প্রতিবাদী মেয়ে নুসরাত
ঘটনাঃ ৬ এপ্রিল ২০১৯, শনিবার, দূর্বৃত্তরা কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। কারণঃ যৌন হেনস্থায় নিপীড়কের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এই নির্মমতা। স্থানঃ সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিয়র মাদ্রাসা। মৃত্যুঃ ১০ এপ্রিল ২০১৯, বুধবার, রাত-০৯:৩০মি. বার্ণ ইউনিট, ঢামেক।
কষ্টের কোনো খবর পড়তে গেলে প্রচন্ড কষ্ট লাগে। যা হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করে। দু'চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরে পড়ে। বেদনায় হাহাকার করে উঠে অন্তর। হোক আপনজন বা অন্য কেউ। বিশেষ করে বর্তমান জামানায় যা কিছু ঘটছে তা পত্র পত্রিকার মারফতে জানতে পারি। কিছু কিছু ঘটনা এত মর্মস্পর্শী যা হৃদয়কে নাড়া দেয়।
এমনি একটি ঘটনা যা সম্প্রতি ঘটে গেল। নির্মম পৈশাচিক এই ঘটনা আমাকে দারুণ ভাবে নাড়া দিয়েছে। বলতে গেলে এই ঘটনার নিউজ আমি প্রতিদিনই পড়েছি। বিভিন্ন জনের আর্টিকেল পড়েছি। নানা জনের নানা ভাবনা জানতে পেরেছি।
ফেনী জেলার সোনাগাজীর সেই মাদ্রাসা ছাত্রীর উপর যে পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে তা সত্যিই চরম মর্মান্তিক।এই ঘটনায় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত কষ্ট পেয়েছে। এবং তার সুচিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন। ইভেনকি যদি সিংগাপুরেও নিতে হয় নেয়ার জন্য তাগীদ দিয়েছেন।
মানবিক মূল্যবোধ যার আছে তার মানবিকতা প্রকাশ পাবেই। যেমন আমি তো এমনিই নরম মনের মানুষ। আবার কারো দুঃসংবাদ বা বিপদ আপদের কথা শুনলে আবেগে বেদনাহত হয়ে পড়ি। আবার কেউ অন্যায় অনিয়ম কিছু করে আরো বেশী কষ্ট পাই। চোখে জল চলে আসে। নিজেকে সামলাতে পারি না। মনটা এতই খারাপ হয় যে আহা! ওদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না। নিজেকে অপরাধী মনে হয়।
আমাদের কর্তাব্যক্তিরাও কেনো যেনো খাপ ছাড়া। দু একজন বাদে। দায় দায়িত্ব নিয়ে কোনো কিছু করতে চায় না। প্রভাবশালী হলে তো কোনো কথাই নাই তার জন্য সাত খুন মাফ। আর দুর্বল হলে তো নানা ভাবে হয়রানিতে ফেলে হেনস্থা করে ছাড়বে। যেমনটি করেছে জাঁহালমের সাথে।
নুসরাত জাহান রাফির মুত্যু আমাকে তো কষ্ট দিয়েছেই তেমনি সমগ্র দেশবাসী কষ্ট পেয়েছে। এ ঘটনা পড়ার পর আমি সত্যিই স্থির থাকতে পারিনি। কারো কষ্টের কথা জানলে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই।
তখনি ভাবলাম এর জন্য দুকলম লিখি। মনটাকে হালকা করি। আর যেনো কোনো রাফির এমন নির্মমতা না আসে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার সবিনয় আবেদন, এসব দুষ্ট চক্রের এমন উদাহরণে শাস্তি নিশ্চিত করা হয় যা দেখে আর কেউ এ ধরণের অপরাধ করার সাহস না পায়। এতে পুরো দেশবাসী স্বস্তি পাবে। শান্তি পাবে।
বন্ধুদের কাছে আবেগঘন এক চিঠিতে নুসরাত লিখেছিলো-'মরে যাওয়া মানে তো হেরে যাওয়া। আমি মরবো না। আমি বাঁচবো। আমি তাকে শাস্তি দেব। যে আমায় কষ্ট দিয়েছে। আমি তাকে এমন শাস্তি দেব যে তাকে দেখে অন্যরা শিক্ষা নিবে। আমি তাকে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি দেব। ইনশাআল্লাহ।'
কিন্তু মেয়েটি বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হেরে গেল। মৃত্যুর অমীয় সুধা পান করে মহান আল্লাহর দরবারে চলে গেল। দোয়া করি মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাক্বাম দান করুন। আমীন! ছুম্মা আমীন!!
কষ্টের কোনো খবর পড়তে গেলে প্রচন্ড কষ্ট লাগে। যা হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করে। দু'চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরে পড়ে। বেদনায় হাহাকার করে উঠে অন্তর। হোক আপনজন বা অন্য কেউ। বিশেষ করে বর্তমান জামানায় যা কিছু ঘটছে তা পত্র পত্রিকার মারফতে জানতে পারি। কিছু কিছু ঘটনা এত মর্মস্পর্শী যা হৃদয়কে নাড়া দেয়।
এমনি একটি ঘটনা যা সম্প্রতি ঘটে গেল। নির্মম পৈশাচিক এই ঘটনা আমাকে দারুণ ভাবে নাড়া দিয়েছে। বলতে গেলে এই ঘটনার নিউজ আমি প্রতিদিনই পড়েছি। বিভিন্ন জনের আর্টিকেল পড়েছি। নানা জনের নানা ভাবনা জানতে পেরেছি।
ফেনী জেলার সোনাগাজীর সেই মাদ্রাসা ছাত্রীর উপর যে পৈশাচিক ঘটনা ঘটেছে তা সত্যিই চরম মর্মান্তিক।এই ঘটনায় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত কষ্ট পেয়েছে। এবং তার সুচিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন। ইভেনকি যদি সিংগাপুরেও নিতে হয় নেয়ার জন্য তাগীদ দিয়েছেন।
মানবিক মূল্যবোধ যার আছে তার মানবিকতা প্রকাশ পাবেই। যেমন আমি তো এমনিই নরম মনের মানুষ। আবার কারো দুঃসংবাদ বা বিপদ আপদের কথা শুনলে আবেগে বেদনাহত হয়ে পড়ি। আবার কেউ অন্যায় অনিয়ম কিছু করে আরো বেশী কষ্ট পাই। চোখে জল চলে আসে। নিজেকে সামলাতে পারি না। মনটা এতই খারাপ হয় যে আহা! ওদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না। নিজেকে অপরাধী মনে হয়।
আমাদের কর্তাব্যক্তিরাও কেনো যেনো খাপ ছাড়া। দু একজন বাদে। দায় দায়িত্ব নিয়ে কোনো কিছু করতে চায় না। প্রভাবশালী হলে তো কোনো কথাই নাই তার জন্য সাত খুন মাফ। আর দুর্বল হলে তো নানা ভাবে হয়রানিতে ফেলে হেনস্থা করে ছাড়বে। যেমনটি করেছে জাঁহালমের সাথে।
নুসরাত জাহান রাফির মুত্যু আমাকে তো কষ্ট দিয়েছেই তেমনি সমগ্র দেশবাসী কষ্ট পেয়েছে। এ ঘটনা পড়ার পর আমি সত্যিই স্থির থাকতে পারিনি। কারো কষ্টের কথা জানলে আমি স্তব্ধ হয়ে যাই।
তখনি ভাবলাম এর জন্য দুকলম লিখি। মনটাকে হালকা করি। আর যেনো কোনো রাফির এমন নির্মমতা না আসে।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার সবিনয় আবেদন, এসব দুষ্ট চক্রের এমন উদাহরণে শাস্তি নিশ্চিত করা হয় যা দেখে আর কেউ এ ধরণের অপরাধ করার সাহস না পায়। এতে পুরো দেশবাসী স্বস্তি পাবে। শান্তি পাবে।
বন্ধুদের কাছে আবেগঘন এক চিঠিতে নুসরাত লিখেছিলো-'মরে যাওয়া মানে তো হেরে যাওয়া। আমি মরবো না। আমি বাঁচবো। আমি তাকে শাস্তি দেব। যে আমায় কষ্ট দিয়েছে। আমি তাকে এমন শাস্তি দেব যে তাকে দেখে অন্যরা শিক্ষা নিবে। আমি তাকে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি দেব। ইনশাআল্লাহ।'
কিন্তু মেয়েটি বেঁচে থাকার লড়াইয়ে হেরে গেল। মৃত্যুর অমীয় সুধা পান করে মহান আল্লাহর দরবারে চলে গেল। দোয়া করি মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাক্বাম দান করুন। আমীন! ছুম্মা আমীন!!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস এম আলমগীর হোসেন ১২/০৪/২০১৯Amin
-
আব্দুল হক ১১/০৪/২০১৯বেশ! ধন্যবাদ!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১১/০৪/২০১৯ধর্ষক শুয়োরটার ফাঁসি হোক।
-
পি পি আলী আকবর ১১/০৪/২০১৯আমিন