যাচাই
পৃথিবীর মাঝে অতি আশ্চর্য যদি কোনো প্রাণী থাকে বা বসবাস করে তা হলো মানুষ । আরো আশ্চর্য হলো এক , বুদ্ধিমান মানুষ । নানা প্রকারের মানুষ এই বিশ্ব চরাচরে বিচরণ করে ।
মানুষের বুদ্ধির জোরে পৃথিবী আজ উন্নতির শিখরে উপনীত । হাট বাজার , দালান কোঠা , উঁচু উঁচু অট্টালিকা , বিজ্ঞান প্রযুক্তি , নানা রকম আধুনিক শীল্পকার্য , দিন দিন অবাক করার মতো নানা আবিষ্কার , শীল্প
কলকারখানা,নানা প্রকার গাড়ি , বিমান , জাহাজ , অজানা তথ্য সমৃদ্ধ বিভিন্ন কর্মকান্ড নিত্য বেরিয়ে আসছে । বেরিয়ে আসছে মানুষের প্রয়োজনীয় যাবতীয় আসবাব পত্র , ব্যবহারিক সৌকর্য , বিনির্মিত হচ্ছে আধুনিক সৌন্দর্যের কত কি !
কম্পিউটার মোবাইল সহ ইন্টারনেট সমৃদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা শুরু হয়েছে বহু আগে থেকেই । যার প্রভাবে শিশু কিশোর তরুণ তরুণী যুবক বৃদ্ধ সবাইএমন ভাবে প্রভাবিত যা রোধ করা এমন যে কষ্ট সাধ্য । ছোট্ট শিশু সে বুঝুক আর না বুঝুক সে মোবাইল পেলে কিংবা কম্পিউটারে গেম খেলতে অভ্যস্ত হয়ে যায় । যদি সে এ গুলো না পায় তাহলে তার মেজাজ মর্জি হয়ে যায় উগ্র । অঝর ধারায় কান্নার সৃষ্টি ।
এই যে উন্নতি দেখা দিয়েছে তাতে ভাল মন্দ দুটিই রয়েছে ।
আজকাল গোপন প্রেম তো অবাধ হয়েছে । মোবাইলে মিথ্যা কথা দ্বিধাহীন চিত্তে বলা যায় । প্রতারণা বাটপারি ছিনতাই রাহাজানি সবই সম্ভব হয় এই প্রযুক্তির মাধ্যমে । প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষের মন মানষিকতা হয়ে গেছে যান্ত্রিক । যান্ত্রিক সংস্কৃত বলয়ে এমনভাবে সবাই আবিষ্ট যে অনেক সময় একান্ত প্রয়োজনীয় কাজ পর্যন্ত করা হয় না ।
শিক্ষা সভ্যতা চিন্তা চেতনার বিকাশমান ধারাও এই প্রযুক্তির কারণে সম্ভব হয়েছে । যোগাযোগ , তথ্যপ্রবাহ বিষয়াবলীও প্রযুক্তির সুবাদে আমরা সহজে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি । আরো সুবিধা হচ্ছে সুসংবাদ , দুসংবাদ ছাড়াও টাকা পাঠানোর মতো কর্মকান্ডও সম্পাদন করা য়ায় ।
এমন উন্নতির পিছনে মানুষের মেধা ও শ্রম মানুষের কল্যাণেই উপযোগী হিসেবে কাজ করছে । তাই তো বলি , 'মানুষই পারে সত্য সুন্দরের সুষমায় নিজেকে বিকশিত করতে ।'
এ ধারা অব্যাহত রাখবে এই মানুষেরাই । উন্নততর এই অবস্থায় আপনি বিভিন্ন কাজের বিধি নিয়মে নিজেকে যাচাই করবেন কিভাবে ? এটা একটু জানা দরকার । সেই দরকারটাই এখানে উপস্থাপন করা মুখ্য । বিশ্বাসীদের জন্য বিষয়টা অনুধাবন করা জরুরী । যেহেতু বিশ্বাস মানুষকে তার কাজের ব্যাপারে দিক দর্শন দিয়ে থাকে । সুতরাং সে নিজেকে একটু যাচাই করে নিতে পারে ।
একটিবার চিন্তা ভাবনা করে দেখুন , বর্তমানে বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষতার নিত্য
ব্যবহারে তা হওয়া উচিৎ নয় কি ?
যেমন ধরুন , আপনি যখন কোনো সময় কুরআন তিলাওয়াত কিংবা শোনার অবস্থায় থাকেন তখন আপনার মনের অবস্থা কেমন হয় ? অথবা কোনো শিক্ষা বা উপদেশের মজলিসে আপনি থাকেন তখন আপনার মনের অবস্থা কেমন হয় ? এবং যখন আপনি একা , নিসঙ্গ বা একাকিত্ব থাকেন তখন আপনার মানসিক অবস্থা কোন দিকে যায় ?
এই তিন সময় যদি আপনার মন আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন না করে অর্থাৎ মন না বসে বা না লাগে তাহলে বুঝতে হবে আপনার কোনো মন নেই । অতপর আপনি প্রার্থনা করুন মহান মালিক আল্লাহর কাছে তিনি যেনো আপনাকে দয়া করে একটা অন্তর দান করেন । কারণ আপনার কোনো অন্তর নেই । কথা গুলো বলেছেন প্রিয় নবী রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । বিবৃত করেছেন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ।
সুতরাং বিজ্ঞানের এই যুগে ও অগ্রযাত্রায় আমরা কত কি করি তা নিয়ে ভাবুন , কাজ করুন এবং সামনে এগিয়ে চলুন ।
মানুষের বুদ্ধির জোরে পৃথিবী আজ উন্নতির শিখরে উপনীত । হাট বাজার , দালান কোঠা , উঁচু উঁচু অট্টালিকা , বিজ্ঞান প্রযুক্তি , নানা রকম আধুনিক শীল্পকার্য , দিন দিন অবাক করার মতো নানা আবিষ্কার , শীল্প
কলকারখানা,নানা প্রকার গাড়ি , বিমান , জাহাজ , অজানা তথ্য সমৃদ্ধ বিভিন্ন কর্মকান্ড নিত্য বেরিয়ে আসছে । বেরিয়ে আসছে মানুষের প্রয়োজনীয় যাবতীয় আসবাব পত্র , ব্যবহারিক সৌকর্য , বিনির্মিত হচ্ছে আধুনিক সৌন্দর্যের কত কি !
কম্পিউটার মোবাইল সহ ইন্টারনেট সমৃদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা শুরু হয়েছে বহু আগে থেকেই । যার প্রভাবে শিশু কিশোর তরুণ তরুণী যুবক বৃদ্ধ সবাইএমন ভাবে প্রভাবিত যা রোধ করা এমন যে কষ্ট সাধ্য । ছোট্ট শিশু সে বুঝুক আর না বুঝুক সে মোবাইল পেলে কিংবা কম্পিউটারে গেম খেলতে অভ্যস্ত হয়ে যায় । যদি সে এ গুলো না পায় তাহলে তার মেজাজ মর্জি হয়ে যায় উগ্র । অঝর ধারায় কান্নার সৃষ্টি ।
এই যে উন্নতি দেখা দিয়েছে তাতে ভাল মন্দ দুটিই রয়েছে ।
আজকাল গোপন প্রেম তো অবাধ হয়েছে । মোবাইলে মিথ্যা কথা দ্বিধাহীন চিত্তে বলা যায় । প্রতারণা বাটপারি ছিনতাই রাহাজানি সবই সম্ভব হয় এই প্রযুক্তির মাধ্যমে । প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষের মন মানষিকতা হয়ে গেছে যান্ত্রিক । যান্ত্রিক সংস্কৃত বলয়ে এমনভাবে সবাই আবিষ্ট যে অনেক সময় একান্ত প্রয়োজনীয় কাজ পর্যন্ত করা হয় না ।
শিক্ষা সভ্যতা চিন্তা চেতনার বিকাশমান ধারাও এই প্রযুক্তির কারণে সম্ভব হয়েছে । যোগাযোগ , তথ্যপ্রবাহ বিষয়াবলীও প্রযুক্তির সুবাদে আমরা সহজে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি । আরো সুবিধা হচ্ছে সুসংবাদ , দুসংবাদ ছাড়াও টাকা পাঠানোর মতো কর্মকান্ডও সম্পাদন করা য়ায় ।
এমন উন্নতির পিছনে মানুষের মেধা ও শ্রম মানুষের কল্যাণেই উপযোগী হিসেবে কাজ করছে । তাই তো বলি , 'মানুষই পারে সত্য সুন্দরের সুষমায় নিজেকে বিকশিত করতে ।'
এ ধারা অব্যাহত রাখবে এই মানুষেরাই । উন্নততর এই অবস্থায় আপনি বিভিন্ন কাজের বিধি নিয়মে নিজেকে যাচাই করবেন কিভাবে ? এটা একটু জানা দরকার । সেই দরকারটাই এখানে উপস্থাপন করা মুখ্য । বিশ্বাসীদের জন্য বিষয়টা অনুধাবন করা জরুরী । যেহেতু বিশ্বাস মানুষকে তার কাজের ব্যাপারে দিক দর্শন দিয়ে থাকে । সুতরাং সে নিজেকে একটু যাচাই করে নিতে পারে ।
একটিবার চিন্তা ভাবনা করে দেখুন , বর্তমানে বিজ্ঞানের এই উৎকর্ষতার নিত্য
ব্যবহারে তা হওয়া উচিৎ নয় কি ?
যেমন ধরুন , আপনি যখন কোনো সময় কুরআন তিলাওয়াত কিংবা শোনার অবস্থায় থাকেন তখন আপনার মনের অবস্থা কেমন হয় ? অথবা কোনো শিক্ষা বা উপদেশের মজলিসে আপনি থাকেন তখন আপনার মনের অবস্থা কেমন হয় ? এবং যখন আপনি একা , নিসঙ্গ বা একাকিত্ব থাকেন তখন আপনার মানসিক অবস্থা কোন দিকে যায় ?
এই তিন সময় যদি আপনার মন আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন না করে অর্থাৎ মন না বসে বা না লাগে তাহলে বুঝতে হবে আপনার কোনো মন নেই । অতপর আপনি প্রার্থনা করুন মহান মালিক আল্লাহর কাছে তিনি যেনো আপনাকে দয়া করে একটা অন্তর দান করেন । কারণ আপনার কোনো অন্তর নেই । কথা গুলো বলেছেন প্রিয় নবী রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম । বিবৃত করেছেন আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ।
সুতরাং বিজ্ঞানের এই যুগে ও অগ্রযাত্রায় আমরা কত কি করি তা নিয়ে ভাবুন , কাজ করুন এবং সামনে এগিয়ে চলুন ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২৭/০৪/২০১৮অনেক সুন্দর।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৬/০৪/২০১৮অতুলনীয়।