মাতৃভাষা বাংলা
মাতৃভাষা বাংলা
মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজন ভাষার। এই ভাষা দিয়ে মানব সমাজের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদিত হয়। কোন কাজ সম্পাদন করতে গিয়ে পরষ্পরের সাথে কথার আদান-প্রদান করতে হয়। তবেই সে কাজটি সুসম্পন্ন হয়।
এ নিয়ম এভাবে যুগে যুগে মনুষ্য সমাজে চলে আসছে। ভাষার মাধ্যমে তাদের যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করছে। একে অপরের সাথে ভাব বিনিময় করছে। আর সে এ ভাষা আয়ত্ব করছে তার মা-বাবা থেকে। জন্মের পরপরই কেউ কথা বলা শিখে না। শিশু যখন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে, তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো বিকশিত হতে থাকে-প্রথম সে তার মায়ের কাছ থেকে ভাষা শেখে। মায়ের মুখের বলা কথাই সে প্রথম শেখে। আর শেখে বলেই একে মায়ের ভাষা বলে বা মাতৃভাষা বলে। মায়ের শেখানো প্রথম বুলিই হলো মাতৃভাষা।
মহান রাব্বুল আলামীন মানুষ সৃষ্টির মাধ্যমে এই পৃথিবীতে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করেছেন। একের সাথে অপরে কিভাবে কথা বলবে তাও শিখিয়েছেন। এটা আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান। এই জ্ঞান দিয়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই মানুষ ভাষা আয়ত্ব করতে পারে। মহান আল্লাহ তাআলা নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন- “আল্লামাহুল বায়ান”। যার অর্থ, তিনি (মানুষকে) কথা বলা তথা ভাষা শিখিয়েছেন। সূরা আররাহমান। আয়াত ৪।
সুতরাং ভাষা শেখা এবং একটি ভাষা জাতীয় হিসেবে পাওয়া মানুষের অধিকার। আর এমন কে আছে তাকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করে? যে বঞ্চিত করে তার চাইতে জালিম আর কে হতে পারে?
এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারী। আমার এ প্রিয় মাতৃভূমির জনগণ ভাষার জন্য, মায়ের শেখানো বুলির জন্য, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য আন্দোলন করতে হয়েছে। শহীদ হতে হয়েছে। রক্ত ঝরাতে হয়েছে।
বাংলার বুকে যাদের রক্ত ঝরেছে এই ভাষার জন্য আমরা তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। হৃদয়ের সবটুকুন ভালোবাসা শুধুই তাদের জন্য।
তাদের এই ত্যাগ-কুরবানী সংগ্রাম সাধনা ও আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে এই দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আমরা তাদের কখনো ভুলবো না। ভুলতে পারি না। প্রীতিডোরে বেঁধে রাখবো সারা জীবন।
মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য প্রয়োজন ভাষার। এই ভাষা দিয়ে মানব সমাজের যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদিত হয়। কোন কাজ সম্পাদন করতে গিয়ে পরষ্পরের সাথে কথার আদান-প্রদান করতে হয়। তবেই সে কাজটি সুসম্পন্ন হয়।
এ নিয়ম এভাবে যুগে যুগে মনুষ্য সমাজে চলে আসছে। ভাষার মাধ্যমে তাদের যাবতীয় প্রয়োজন পূরণ করছে। একে অপরের সাথে ভাব বিনিময় করছে। আর সে এ ভাষা আয়ত্ব করছে তার মা-বাবা থেকে। জন্মের পরপরই কেউ কথা বলা শিখে না। শিশু যখন আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে, তার অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো বিকশিত হতে থাকে-প্রথম সে তার মায়ের কাছ থেকে ভাষা শেখে। মায়ের মুখের বলা কথাই সে প্রথম শেখে। আর শেখে বলেই একে মায়ের ভাষা বলে বা মাতৃভাষা বলে। মায়ের শেখানো প্রথম বুলিই হলো মাতৃভাষা।
মহান রাব্বুল আলামীন মানুষ সৃষ্টির মাধ্যমে এই পৃথিবীতে তাদের বসবাসের ব্যবস্থা করেছেন। একের সাথে অপরে কিভাবে কথা বলবে তাও শিখিয়েছেন। এটা আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান। এই জ্ঞান দিয়েই স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই মানুষ ভাষা আয়ত্ব করতে পারে। মহান আল্লাহ তাআলা নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন- “আল্লামাহুল বায়ান”। যার অর্থ, তিনি (মানুষকে) কথা বলা তথা ভাষা শিখিয়েছেন। সূরা আররাহমান। আয়াত ৪।
সুতরাং ভাষা শেখা এবং একটি ভাষা জাতীয় হিসেবে পাওয়া মানুষের অধিকার। আর এমন কে আছে তাকে এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করে? যে বঞ্চিত করে তার চাইতে জালিম আর কে হতে পারে?
এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রæয়ারী। আমার এ প্রিয় মাতৃভূমির জনগণ ভাষার জন্য, মায়ের শেখানো বুলির জন্য, বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য আন্দোলন করতে হয়েছে। শহীদ হতে হয়েছে। রক্ত ঝরাতে হয়েছে।
বাংলার বুকে যাদের রক্ত ঝরেছে এই ভাষার জন্য আমরা তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। হৃদয়ের সবটুকুন ভালোবাসা শুধুই তাদের জন্য।
তাদের এই ত্যাগ-কুরবানী সংগ্রাম সাধনা ও আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে এই দিবস আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
আমরা তাদের কখনো ভুলবো না। ভুলতে পারি না। প্রীতিডোরে বেঁধে রাখবো সারা জীবন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আমিনুল ইসলাম সৈকত ১৮/১০/২০২২চমৎকার
-
কবি অন্তর চন্দ্র ০৮/০৫/২০২২বেশ ভালো লাগলো।
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২৭/০২/২০২২চমৎকারীত্বে অপূর্ব
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৩/০২/২০২২নাইস
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৩/০২/২০২২বাংলা প্রাণের ভাষা।
-
ফয়জুল মহী ২২/০২/২০২২চমৎকার লেখনী...
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২২/০২/২০২২সুন্দরতম লেখনী