যোগাযোগে অভূতপূর্ব উন্নতি
বর্তমান সরকারের সময়ে দেশে যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন রাস্তা ৪ লেনসহ নানা কর্মকান্ড হাতে নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পথ ৩৮ মিনিটে পৌঁছে দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দেশের প্রথম মেট্রোরেল রুটের বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে। এর মধ্য দিয়ে যোগাযোগ স্বপ্নযাত্রার নতুন মহাসড়কে পা রাখল বাংলাদেশ। একই সঙ্গে গাজীপুর থেকে শাহজালাল বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস র্যাপিড ট্রানজিট নির্মাণের কাজেও চলছে। এ দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে রাজধানীর পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামোতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। রাজধানীর যানজট নিরসনে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নগরীতে পাঁচটি রুটে নির্মাণ করা হচ্ছে মেট্রোরেল। এর মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট-এমআরটি-৬ রুটের নির্মাণ কাজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মেট্রোরেল নিয়ে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো। পাশাপাশি অন্য চারটি রুটের প্রাথমিক কাজও শুরু হচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় উভয়দিকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে এ রুটে। প্রায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এমআরটি লাইন-৬-এর পুরোটাই হবে এলিভেটেড। রাজউকের উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পে মেট্রো রেলের ডিপো নির্মাণের কাজ চলছে। ২০ কিলোমিটার মেট্রোরুটে ১৬টি স্টেশনের মধ্যে উত্তরাতেই থাকছে তিনটি স্টেশন। সেগুলো হচ্ছে উত্তরা নর্থ, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা সাউথ। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পেছন দিয়ে উত্তরার তিনটি স্টেশনের পর পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজী পাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও পর্যন্ত নয়টি স্টেশনের একাংশে মেট্রো রেলের বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হবে ২০১৯ সালের মধ্যে। বাকি সাতটি স্টেশন বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত অংশটি চালু হবে ২০২০ সালের মধ্যে। রাজধানীতে পর্যায়ক্রমে মেট্রোরেলের আরও চারটি রুট নির্মাণ করা হবে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে রাজধানীর অসহনীয় যানজট থেকে মুক্ত পাওয়া যাবে।
[/justify]
[/justify]
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ০৯/০৭/২০১৬ধন্যবাদ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২৮/০৬/২০১৬অভূতপুর্ব সমসাময়িক,
ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা না দিয়ে পারছি না।