যত প্রেম তার চেয়ে বেশি জ্বালা
যত প্রেম তার চেয়ে বেশি জ্বালা-
মোমিনুল হক আরাফাত
ইছামতি গ্রামের নীরহ মাটিতে জয়ের জন্ম। গ্রামের পাশ দিয়ে ভয়ে গিয়েছিল ডলু নামের এক নদী গ্রামে তেমন লোকালয় ছিল না। জয় খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে। পাড়ার সবাই তার সুনান করত। তর কখনো প্রেম ভালবাসার ইচ্ছা ছিল ন।। তারমনে প্রেম বলতে কিছুই ছিলনা। হঠাৎ শহরের পরিবেশ থেকে আসা এপী নামের মেয়ে ঠিকে দেখে তার কেমন যেন লাগল হয়তো প্রেমে পড়েগেছে।
আমানত তার কাছেগিয়ে চাপিয়ে বসল। তারপর তাকে বলল, দোস আগে কিছু খাব তারপর তোর সাথে মজার গল্প শুরো করব।
জয় বলল, খাবার তো অবশ্যই হবে আগে বল কী কথা? আমানত বলল, পরে বলব-আগে খেয়ে নিয়ে। জয়কে বলল, দোস তোঁকে অল্প দিন ধরে অন্য রকম লাগতেছে কারণটা জানতে পারি? মনে হয় বেশি আনন্দে আসিছ। জয় বলল হ্যাঁ বন্ধু আনন্দে তো আছি! তবে জানিনা কভে সার্থক হব।
আমানত বলে উঠল দোস আমি বেঁচে থাকতে তোর কীসের ভয়? বলনা কী করতে হবে? সাত সমুদ্র পাড়ি না চাদের দেশে বাড়ি?
জয় বলল, তাহলে শোন, শহর থেকে আসা এপীকে আমি জীবন সঙ্গী করে নিতে চাই। মানে আমি তার প্রেমে পড়ে গেছি।
আমানত বলল, আস্তে পড়িস না হয় না হয় নাক মুখ পেটে যাবে। আমানতের কথা শোনে তার তেমন ভাল লাগল না। আমানত তাকে বুঝাল ওরা হচ্ছে বড় লোক তোদের এই সম্পর্ক কখনো মেনে নিবে না। আর তা ছাড়া প্রেমে পড়া তো ভাল না। মানে যত প্রেম তার চেয়ে বেশি জ্বলা।
জয় বলল, এসব আমার কাছে কিছুই না। আমি সব সহ্য করতে পারি। মনে রাখ বন্ধু আমি কিন্তু এপীকে বিয়ে করে ছাড়ব না। বিয়ে করে সারা জীবন সংসার করব।
আমানত বলল, তুই যখন এত বড় সিদ্ধান্ত একাই নিয়ে নিলি আমি বাদ দেওয়ারকে। আমি যতটুকু সম্ভব তোক সাহায্য করে যাব।
জয় এপীকে মনের কথা জানতে আগ্রহী হল। জয় এপীর কাছে গিয়ে উপস্তত হল। এপী তখন ডলু নদীর পাড়ে ধ্যান মগ্ন ছিল। জয় এক দৃষ্টিতে এপীর দিকে তাকিয়ে রইল। এপীকে কিছু একটা বলে ধ্যান ভঙ্গ করেদে এমন ছেলে কিন্তু জয় নয়। তাই সে বাড়িতে ফিরে এল। জয় আমানতের কাছে এসে একটি বুদ্ধী চাইল। আমানত তাকে কিছু না বলে বিদায় জানল। পরের দিন একি সময়ে জয়, এপীর পাশে উপস্তত হল। জয় আস্তে আস্তে বলল বসতে পারি? জবাবে এপী একটু মিষ্টি হাসী দিয়ে বলল, পার আপত্তি নাই।অল্পক্ষণ দু-জনের মাঝে গল্প হল। তারপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসল। দু জন দু জনার বাসাই ফিরে আসল। সারা রাত জয়ের দু চোখে ঘুম আসল না। কী হল আজ নিজেও জানেনা। এই ভাবে প্রভাতের সূচনা হল।
জয় এপীর কাছে গিয়ে বলল, এপী! আজ তোমাকে একটি মনের কথা শেয়ার করব।
এপী আগ্রহী শোনতে। জয়ের বুকের মাঝে শব্দ করতে লাগল। মুখ দিয়ে কোন কথাই আসতে চাইল না।
এপী বলল, কী হল? তুমি চুপ করে রইলে যে। বলো-না কী বলবে। জয় চোখ বন্ধ করে বলল, এপী আমি তোমাকে জীবনের মতো মূল্য বান বস্তুর চেয়েও বেশি ভালবাসি।
এপী কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর সেও বলল, আমিও একি অবস্তায় পড়েছি কিন্তু বলার সাহস ছিলনা। শুরো হয়ে গেল দু জনার মাঝে প্রেম এক জন অপর জনকে না দেখে এক মুহত্ব থাকতে পারে না।দু জন তো এখন পৃথিবীর বাইরে গিয়ে স্বর্গ রাজ্যে বাস করতেছে তাই লেখা পড়ার কথাও ভুলে গিয়েছিল। এখন তো শুধু প্রেম করার সময়।
কিছু দিন পর এপীর জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসল, এপী এই কথা জয়কে জানাল আর বলল, চল দু জন বাড়ি পালিয়ে বিয়ে করে নি।
জয় তো এই রকমের ছেলে নয়। জয় বলল তোমার মা বাবা তোমাকে অনেক আঁদর যত্নে বড় করেছে। তাদেরকে না বলে এই ভাবে বিয়ে করাটা আমার পক্ষে সম্ভব না।
যখন এপীর পরিবার তাদের সম্পর্ক জানতে পারল তখন নতুন করে আগুম জ্বল শুরো করল। জানিনা এই আগুন কভে নিভবে। এপীর মা বাবা তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাইল। এপী কিছুতেই এই বিয়েতে রাজি নয়। তবুও তার পরিবার তাকৈ জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এপীর বিয়ের অনুষ্টান শুরো হয়ে গেল।
জয়ের অবস্তা ভাল না। যতটুকু বোঝা গেল এপীকে না পেলে জয়কে হারাতে হবে। আমানত আর কয়েক বন্ধু মিলে এপীর
বাড়ির দিকে অগ্রসর হলা। সেখানে গিয়ে দেখতে পেল, এপী বিয়ের আসরে বসে চোখ মুছতে লাগল। তখন আমানত চিৎকার করে বলল, অন্য বন্ধদের - আয় সবাই আয় আজ যেকোন ভাবে এপী ভাবিকে উদ্ধার করব। তাদের দেখা মাত্র এপী মঞ্চ থেকে উঠে তাদের সাথে চলে আসল ।
জয় আর এপীকে বিয়ে পড়য়ে দিয়ে তারা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল কিন্তু ভাগ্যটা খারাপ ছিল। দুই মাসের সংসার হওয়ার পর এপীর পরিবারের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক প্রযায়ে এপীর মা বাবা তাকে বাসাই ফিরে নিয়ে গেল আর জয়ের বুকে ফিরে আসতে দিল না। যাই হোক এপী এখন বেশ ভালই আছে।
জয় কিছুতেই ভুলতে পারলনা এপীর স্মৃতি। স্মৃতি গুলো কান্না হয়ে ভেসে এসে ব্যতিত করে তুলে জয় নামের নীরহ ছেলেটাকে। কবি মোমিনুল হক 01818294184
এপীর পরিবার তাকে বিয়ে দিয়ে দিল এক প্রবাসিকে। সেখানে এপী সুখের সন্ধান খুঁজে পেল। আর জয়ের জীবনে নেমে আসে দুঃখের কালো ছায়া । এতবড় ধরাতে জয়ের আপন বলতে আর কেউ আছে বলে মনে হচ্ছে না।
একদিন ভোর সকালে উঠে বাড়ি ত্যাগ করে ছুটে গেল দেশের অন্য প্রান্তে। ভুলে গেল মা বাবার সমৃতি। ভুলে গেল আমানত নামের কোন বন্ধু তার ছিল। এক বেলা খাওয়া হলে দু ভেলা না খেয়ে চলে যায় দিন। জয় পৃথিবীর কাছে আশ্রয় চাইল না। চাইল মরণ। লেগে গেল নেশার সাথে; যে ছেলে কখনো কল্পনাও করেনাই এমন কোন অবস্তা আসবে তার জীবনে। কখনো ভাবেনাই নেশার রঙ্গীন মায়াই মিশিয়ে যাবে স্বপ্ন সকল।
সে দিন আকাশে কোন মেঘ ছিল না। চারি দিকে মৃদু হাওয়া বাইতে লাগল। জয় রাস্তার পাশ দিয়ে হেঠে যাচ্ছিল হঠা- তার ভিষণ খারাপ লাগতেছে।এমন সময় রাস্তার পাশ দিয়ে হেঠে যাওয়া এক যুবক জয়কে ডাক্তারের নিয়ে গেল। ডাক্তারের পরীক্ষায় এমন একটি রোগ ধরা পড়ল যা মনে পড়লে চোখের জল ধরে রাখা যয় না। কবি মোমিনুল হক 01818294184
জয়ের ক্যন্সার হয়েছে আর বেশি দিন এই পৃথবীতে থাকা তার পক্ষে সম্ভব না।এই কথা শোনে জয় অস্তির হয়ে পড়ল। তার মনে ব্যকূল আশা জাগল মা ববাকে দেখার জন্য।
পরদিন ছুটে আসল বাসাই।জয়কে দেখা মাত্র তার মা চি-কার দিয়ে বলল, আয় খোকা বুকে আয়! জয় বলল, মা, বাবা কোথায়?
মা বলল, মসজিদে গেছে তোর জন্য প্রার্থনা করার জন্য। জয় একটি দীর্ঘ শ্বাষ দিয়ে বলল, মা! দোয়াতো হয়ে গেছে।
জয় মায়ের চেহেরার দিকে তাকয়ে বলল, আমি তোমাদের ছেড়ে আর কোথাও যব না। আমি বুঝতে পারলাম মা; আমি আগুন নিয়এ খেলা করেছিলাম। তাই তো জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেলাম। এই ভুল আর কখনো করব না। বিশ্বাস আর ভাসবাসা এত মূল্য হীন আগে জানতাম না। যদি জানা থাকত কারো কাছে এই ভাবে হেরে যেতাম না। মা আমার বন্ধু আমানতকে বলিও সে যেন আমাকে ক্ষমা করে দে। আমি তো তার অভার্দ হয়ে এই ভুল করেছিলাম। এই চারটি কথা বলে বাংলারবুক থেকে বিদায় নিল জয়। ৯ আশ্বিন ১৪০৮ বাংলা, ২৪-৯-২০০১ ইং
প্রিয় বন্ধু!
মোমিনুল হক আরাফাত
ইছামতি গ্রামের নীরহ মাটিতে জয়ের জন্ম। গ্রামের পাশ দিয়ে ভয়ে গিয়েছিল ডলু নামের এক নদী গ্রামে তেমন লোকালয় ছিল না। জয় খুব শান্ত স্বভাবের ছেলে। পাড়ার সবাই তার সুনান করত। তর কখনো প্রেম ভালবাসার ইচ্ছা ছিল ন।। তারমনে প্রেম বলতে কিছুই ছিলনা। হঠাৎ শহরের পরিবেশ থেকে আসা এপী নামের মেয়ে ঠিকে দেখে তার কেমন যেন লাগল হয়তো প্রেমে পড়েগেছে।
আমানত তার কাছেগিয়ে চাপিয়ে বসল। তারপর তাকে বলল, দোস আগে কিছু খাব তারপর তোর সাথে মজার গল্প শুরো করব।
জয় বলল, খাবার তো অবশ্যই হবে আগে বল কী কথা? আমানত বলল, পরে বলব-আগে খেয়ে নিয়ে। জয়কে বলল, দোস তোঁকে অল্প দিন ধরে অন্য রকম লাগতেছে কারণটা জানতে পারি? মনে হয় বেশি আনন্দে আসিছ। জয় বলল হ্যাঁ বন্ধু আনন্দে তো আছি! তবে জানিনা কভে সার্থক হব।
আমানত বলে উঠল দোস আমি বেঁচে থাকতে তোর কীসের ভয়? বলনা কী করতে হবে? সাত সমুদ্র পাড়ি না চাদের দেশে বাড়ি?
জয় বলল, তাহলে শোন, শহর থেকে আসা এপীকে আমি জীবন সঙ্গী করে নিতে চাই। মানে আমি তার প্রেমে পড়ে গেছি।
আমানত বলল, আস্তে পড়িস না হয় না হয় নাক মুখ পেটে যাবে। আমানতের কথা শোনে তার তেমন ভাল লাগল না। আমানত তাকে বুঝাল ওরা হচ্ছে বড় লোক তোদের এই সম্পর্ক কখনো মেনে নিবে না। আর তা ছাড়া প্রেমে পড়া তো ভাল না। মানে যত প্রেম তার চেয়ে বেশি জ্বলা।
জয় বলল, এসব আমার কাছে কিছুই না। আমি সব সহ্য করতে পারি। মনে রাখ বন্ধু আমি কিন্তু এপীকে বিয়ে করে ছাড়ব না। বিয়ে করে সারা জীবন সংসার করব।
আমানত বলল, তুই যখন এত বড় সিদ্ধান্ত একাই নিয়ে নিলি আমি বাদ দেওয়ারকে। আমি যতটুকু সম্ভব তোক সাহায্য করে যাব।
জয় এপীকে মনের কথা জানতে আগ্রহী হল। জয় এপীর কাছে গিয়ে উপস্তত হল। এপী তখন ডলু নদীর পাড়ে ধ্যান মগ্ন ছিল। জয় এক দৃষ্টিতে এপীর দিকে তাকিয়ে রইল। এপীকে কিছু একটা বলে ধ্যান ভঙ্গ করেদে এমন ছেলে কিন্তু জয় নয়। তাই সে বাড়িতে ফিরে এল। জয় আমানতের কাছে এসে একটি বুদ্ধী চাইল। আমানত তাকে কিছু না বলে বিদায় জানল। পরের দিন একি সময়ে জয়, এপীর পাশে উপস্তত হল। জয় আস্তে আস্তে বলল বসতে পারি? জবাবে এপী একটু মিষ্টি হাসী দিয়ে বলল, পার আপত্তি নাই।অল্পক্ষণ দু-জনের মাঝে গল্প হল। তারপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসল। দু জন দু জনার বাসাই ফিরে আসল। সারা রাত জয়ের দু চোখে ঘুম আসল না। কী হল আজ নিজেও জানেনা। এই ভাবে প্রভাতের সূচনা হল।
জয় এপীর কাছে গিয়ে বলল, এপী! আজ তোমাকে একটি মনের কথা শেয়ার করব।
এপী আগ্রহী শোনতে। জয়ের বুকের মাঝে শব্দ করতে লাগল। মুখ দিয়ে কোন কথাই আসতে চাইল না।
এপী বলল, কী হল? তুমি চুপ করে রইলে যে। বলো-না কী বলবে। জয় চোখ বন্ধ করে বলল, এপী আমি তোমাকে জীবনের মতো মূল্য বান বস্তুর চেয়েও বেশি ভালবাসি।
এপী কিছুক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর সেও বলল, আমিও একি অবস্তায় পড়েছি কিন্তু বলার সাহস ছিলনা। শুরো হয়ে গেল দু জনার মাঝে প্রেম এক জন অপর জনকে না দেখে এক মুহত্ব থাকতে পারে না।দু জন তো এখন পৃথিবীর বাইরে গিয়ে স্বর্গ রাজ্যে বাস করতেছে তাই লেখা পড়ার কথাও ভুলে গিয়েছিল। এখন তো শুধু প্রেম করার সময়।
কিছু দিন পর এপীর জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসল, এপী এই কথা জয়কে জানাল আর বলল, চল দু জন বাড়ি পালিয়ে বিয়ে করে নি।
জয় তো এই রকমের ছেলে নয়। জয় বলল তোমার মা বাবা তোমাকে অনেক আঁদর যত্নে বড় করেছে। তাদেরকে না বলে এই ভাবে বিয়ে করাটা আমার পক্ষে সম্ভব না।
যখন এপীর পরিবার তাদের সম্পর্ক জানতে পারল তখন নতুন করে আগুম জ্বল শুরো করল। জানিনা এই আগুন কভে নিভবে। এপীর মা বাবা তাকে জোর করে বিয়ে দিতে চাইল। এপী কিছুতেই এই বিয়েতে রাজি নয়। তবুও তার পরিবার তাকৈ জোর করে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে। এপীর বিয়ের অনুষ্টান শুরো হয়ে গেল।
জয়ের অবস্তা ভাল না। যতটুকু বোঝা গেল এপীকে না পেলে জয়কে হারাতে হবে। আমানত আর কয়েক বন্ধু মিলে এপীর
বাড়ির দিকে অগ্রসর হলা। সেখানে গিয়ে দেখতে পেল, এপী বিয়ের আসরে বসে চোখ মুছতে লাগল। তখন আমানত চিৎকার করে বলল, অন্য বন্ধদের - আয় সবাই আয় আজ যেকোন ভাবে এপী ভাবিকে উদ্ধার করব। তাদের দেখা মাত্র এপী মঞ্চ থেকে উঠে তাদের সাথে চলে আসল ।
জয় আর এপীকে বিয়ে পড়য়ে দিয়ে তারা নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল কিন্তু ভাগ্যটা খারাপ ছিল। দুই মাসের সংসার হওয়ার পর এপীর পরিবারের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক প্রযায়ে এপীর মা বাবা তাকে বাসাই ফিরে নিয়ে গেল আর জয়ের বুকে ফিরে আসতে দিল না। যাই হোক এপী এখন বেশ ভালই আছে।
জয় কিছুতেই ভুলতে পারলনা এপীর স্মৃতি। স্মৃতি গুলো কান্না হয়ে ভেসে এসে ব্যতিত করে তুলে জয় নামের নীরহ ছেলেটাকে। কবি মোমিনুল হক 01818294184
এপীর পরিবার তাকে বিয়ে দিয়ে দিল এক প্রবাসিকে। সেখানে এপী সুখের সন্ধান খুঁজে পেল। আর জয়ের জীবনে নেমে আসে দুঃখের কালো ছায়া । এতবড় ধরাতে জয়ের আপন বলতে আর কেউ আছে বলে মনে হচ্ছে না।
একদিন ভোর সকালে উঠে বাড়ি ত্যাগ করে ছুটে গেল দেশের অন্য প্রান্তে। ভুলে গেল মা বাবার সমৃতি। ভুলে গেল আমানত নামের কোন বন্ধু তার ছিল। এক বেলা খাওয়া হলে দু ভেলা না খেয়ে চলে যায় দিন। জয় পৃথিবীর কাছে আশ্রয় চাইল না। চাইল মরণ। লেগে গেল নেশার সাথে; যে ছেলে কখনো কল্পনাও করেনাই এমন কোন অবস্তা আসবে তার জীবনে। কখনো ভাবেনাই নেশার রঙ্গীন মায়াই মিশিয়ে যাবে স্বপ্ন সকল।
সে দিন আকাশে কোন মেঘ ছিল না। চারি দিকে মৃদু হাওয়া বাইতে লাগল। জয় রাস্তার পাশ দিয়ে হেঠে যাচ্ছিল হঠা- তার ভিষণ খারাপ লাগতেছে।এমন সময় রাস্তার পাশ দিয়ে হেঠে যাওয়া এক যুবক জয়কে ডাক্তারের নিয়ে গেল। ডাক্তারের পরীক্ষায় এমন একটি রোগ ধরা পড়ল যা মনে পড়লে চোখের জল ধরে রাখা যয় না। কবি মোমিনুল হক 01818294184
জয়ের ক্যন্সার হয়েছে আর বেশি দিন এই পৃথবীতে থাকা তার পক্ষে সম্ভব না।এই কথা শোনে জয় অস্তির হয়ে পড়ল। তার মনে ব্যকূল আশা জাগল মা ববাকে দেখার জন্য।
পরদিন ছুটে আসল বাসাই।জয়কে দেখা মাত্র তার মা চি-কার দিয়ে বলল, আয় খোকা বুকে আয়! জয় বলল, মা, বাবা কোথায়?
মা বলল, মসজিদে গেছে তোর জন্য প্রার্থনা করার জন্য। জয় একটি দীর্ঘ শ্বাষ দিয়ে বলল, মা! দোয়াতো হয়ে গেছে।
জয় মায়ের চেহেরার দিকে তাকয়ে বলল, আমি তোমাদের ছেড়ে আর কোথাও যব না। আমি বুঝতে পারলাম মা; আমি আগুন নিয়এ খেলা করেছিলাম। তাই তো জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে গেলাম। এই ভুল আর কখনো করব না। বিশ্বাস আর ভাসবাসা এত মূল্য হীন আগে জানতাম না। যদি জানা থাকত কারো কাছে এই ভাবে হেরে যেতাম না। মা আমার বন্ধু আমানতকে বলিও সে যেন আমাকে ক্ষমা করে দে। আমি তো তার অভার্দ হয়ে এই ভুল করেছিলাম। এই চারটি কথা বলে বাংলারবুক থেকে বিদায় নিল জয়। ৯ আশ্বিন ১৪০৮ বাংলা, ২৪-৯-২০০১ ইং
প্রিয় বন্ধু!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মানসূর আহমাদ ১৮/১১/২০১৬গল্পটা ভালোই। তবে নামটা অনেক বড় হয়ে গেছে। নাম ছোট হলে বোধহয় আরো ভালো হত।
-
মোনায়েম খান নিজাম ১৮/১১/২০১৬লেখা ভালো। সম্ভবতঃ মোবাইল ফোনে অভ্র দিয়ে লেখার কারণে প্রচুর বানান ভুল থেকে গেছে। এগুলো শুদ্ধ করলে লেখাটির মান বাড়বে।
শুভেচ্ছা রইলো। -
রাজু আহমেদ ২৫/০৭/২০১৬ঠইক
-
পরশ ২১/০৭/২০১৬এক্দম ঠিক
-
ফয়জুল মহী ২০/০৭/২০১৬শোভন করে গোছানো বিবরণ
-
নাবিক ১৯/০৭/২০১৬হুম বেশি পিরিতির বেশি জ্বালা।