www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

রমজান হোক মানবিক গুণাবলি বিকাশের সোপান

সিয়াম সাধনার মাধ্যমে মানুষের সততা ও নিষ্ঠা বৃদ্ধি পায়। রোজাদার ব্যক্তি সৎ ও পুণ্যবান থাকার প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সমাজে নীতিনৈতিকতা ও সততার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। রোজাদার ব্যক্তি রোজা রেখে চরম ধৈর্য, সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও ঐকান্তিকতার পরিচয় দেয়। এখানে তার আল্লাহভীতি ও নৈতিক শক্তি প্রকাশ পায়। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাদ্য ও পানীয় বর্জনের মাধ্যমে ক্ষুধার যন্ত্রণা যে কত কঠিন, তা সে উপলব্ধি করে। সে উপলব্ধি করে ক্ষুধা নামক দানবটি সারা বছর হতদরিদ্র লোকদের কী পরিমাণ কষ্ট দেয়। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হুয়া শাহরুল মুওয়াসাত’ অর্থাৎ এটি হলো সহমর্মিতার মাস। সুতরাং রোজাদার কঠোর যন্ত্রণার বাস্তব উপলব্ধি নিয়ে দিনহীন, ভুখানাঙা মানুষের জীবন-যন্ত্রণা দূর করতে সাহায্য ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে—এটাই রোজার শিক্ষা। কাউকে ইফতার করানোও সাওয়াবের কাজ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি একজন রোজাদারকে ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ তার সব গুনাহ মাফ করে দেবেন, জাহান্নাম থেকে তাকে মুক্তি দান করবেন এবং রোজাদারের সমপরিমাণ সাওয়াব তাকে দেবেন। কিন্তু রোজাদারের সাওয়াব একটুও কমানো হবে না।’ (বায়হাকি) নবী করিম (সা.) পবিত্র রমজান মাসে বিপুল পরিমাণে সদকা করতেন। নবী করিম (সা.) স্বভাবতই বদান্য মানুষ ছিলেন। এ মাসে তাঁর বদান্যতা আরো বেড়ে যেত। বিশেষ করে যখন জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন, এ সাক্ষাৎ তাঁর বদান্যতার ওপর প্রভাব ফেলত। এ সময় তিনি খোলা হাওয়ার চেয়েও অধিক বদান্য হতেন। এমনটাই এসেছে সহিহ বুখারি ও সহিহ মুসলিমের হাদিসে। রমজান মাসে তিনি ব্যাপক দান-সদকা করতেন। তাই রাসুলের উম্মতের প্রতিটি ব্যক্তির পরম আকাঙ্ক্ষা ও আগ্রহের বিষয় হওয়া উচিত এ মাসে অধিক হারে সাধ্যমতো দান-সদকা করা, গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো, আত্মীয়স্বজনের খবরাখবর নেওয়া। সবার সঙ্গে ভালো ও বিনম্র ব্যবহার করা।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৮২৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৪/০৬/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast