www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ভালোবাসা ভাগ করা যায় না

ভালোবাসা ভাগ করা যায় না
মোমিনুল হক আরাফাত

স্কুল ছুটি হয়ে গেল। সবাই বাবা-মায়ের হাতে ধরে বাড়িতে ফিরতেছে। শুভ গেইটের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। কাঁদে তার ব্যাগটা জুলানো ছিল। ম্যাডাম এসে শুভকে বলল, বাড়িতে যাও নি? (ম্যাডামের বয়স ২০-২১ শের দিকে হবে)
শুভ ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে বলল, বাবা এখনো আসে নি।
ম্যাডাম বলল, চলো আমিও তোমাদের ওখানে থাকি, আমি তোমাকে পৌঁছে দিয়ে আসি।
শুভঃ না ম্যাডাম বাবা এসে আমাকে নিয়ে যাবে।
ম্যাডামঃ বাবা তোমাকে অনেক ভালোবাসে তাই না? তোমার আম্মু কোথায়? তিনি কখনো তোমাকে নিয়ে যেতে আসে না কেনো?
শুভঃ হ্যাঁ! বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসে।
ম্যাডামঃ শুধু কি বাবা ভালোবাসে? আম্মু ভালোবাসে না?
শুভঃ না। আমাকে শুধু আমার বাবা ভালোবাসে আর কেউ না।
ম্যাডামঃ শুভর দিকে তাকিয়ে বলল, কেনো? আমি কি তোমাকে ভালোবাসি না-এই নাউ তোমার চকলেট।
শুভঃ চকলেট নিয়ে বলল, আপনি ভালোবাসেন, তবে বাবার মতো কেউ ভালোবাসে না।
ম্যাডামঃ তোমার আম্মু কি দেশের বাইরে থাকে?
শুভঃ না। আমার আম্মু নাই-কথা শেষ না হতে বাইক নিয়ে শুভর বাবা এসে উপস্থিত। শুভ দৌঁড়ে গিয়ে বাবাকে একটি চুমু করে পিছন দিকে তাকিয়ে ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ লজ্জায় চেহেরাটা লাল হয়ে উঠল।
ম্যাডাম অবশ্য তা বোঝতে পেরেছিল। তবে এইটা বোঝেেত পারেনাই এত ছোট বয়সে কেনো এত লজ্জা শুভর? তাও ম্যাডামকে দেখলে হয়। যখনি সে ম্যাডামের দিকে তাকাই তখনি লজ্জাই তার চেহেরার রং বদলে যাই।

রাত অনেক হলো শুভ বাবার পাশে শুয়ে আছে। বাবা শুভর মাথাই হাত ভুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে। আর শুভর ঘুম চলে আসল। প্রতি রাতের মতো এইবারও ঘুম ভাঙ্গার পর দেখতে পেল বাবা তার পাশে নাই। শুভ বিছানা থেকে উঠে বাড়ির এদিক ওদিক ঘুরে দেখল, “বাবা কোথাও নাই।”
শুভ বিছানাই শুয়ে পড়ল। একটু পর দরাজার শব্দ শুনা যাচ্ছে। শুভ বোঝতে পারল বাবা বাড়িতে ফিরে আসতেছে।
বাবা শুভর রুম ডুকে শুভকে বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ল।

ঠিক এভাবে প্রতি রাতে শুভর বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়, শুভর কাছে এইটা একটি চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। আজ রাতে শুভ না ঘুমিয়ে বাবাকে ধোকা দিল।

বাবা যখন মনে করল শুভ ঘুমিয়ে আছে। তখন বিছানা থেকে উঠে ডয়ার খুলে একটি পিস্তল হাতে নিল। তারপর বাসা থেকে বেরিয়ে গেল। শুভও বাবার পিছনে গিয়ে অনুসরণ করতে লাগল। বাবা কোথায় যায় কার কাছে যায়?

রখন রাত ২ঃ ৩০ মিনিট। একটি বাড়ির দেওয়াল বেয়ে শুভর বাবা উপরে উঠল। শুভ অল্প দূর থেকে সব দেখতে লাগল। তার বাবা জানলার পাশে দাঁড়িয়ে পিস্তলটা বের করল।
ঐ রুমে দুই জন নারী-পুরুষ ঘুমিয়ে ছিল। সে পিস্তলটা ওদের দিকেতাক করেছিল। তবে ঘুলি করতে পারে নি। তার হাত কাঁপতে লগল। এই সময় বাসার দারোয়ান তাকে দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে লাগল।
শুভর বাবা চিৎকার শুনে ফিরে আসার সময় ওরা তাকে গুলি করেছিল। সে অল্পদূর হেঁটে আসার পর মাটিতে পড়ে গেল। শুভ এসব কিছু নিজের দু চোখ দিয়ে দেখেছিল।
তখন শুভ দৌঁড়ে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতেছে।
তার বাবা এইটা বোঝতে পেরেছিল, শুভ এখন থেকে চলে না যায় ওরা শুভকেও শেষ করে দিবে। তার বাবা পিস্তলটা শুভর হাতে দিয়ে বলল, এইটা নিয়ে পালিয়ে যা। এই জগতে তোর আপন বলতে আর কেউ রইল না।
শুভ বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলল, বাবা তোমার কিছু হবে না। আমি তোমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাব। শুভ বাবাকে রাস্তার পাশে শুয়ে রেখে চারিদিকে চিৎকার করে সাহায্য চায়ল, কেউ তার ডাকে সাড়া দিল না। অবশেষে একজন পথোচারি একটি বাইকনিয়ে আসতেছে সে শুভর দিকে অগ্রসর হয়ে বলল “কি হয়েছে?”
শুভঃ আমার বাবার ঘুলি লেগেছে। ওনাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। অবশ্য এর আগে কথাটা আরো অনেক বার বলেছিল, তবে কেউ সাড়াদে নি। এই লোকটি তার ডাকে সাড়ে দিয়ে শুভর বাবার কাছে গিয়ে দেখতে পেল তার বাবা আর বেঁচে নাই।
লোকটি শুভর হাত ধরে বলল, ওনাকে বাড়িতে নিয়ে যাও।
শুভ এই কথাটা শুনে তার দিকে একটু তাকাল। আর তাকিয়ে বোঝতে পারল ওনি কি বলতেছে। তখন শুভ পিস্তলটা হাতে নিয়ে দৌঁড় দিল। পথোচারি লোকটিও তার পিছনে ছুটে গেল।
শুভ আবার চলে আসল সে বাড়িটাতে। যে বাড়িতে তার বাবা এসে চির বিদায় নিল।
শুভ এসে চিৎকার করে কাঁদতে লাগল, বাবা-বাবা বলে। আর সামনে না থাকিয়ে ওই মহিলা আর পুরুষটাকে গুলি করে মেরে পেলল।
তারপর শুভ স্তব্ধ হয়ে হাতে গুলিটা নিয়ে ওখানে দাঁড়িয়ে আছে। সে তখন ছোট ছোট শব্দ করে কান্না করতেছিল- তার শরীর কাঁপতে ছিল।
পথোচারি লোকটি এসে শুভর হাত ধরে বলল, “চল এখান থেকে, এখানে আর থাকাটা বিপদের কারণ হবে।
শুভ এসব কথা না শুনে বাড়িটার দিকে আবার ঘুলি করতে লাগল।
তখন পথোচারি লোকটি তাকে কোলে করে তুলে নিয়ে ওখান থেকে নিয়ে যাচ্ছে। তখনও শুভ বাড়িটার দিকে তাকিয়ে গুলি করতে লাগল।

শুভর মন এখনো ঠিক হয় নি। তা হাওয়ার কথাও নয়। জগতে তার বাবা ছাড়া কেউ ছিল না, তার মা, তার বাবাকে ছেড়ে ঠিক তখন অন্য পুরুষকে বিয়ে করেছিল। যখন শুভর বয়স ৮ মাস হয়েছিল।

এখন শুভর বয়স ১১ বছর। শুভ একদিকে বাবা হারাল অন্য দিকে নিজের মাথার উপর ২টি খুনের দায় পড়ে গেল। যাই হোক এসব নিয়ে শুভ মাথা ব্যথা করে না। যদি পুলিষের হাতে ধরা পড়ে তবে তাকে মৃত্যু দন্ড দেওয়া হবে না হয়তো। কারণ তার এখনো বয়স হয় নি। যাই হোক। শুভ বেঁচে থাকার স্বপ্নটাও আর দেখে না। সে তো তখন মরে গিয়েছিল, যখন তার মা, তাদের ছেড়ে চলে গেল, দ্বিতীয়বার মরেছিল তখন। যখন একমাত্র অবলম্বন বাবাকে হারিয়ে পেলল। তবু বেঁচে আছে শুভ। বেঁচে থাকা যতটা সহজ মরে যাওয়া তার চেয়েও বেশি কঠিন।

পথোচারি লোকটা বাসায় ডুকে শুভকে খোঁজে নিয়ে বলল, তোমার খিদা লাগছে তাই না? আজ কাজে দেরি হয়ে গেল। তাই ফিরতে দেরি হয়েছে। আমি এক্ষুনি রান্না করে নিচ্ছি- এই বলে রান্নার হাড়ি পাতিল চুলায় তুলে দিল।
শুভ তখন দেওয়ালে হেলান দিয়ে আনমনে বসে রইল। পথোচারি লোকটা রান্না শেষ করে টেবিলে খাবার রেডি করে শুভকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেত লাগল। আর শুভর দিকে তাকিয়ে বলল, মন খারাপ কেনো? তুমি তো একেবারে কাঁপিয়ে দিলে- যেভাবে বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষণ করলে- তুমি একদিন পুরো বাংলাই রাজত্ব করে বেড়াবে। যদিও শুভর এসবের তেমন ইচ্ছা নাই। তাই পথোচারির কথার কোনো জবাব দিল না শুভ।

খাওয়া শেষ করে শুভ বিছানাই বসে রইল, পথোচারি লোকটা নিজের ব্যাগটা হাতে নিয়ে বিছানাই বসে শুভকে বলল, আজকে কাজ ভালো হয়েছিল, তাই ফিরতেদেরি হয়ে গেল। এই দেখ, আজকের রোজগার, তার পর ব্যাগের সব জিনিস নিচে ডেলে দিল। ব্যাগ থেকে বাহির হলো অনেক মানি ব্যাগ, ও নারীদের স্বার্ণের অলংকার।
শুভ জিজ্ঞাস করল,এই গুলো কোত্থেকে?
পথোচারিঃ বোঝতে পারল শুভ এসবের মানে এখনো বোঝে উঠে নি। তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে ভাবতে লাগল, তার সর্ম্পকে শুভকে বলাটা কি ঠিক হবে? একটু ভেবে চিন্তাকরে বলল, আমি চুর- চুরি করি তবে বড় ধরণের কোনো সন্ত্রাসী করি না।
শুভ বলল, আজ থেকে চুরি বাদ দিয়ে দাও। এখন থেকে খুন করবে। পারবে না?
পথাচারি বলল, না আমার এসবে ভয় করে।
শুভ বলল, আপনাকে করতে হবে না আমি করব।

পথোচারি লোকটা ঘর সংসার করে নাই। তাই নিজের ছেলে-মেয়ে কেউ ছিল না। পথোচারি লোকটা চেয়েছিল শুভকে লেখা পড়া শিখিয়ে বড় মাপের মানুষ করবে। তাই শহরের বড় স্কুলে নিয়ে গেল ভর্তি করাতে শুভকে।

সেখানে গিয়েও বিড়ম্বনার শেষ নাই। পিন্সিপল স্যার দেখতে বেশ মুটা সোটা। সে তখন অফিস কক্ষে বসে আছে।
পথোচারি লোকটা শুভকে নিয়ে ওনার কাছে গিয়ে প্রর্থমে ওনাকে সালাম দিল। শুভও সালাম করল।
ওনি পথোচারিকে বসতে বলল, পথোচারি লোকটা ওনার সামনের চেয়ারে বসল। শুভ তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। পিন্সিপল স্যার পথোচারিকে লক্ষ্য করে বলল, ভালো খুব ভালো। ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষিত করে তুলার জন্য আমাদের মতো ভালো একটি স্কুলের প্রয়োজন। আর সবাই তো জানে আমাদের স্কুল এই শহরের সব চেয়ে বিখ্যাত।
পথোচারি বলল, হ্যাঁ তাইতো আপনার এখানে নিয়ে আসলাম।
পিন্সিপল বার বার পথোচারির দিকে তাকাচ্ছিল-আর বলেতে ছিল, তোমাকে কোথাও যেন দেখেছি।

একটু পর এইতো মনে পড়েছে..হবে না, এখানে কাউকে ভর্তি করা হবে না।
পথোচারি নিচু স্বরে বলল, কেনো?
পিন্সিপলঃ তুমি চুর-আমার মনে পড়েছে। তুমিই বিয়ে বাড়িতে আমার মোবাইল মা্যানিব্যাগ সব হাতিয়ে দিয়ে ছিলে।
পথোচারিঃ আর করব না, এখন তো আপনি পরিচিত হয়ে গেলেন পরিচিতদের কাছ থেকে চুরি করা যায় না।
পিন্সিপল চ্যাঁছিয়ে বলল, না হবে না, এখান থেকে বেরিয়ে যাও।
পথোচারি বলল, আমি ছোট খাট চুর, তবে এই ছেলেটা চুর না। আর তাছাড়া শুভ আমার ছেলে না।
পিন্সিপল বলল, তাহলে এই ছেলেটা আবার কার কাছ থেকে চুরি করে এনেছ? তুমি তো ভিষণ ঝামালাই পেলে দিবে।
পথোচারিঃ আমি তাকে চুরি করে আনিনাই-তার বাবা মা কেউ বেঁচে নাই। সে অনাত।
পিন্সিপলঃ এখানের প্রতি মাসের খরচ কত জান? এই অনাতটাকে ভর্তি করলে বেতন কে দিবে?
পথোচারিঃ আমি দিব।
পিন্সিপলঃ কোত্থেকে দিবে? তোমার কি লাক্ষ-লাক্ষ টাকার ব্যবসা বাণিজ্য আছে না’কি?
পথোচারিঃ নাই। আমি চুরি করে খরচটা বহন করব।
পিন্সিপলঃ হবে না। এসব চুরের স্থান এখানে হবে না।
পথোচারিঃ হবে না?
পিন্সিপলঃ একটু রেগে বলল, না হবে না। এখান থেকে বেরিয়ে যাও।
এতক্ষণ শুভ সব চুপ করে শুনছিল। কিন্তু এইবার আর চুপ রইল না। পথোচারি চুরি বের করে পিন্সিপলের গলায় ধরল একি সাথে শুভ পিস্তল বেরকরে পিন্সিপলের কপালে লাগিয়ে বলল, হবে?
ততক্ষণে পিন্সিপল স্যার অজ্ঞান হয়ে পড়ল। ওনার টেবিলে পানির বতল ছিল। পথোচারি বোতলটা নিয়ে মাথাই সব পানি ঢেলে দিল।

পিন্সিপল স্যারের জ্ঞান ফিরে আসার সাথে সাথে বলল, হবে একে বারে ফ্রীতে হবে। কোনো বেতন দিতে হবে না।
শুভর মাতাই হাত দিয়ে বলল, তুমি তো আমার ছেলের মতো।
শুভ বলল, তাহলে কাল থেকে ক্লাসে আসব?
স্যারঃ কাল না আজ থেকে যাও।

এখানে শুরো হলো এক নতুন জীবন। ক্লাসে আসা যাওয়া বন্ধুদের নিয়ে পার্কে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া। এভাবে কয়েকটা বছর পর হয়েছিল।
তারপর তার জীবনে আসল পরী নামের এক মেয়ে জানি না জ্বিনদের পরী কত সন্দুর হয়। তবে এই পরী অতুলনীয় সুন্দর ছিল আমার মনে হয় জ্বিনদের পরী হার মানবে।

শুভ অনেক বড় হয়ে গেছে এখন কলেজে পড়ে।
শুভর জীবনে ভালোলাগা ভালোবাসা এসব নাই। পরী শুভকে পছন্দ করতে এইটা সবাই জানে।
একদিন পরী এসে বলেদিল। শুভ আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।
শুভঃ বলল এসব আমার কাছে নাই।
পরীঃ সত্যি বলতেছি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না। শুভ তাহলে কি আর করা? এই কথা শুনে পরী চলে গেলে।

দু একদিন ক্লাসে আসে নাই পরী।
শুভ খোঁজ নিয়ে জানতে পারল পরী সেটাই করছিল। যেইটা শুভ চেয়েছিল। পরী আত্নহত্যা করছিল বাড়ির ছাদ থেকে লাপ দিয়ে কিন্তু বেঁচে গেল।
একথা জানতে পেরে শুভ ছুটে গেল হাসপাতালে। পরী হাসপাতালের বিছানাই শুয়ে আছে। তার পা-দুটু ভেঙে গেছে। সুস্থ হতে অনেক দিন সময় লাগবে।
শুভ নিজেকে পরীর সেবায় নিয়োজিত করল।
পরীর দেখা-শুনো সব শুভ করে। এভাবে বেশ কিছু দিন কেটে যাওয়ার পর দু জনের বিয়ে হয়েছিল।
বিয়ের পর সুখটা বেশি দিন থাকে নাই।
পরীকে সন্দেহ করতে শুরু করল শুভ। পরীর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া ফোনে কথা বলা, ফেসবুকে চার্ট করা এসব একেবারে সহ্য করতে পারত না শুভ।

পরী বলল, আচ্ছা তুমি কি আমাকে বিশ্বাস কর না? রফিক সাহেব আমার বন্ধু। সে খুব ভালো মানুষ। আর তার বয়স তো অনেক হলো এই বয়সী লোকদের সন্দহ করা ঠিক না। আর ওনি তো কখনো খারাপ ব্যবহার করে নাই। সে আমার একজন ভালো বন্ধু।
শুভঃ তোমার এক সাথে লেখা পড়া শেষ করেছি। তোমার বন্ধু হলে আমিও তো তাকে চিনতাম। কোত্থকে ফেসবুকের কোন এক পুরুষের সাথে এত চার্ট এত কথা বলার কি প্রয়োজন?
পরীঃ শুভকে জড়িয়ে ধরে বলল, আমাকে বিশ্বাস করতে পারবে।
শুভঃ বিশ্বাস করি তবু ভয় হয়। মানুষ এক অপরের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এখানে বয়স জাত বর্ণ এসব বাধা হয় না। তাই দূরে থাকে উচিত মা’নে কখন যে কি হয়?
পরীঃ একটু করে হেসে বলল, তুমি ভাবছ আমি তার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ব? আরে আমি তো বিবাহিত। আর কত বয়সি একটি লোক।
শুভঃ সেইটা তো সমস্যা, তুমি যদি অবিবাহিত হতে কোনো সমস্যা ছিল না। প্রেম ভালোবাসা তাদের জন্য। যারা অবিবাহিত। তবে বিয়ের পর রক্তের সম্পর্ক ছাড়া আর কারো সাথে তেমন কথা বলা পছন্দ হয় না।
পরীঃ এসব কি বল? মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।
শুভঃ সেইটা আমিও বিশ্বাস করি। তবে কারো প্রতি আসক্ত হওয়া নয়। আমি একটি জাতিকে ভালোবাসি, এইটা হচ্ছে ভালোবাসা আমি অনহারিদেরকে ভালোবেসে আহার দিচ্ছ। এইটা হচ্ছে ভালোবাসা। কোনো বিপদগ্রস্থকে সাহায্য করতেছি এইটা হচ্ছে ভালোবাসা। আমি কোনো একজনকে ভালোবেসে উপহার দিলাম, এইটা ভালোবাসা না এইটা হচ্ছে আসক্ত। আসক্ত থেকে সৃষ্টি হয় যৌবনরে আকাঙক্ষা-আর এই আকাঙক্ষা নষ্ট করে দেয় একটি পরিবার। গভীর ভালোবাসাটা রক্তের সম্পর্কের মধ্যে সীমিত থাকে। তাদরে বাইরে কারো সাথে কথা বলা আড্ডা দেওয়া আমি পছন্দ করি না। কোনো এক ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসা মেনে নেওয়া যায় না। ভালোবাসো পুরো জাতিকে।
পরীঃ আসলে আমি এসব বিশ্বস করি না, বন্ধুত্ব- শুধু বন্ধত্ব তার বেশি কিছ না-তোমাকে তো বলা হয় নি রফিক সাহেব কিছু দিনের মধ্যে দেশে আসতেছে।
শুভঃ তা জানার কোনো প্রয়োজন নাই আমার। এমন কত শত রফিক পড়ে আছে অনহারে যদি সম্ভব হয় তাদের খুঁজ রাখ। এইটা কল্যানময়।

রফিক সাহেব দেশে আসল আর পরীর সাথে আড্ডাদেয় ঘুরে বেড়ায়।
শুভ তাতে কোনো বাধা দিচ্ছে না। কারণ তাদের মধ্যে ভুল কিছু দেখে নাই।
কিছুদিন পর রফিক দেশরে বাইরে ফিরে গেল।
তার অল্প দিন পর আবার দেশে চলে আসল, এই কথাটা কিন্তু পরী শুভকে জানাই নি তাই শুভ জানত না।

অফিস শেষ করে বাসায় ফিরার সময় দেখা হয়ে গেল ছোট বেলার বন্ধু আদির সাথে।
শুভ আদিকে জড়িয়ে ধরে বলল, এতদিনে পর দেখা দিলে? কোথায় ছিলি এতদিন?
আদিঃ তোর তো কোনো খুঁজ খবর নাই কি করে দেখা হবে?। তুই তো বাবার মৃত্যুর পর একেবারে শহর ছেড়ে চলে গেলি। আর একটি বারও দেখা করলি না।
শুভঃ দেখা করি নাই ঠিক আছে তবে ফেসবুকে তো কথা হতো।
আদিঃ হুম! কিন্তু নিজের পরিচয় দিতে এত দেরি করলি কেনো?
শুভঃ ভয়ে। তুই যদি জানতে পারিস আমি সেই শুভ যে তোর ছোট বেলার বন্ধ, তুই তো আমার সাথে কোনে সম্পর্ক রাখতি না।
আদিঃ কেনো?
শুভঃ আমি তো খুনি-দুইটা খুন করেছিলাম।
আদিঃ তোর জায়গায় আমি হলে-আমিও তাই করতাম।
তারপর দুজনের মধ্যে দেখা হয়, ঘুরা হয়, আড্ডা দেওয়া হয়।
শুভ আদিকে লক্ষ্য করে বলল, তুইতো একটি বারও আমার বাসার যাস্‌ নি। চল তোর ভাবির সাথে পরিচয় করে দি।
আদিঃ পরে দেখা করব এখন না।
শুভ তাতে রাঝি হলো না। শুভ আদিকে নিয়ে বাসায় গেল। কিন্তু বাসায় পরী ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর, পরী বসাই ফিরে খুব ক্লান্ত হয়ে রুমে ঢুকে দরজাটা বন্ধ করে শুয়ে পড়ল।
আদি বলল, ভাবিকে ডাকিস না খুব ক্লান্তে হয়েছে মনে হয়। একটি ছবি দিয়েদিস্‌।
শুভ তাই করল। একটি ছবি আদিকে দিয়ে দিল। তারপর আদির সাথে আর দেখা হয় না। ফোন করলে বলে ব্যস্ত তাই আসতে পারতেছি না।
একদিন শুভ আদির বাসায় গিয়ে তার সাথে দেখা করে বলল, তোর কি হয়েছে তোকে খুঁজে পাচ্ছি না কেনো?
আদি বলল,ব্যস্ত তাই সময় দিতে পারে না। এমন সময় একটি কল আসল ।
আদি বলল, এক-মিনিট আমি আসতেছি।
কথা শেষ করে শুভর হত ধরে বলল, চল, শুভ কি হয়েছে?
আদিঃ তারা-তারি চল?

দু জনে বিমান বন্দরে গিয়ে উপস্থিত। সেখানে গিয়ে শুভর বোঝার বাকি রইল না। পরী রফিকের সাথে পালিয়ে যাচ্ছিল দেশের বাইরে।
শুভ তাদের দু জনকে খুন করে পেলল।

তারপর শুভ পরী চির দিনের জন্য আলাদা হয়ে গেল।

আদি শুভকে বলল, যখন ভাবির ছবি দেখেছিলাম তখন বোঝতে পারলাম তার আর রফিকের সমপর্ক আছে। ওরা দুজনকে ঘুরতে দেখতাম তবে জানতাম ওরা দুজন স্বামী স্ত্রী। যখন জানতে পারলাম তোরা দুজন স্বামী স্ত্রী তখন থেকে দু জনকে চোখে চোখে রাখতাম। আমার কয়েক জন বিশ্বস্ত মানুষকে ওদরে উপর নজর রাখার দায়িত্ব দিয়েছিলাম। ওরা আমাকে কল করে জানিয়ে ছিল ওরা পালিয়ে যাচ্ছে।

তারপর শুভ হয়ে উঠল এক অশুভ লক্ষণ। নানা অপরাধের সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছিল। তার অতীতটা খুব ভয়ঙ্কর ছিল। এ ভয়ঙ্কও অতীতটার সাথে বর্তমানটা মিশে হয়ে গেল আরো ভয়ঙ্কর।
পথোচারির কথটা বাস্তবে রূপ নিল। আজ শুভ সারা বাংলাকে কাঁপিয়ে তুলতেছে।

যে পথোচারি তাকে রাস্থা উঠিয়ে এনেছিল, সে চেয়েছিল শুভ একজন ভালো মানুষ হয়ে বেঁচে থাকুক। তবে তাই হলো না।
অবশেষে একদিন শুভ বোঝতে পারল তার সাথে যেটা হয়েছিল এইটা অন্যায়। তবে শুভ যেটা করতেছে এইটাও অন্যায়। তাই শুভ চেয়েছিল নিজেকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে এই অন্যায় হতে মুক্ত করতে তবে নিজেকে সরাতে পারেনাই। কারণ কোনো এক মায়াজালে শুভ জড়িয়ে পড়ল আবার।

একদিন বাইক নিয়ে নিজ শহরের উদ্দেশ্য রওনা হলো শুভ। এমন সময় তার চোখের সামনে পড়েল সে ম্যাডামকে। যিনি শুভকে অনেক ভালোবাসত। আর প্রতিদিন চকলেট দিত। যদিও শুভ ম্যাডামকে চিনতে পারল তবে ম্যাডাম তাকে চিনতে পারেনাই। না পারারও কথা। শুভ এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। চায়লে ম্যাডামের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারেব-
শুভ ম্যাডামের সামনে বাইকটা থেমে বলল, কেমন আছেন?
ম্যাডামঃ ভালো, আপনাকে ঠিক চিনতে পারলাম না?
শুভঃ চিনবেন না, চলুন আপনাকে পৌঁছে দিয়ে আসি।
ম্যাডামঃ না, আমি কোনো আপনার সাথে যাব আপনি কে?
শুভঃ ম্যাডাম আমি শুভ-
ম্যাডামঃ শুভ- আমার স্কুলের শুভ? তুমি এতদিন কোথায় ছিলে?
শুভঃ এই শহর ছিলাম না, তাই দেখা হয় নি।
ম্যাডামঃ তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছ। একেবারে চেনা যাচ্ছে না।
শুভঃ আপনি কিন্তু ঠিক আগের মতো রয়ে গেলেন কোনো পরিবর্তন হয় নি। আপনার মাঝে এতটুকু পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি যে আগে চোখে চশমা দিতেন না এখন দিন।

এভাবে তাদের মধ্যে নিয়মিত দেখা হয় কথা হয়।

শুভর ম্যাডামের এখনো বিয়ে হয় নি। শুভ এইটা বার বার জিজ্ঞাস করতে চায়ত তবে লজ্জায় বলতে পারত না।

নদীর পাড়ে দু জন বসে আছে। বাতাসে ম্যাডামের চুল গুলো উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
ম্যাডাম শুভকে বলল, আমার নৌকা নিয়ে ঘুরতে খুব ভালো লাগে চলো- দু জন নৌকায় বসে ঘুরতেছে। শুভ ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে বলল, আপনাকে একটি কথা জিজ্ঞাস করতে চায়।
ম্যাডামঃ আপনি না বলে তুমি করে বল- তুমি এখন অনেক বড় হয়ে গেছ। লোকে আমাদের দু জনকে প্রেমিক-প্রেমিকাও ভাবে।
আবার লজ্জায় শুভর চেহেরা লাল হয়ে উঠল।
ম্যাডাম বলল, এইতো দেখতেছি তোমার চেহেরা লাজ্জায় লাল হয়ে গেল সে ছোট বেলার মতো।
শুভঃ আপনি বিয়ে করেন নি কোনো?
ম্যাডামঃ কাউকে ভালো লাগে নি। তাই বিয়ে করি নাই। এখন একজনকে মন চায়। যদি সম্ভব হতো তাকে বিয়ে করে নিতাম।
শুভ বলল, শুভ কামনা রইল। বিয়ে করেনিন- তার পরিচয়টা জানতে পারি?
ম্যাডামঃ অপেক্ষায় থাক জানে যাবে।

একদিন ম্যাডাম বলল, আমি তোমাকে বিয়ে করতে চায়। দেখ শুভ! তুমি আর আমার মধ্যে কোনো দিন মিল হওয়া সম্ভব না। এইটা ভাবে সবাই। কেনো সম্ভব না? তুমি আমার ছাত্র ছিলে তাই? তবে এখন তো নাই-আর ছোটও নাই। আর একটি কথা ভালো করে জানো- সেইটা হলো ভালোবাসা বয়স, জাত, বর্ণ এসবের উর্ধে।
একজন পুরুষ একজন নারীর প্রতি যেকোনো সময় আকৃষ্টি হতে পারে। এইটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে এইটাও সত্য একজন নারী একজন পুরুষের প্রতি আসক্ত হতে পারে। সেখানে যদি পাপ না থাকে তা স্বাভাবিক। তোমার সম্পর্কে সব তো জেনেছি। তুমি তো একা তোমার তো স্ত্রী নাই। আমাকে জীবন সঙ্গি করে নিলে তুমি ঠকবে না। একবার কাছে টেনে দেখ।

শুভ বলল, তোমারটা অসস্বাভাকিব না অস্বাভাবিক ছিল আমারটা যেমনটা হয়ে ছিল আমার উপর-
ম্যাডাম বলল, কি হয়েছিল তোমার?
শুভ বলল, আমার সংসার ছিল বিয়ে করেছিলাম তবে এখন আর কিছু নাই। এক বোক শূন্যতা নিয়ে বেঁচে আছি।
তার পর নিজের অতীতটা বলতে লাগল।

বাবার কাছে শুনেছিলাম আমার মা জন্মের সময় মারা গেছে। আসলে আমার বাবা আমার সাথে মিথ্যা বলেছিল। আমার মা মারে যায় নি। আমার মা আমার বাবাকে ছেড়ে আমাকে রেখে অন্য কাউকে বিয়ে করেছিল। তা আমি জানতাম না।
বাবার মৃত্যুর পর একটি ডাইরি পেয়েছিলাম, সেখান থেকে জানতে পেরেছিলাম।

আমার বাবার নাম ছিল জয়, ওনি লেখা পড়াই ভালো ছিল। আর আমার মায়ের নাম ছিল ইতি। দু-জনেই একি ক্লাসে পড়ত।
মা বাবাকে ভালো বাসত আর বাবা মাকে ভালো বাসত তবে সমস্যা ছিল বাবাকে নিয়ে। কেউ যদি মায়ের দিকে তাকাই তা সহ্য কারার ক্ষমতা বাবার ছিল না। একদিন ক্লাসের এক বন্ধু মাকে একটি ফুল উপহার দিয়ে ছিল। তখন আমার মা বাবার বিয়ে হয় নি।
বাবা যখন এই কথা জানতে পারল। তখন ছেলেটাকে ভিষণ মারছিল।
মা জানতে পেরে বাবার সাথে বেশ কিছু দিন কথা বলে নাই। এই শাস্তিটা বাবার জন্য যথেষ্ট ছিল। বাবা মাকে অনেক বেশি ভালোবাসত তাই সব কিছু মেনে নিতে শিখল ।
এখন মা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলে বাবা বাঁধাদেয়ে না। ওদরে মধ্যে বিয়ে হওয়ার বিয়ের পর বাবা মাকে বার বার বলত আগের জীবন আর এখনের জীবন এক না। এখন বন্ধ-বান্ধব এসব না করে সংসারের দিকে মনোযোগি হও।
মা এসব কথা শুনত, তবে মানত না। এভাবে চলতে লাগল সংসার। বাবা মায়ারে মধ্যে সব সময় লেগে থাকত ঝগড়া-বিবাধ।
তার মাঝে জন্ম হয়েছিল এই অভাগাটার।
আমার জন্মের পর মা নিজেকে অপরাধী ভাবতে লাগল। এখন মনে হচ্ছে তার সুখ স্বাধীনতা সব কিছু বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছ। মা চেয়েছিল আগের মতো ঘুরি ঘুরি আড্ডা এসবের মাঝে থাকতে। তবে আমার কারণে মায়ের সব শেষ। বাবা তখনও থেকে আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসত। মা চেয়েছিল চেয়েছিল আমাতে দত্তক দিয়ে দিবে। বাবা তাতে রাঝি হয় নি।

মা আনেক রাত করে বাসায় ফিরত। তা নিয়ে বাবা-মায়ের ঝগড়া আরো বেড়ে গেল। একদিন আমার মা আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায়। তার কিছুদিন পর বাবা জানতে পারল মা অন্য কাউকে নিয়ে ঘর সাজাল। জানি না মা কত সুখ পেল। শুধু নষ্ট হলে আমার জীবনটা।

তার পর বাবা প্রতি রাতে আমায় ঘুমিয়ে রেখে বেরিয়ে যেত। এক রাতে বাবা ওদরে দু জনকে খুন করতে গিয়েছিল।
তবে বাবার হাত কাঁপছিল তাই নিজে খুন হয়ে যায়। আর তখন আমি ওদের দু জনকে খুন করে দি। বাবার হাত কাঁপছিল কিন্তু আমার কাঁপে না। তাই পরীকেও শেষ করেদিলাম। তারপরও কি তুমি আমাকে বিয়ে করবে?
ম্যাডামঃ হ্যাঁ তোমাকে বিয়ে করব।
তারপর ওদরে মধ্যে বিয়ে হলো। প্রর্থম রাতে যখন দেখা হলো দু-জনের। তখন ম্যাডাম বিছানার উপর মাথাটা নিচু করে বসেছিল। সে কিন্তু প্রচুর লজ্জা পাচ্ছিল। শুভ তার মাথার ঘুমটা তুলে দিয়ে বলল, এখন তো দেখতেছি তোমার চেহেরা লজ্জায় লাল হয়ে উঠল।
তার পর হাতটা ধরে বলল, পৃথিবীতে এমন কিছু ভালোবাসা হয় যা ভাগ করা যায় না। আমি তোমার কাছ থেকে সে ভালোবাসাটা চেয়েছি তুমি কি তা আমাকে দিতে পারবে না?
ম্যাডামঃ একটু হেসে হুম। তাই পাবা। তুমি শুধু আমার আমি শুধু তোমার। স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা ভাগ করা যায়। যেমন-
মনে করো তুমি আপেল খেতে ভালোবাসো। আমিও আপেল খেতে ভালোবাসি। তখন একটি চুরি নিয়ে আপেলটাকে কেটে দু টুকরো করে খাব। আপেলের প্রতি দু জনের ভালোবাসা আছে। তাই ভাগ করে নিলম। এইটা ভাগ করা যায় এমন ভালোবাসা। হোস্টলে থাকতে আমরা সব বন্ধবীরা একটি গ্লাসে করে পানি পান করতাম। এইটা ভাগ করা যায় এমন ভালোবাসা। তবে তোমাকে যে ভালোবাসাটা দিব সেইটা ভাগকরা যায় না। আর তোমার কাছ থেকে যা পাব তারও ভাগ হয় না।
১৫-৬-২০১৮n
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৭৯৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৫/০৬/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast