবুও সন্ধান করি, চেষ্টা করি একটুকু সুখের পশরায় বদলে দিক আমাদের সামগ্রিক চেতনাবোধ। চেতনার রং ভিন্ন ভিন্ন হলেও এক শিবিরে ঐক্যব্দ্ধ হয়ে সমবেত কন্ঠে শ্লোগান ধরতে পারলে জয় আমাদের অভিসম্ভাবী। শান্তি প্রিয় মানুষগুলো শান্তি চায়! শান্তির মহাকাব্য রচনা করতে চায়! এ শান্তি আত্মিক কিংবা মৌখিক সে বিষয়টার উপর নির্ভর করে শান্তির রচনায় মনস্তাত্ত্বিক পথচলা। যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে না, সংবিধান মানে না, পতাকায় সম্মান প্রদর্শন করে না, মুক্তিযুদ্ধ মানেনা, সেই দানরুপী নরঘাতকদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির শর্তধীন জাতীয় ঐক্যের ডাকে স্পষ্ট প্রতিয়মান হচ্ছে এখানেও একটা পলিটিক্স বা গেইমবিলিং করার অপচেষ্টায় পানি গোলা করার পায়তারা করছে। ইতিপূর্বে বেগম জিয়ার দল বিএনপি ঘোষনা দিয়েছেন জাতীয় ঐক্য না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিবেন। তাদের বিতর্কতি আবস্থান পরিস্কার করা হলে আশার আলো জাগাতে পারে, তাছাড়া জামাতকে ছেড়ে দিলে জাতীয় ঐক্যেরও দরকার হবে না। কিন্তু এখানেও মেঘাচ্ছন্নতা দেখতে পাচ্ছি। দেখতে পাচ্ছি গোপনে জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছেন, পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সাহস বৃদ্ধি করছেন আবার এমনও বলছেন গনতন্ত্র না থাকলে এর চেয়েও ভয়াভহ অবস্থার জন্ম হবে। গুলশান থেকে শোলাকিয়া হামলার মত বিশ্বের নামীদামী দেশে যেমন কানাডা,আমেরিকা, ফ্রান্সের মত রাষ্ট্রে যখন সন্ত্রসী হামলা হয় তা হলে সেখানেও কি গনতন্ত্রের অভাবেই সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে। সৌদিতে পবিত্র মসজিদে নববীতে বোমা হামলা কি গনতন্ত্র না থাকার ফল,অথচ সেখানে গনতন্ত্রই নেই। এসব খোড়া যুক্তি দেখিয়ে বিএনপি জামাত আসলে কি চায় সচেতন মহল সেটা বুঝে বলেই তাদের দিবা স্বপ্ন পুরন হতে দিবেনা দেশের জনগন তারাই প্রতিরোধ শক্তিতে বলিয়ান হয়ে রুখে দিবে সব চক্রান্তের বেড়াজ্বাল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/০৭/২০১৬সহমত বন্ধু।