আসুন জঙ্গিরোধে গড়ে তুলি জাতীয় ঐক্য
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সাম্প্রতিক জঙ্গি আক্রমণে উন্নয়ন সহযোগী ও বন্ধু রাষ্ট্রসমূহের নাগরিকবৃন্দ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ আমাদের দেশের শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত, ক্ষুব্ধ। ২০১৩ থেকে শুরু করে মুক্তচিন্তার লেখক, প্রকাশক, সংস্কৃতিকর্মী, সংখ্যালঘু ও ভিন্ন জীবনধারার অনুসারীদের টার্গেট করে ধারাবাহিক এসব হত্যাকাণ্ড যেন অন্তহীন এক মৃত্যুর মিছিলের সূচনা করেছে যা বাংলাদেশকে এক প্রতিকারহীন আতঙ্কের জনপদে পরিণত করেছে। দেশ জুড়ে ধারাবাহিক এসব জঙ্গিবাদী হামলা ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ-উতকণ্ঠার আবহের মধ্যে হামলার ধরন ও মাত্রা বিবেচনায় গুলশান ও শোলাকিয়ার সমন্বিত ও নৃশংস হামলার ঘটনা বাংলাদেশকে জঙ্গিবাদের এক নতুন স্তরে এনে ফেলেছে। এ নিয়ে কোনো প্রকার দ্বিধা-সংশয়, দায় এড়ানো বা দোষারোপের সময় আজ অতিক্রান্ত। অমোঘ বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশ আজ জঙ্গি উপদ্রুত এবং জনগোষ্ঠীর একটি অংশ উগ্রপন্থায় প্রভাবিত। জঙ্গিবাদি কর্মকাণ্ডে লিপ্তরা বিপথগামী। এর বাইরেও বহু ব্যক্তি রয়েছে যারা সহিংস কর্মকাণ্ডে লিপ্ত নয়। কিন্তু জঙ্গিবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। যে সব জঙ্গি অপরাধে লিপ্ত তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে কঠোরভাবে শাস্তি দিতে হবে। এ থেকে মুক্তি পেতে হবে এখনই। উগ্রপন্থা ও জঙ্গিবাদের এই ভয়াবহ বিস্তারকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করে, এ থেকে মুক্তির জন্য জাতীয় ঐক্য ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প আমাদের হাতে নেই।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোবারক হোসেন ১৮/০৭/২০১৬একমত।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৭/০৭/২০১৬জঙ্গীর আস্তানায় হানা দিতে হবে।
-
স্বপ্নময় স্বপন ১৬/০৭/২০১৬গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সুন্দর লেখা উপস্থাপনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।