অপশক্তির অপতৎপরতার শেষ কোথায়
পারিবারিক পরিবেশে রাজনীতি এই উপমহাদেশে বিদ্যমান। এ কথা স্বীকার করতেই হবে। একজন সুশিক্ষিত, সচেতন, দেশপ্রেমিক ও সাহসী যুবক হিসেবে দেশসেবার ব্রত নিয়ে যদি জয় রাজনীতিতে আসতে চান তা কি অস্বাভাবিক বিষয় বলে বিবেচিত হবে। মাতা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুবাদে তাকে রাজনীতিতে আসার প্রয়োজন পড়ে না। ব্যক্তিগত যোগ্যতায় তিনি ইচ্ছা করলেই ভবিষ্যতে রাজনীতিতে আসলে তাতে কারো মাথা ব্যাথার কারণ হওয়া উচিত নয়। আর সেই কারণেই তাকে বিদেশের মাটিতে হত্যা করে ক্ষমতার মোহকে চিরস্থায়ী করবার লক্ষ্যে তাকে শারীরিকভাবে অপসারণ করবার অপচেষ্টা যারা করে চলেছেন তারা আর যাই হোক গণতন্ত্রের লেবাস গায়ে দেয়ার যোগ্য নন। '৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে দিয়ে যে হত্যাযজ্ঞ শুরু হয় তা আজও অব্যাহত আছে। সুদক্ষ নেতৃত্বকে চিরতরে অপসারণ করে, রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি করে, তারা চিরদিনের জন্য ক্ষমতায় যেতে চান। তারা স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধী রাষ্ট্র বানাতে চায়। বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদী ও প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির ঘাঁটি বানাতে চায়। এই কারণেই ওরা জয়কে ভয় পায়। তাই এই অব্যাহত হত্যা প্রচেষ্টার সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোন অপশক্তি জড়িত সেই তথ্য বাংলার মানুষের আজ আর অজানা নয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১০/০৭/২০১৬এদেশের জনগণ কি আসলে ভালো?