অপরাহ্ন
অবশেষে একটা ডাক দিয়েছিলো রাফায়েল বলে।ফর্সা লাল চুলের স্প্যানিশ যুবক।সবুজের দেশে এসে লাল খয়েরি পাড়ের শাড়ির আচলে চোঁখ গেথে গিয়েছিলো যার।শ্যামল উর্মিলা ছন্নছাড়া চিকন কটির যুবতি।ফোকলা দাঁতে মেঠো পথে হাটছিলো গুনগুনিয়ে।হাতে গামছায় মোড়ানো প্লেট,বাটি,আর পানির গ্লাস।বাবা কাজ করছে দূরের মাঠে।দুপুরের খাবার খাইয়ে মেয়ে ফিরছে নীড়ে।এমন সময় রাফায়েল,সেই স্প্যানিশ যুবক;যার কাজ ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা;দাড়িয়ে দেখছে আনমনে চলতে থাকা শ্যামল কন্নার পায়ের নাচন।এই বাংলার প্রকৃতি সেজেছে যার আলতা পড়া পায়ে।হঠাৎ চোঁখে চোঁখ পড়তেই রাফায়েলের মুখ থেকে অস্ফুট স্বরে বেরিয়ে এলো "কুয়ে গুয়েপো বোকা" কি সুন্দর মুখ।
এভাবে সপ্তাহ পেরিয়ে মাসের মাথায় শ্যামলীর দেখা পেয়েছিলো রাফায়েল।চোঁখের ভাষায় কথা হত তাদের।আনমনে চলতে পথে হঠাৎ কখনো শ্যামলীর সামনে পড়লে মুখ ফুটে অস্ফুট শব্দ বেরিয়ে আসত "ওলা" এরপরে দু'জনের সে কি হাসি, পেটে খিল ধরে যেতো।
রাফায়েল বাংলাদেশে এসেছে কোম্পানির হয়ে কাজে।একটা শুমারির কাজে তাকে আসতে হয়েছে মাতৃভূমি ছেড়ে বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলায়,যেখানে নদীপথ একে বেকে বেরিয়ে গিয়েছে সাগরে।কতশত প্রাচীন বৃক্ষ দাড়িয়ে আছে ইতিহাস হয়ে।হয়ত কোন সন্ধ্যায় নীল চাষীর কণ্যা ঝুলেছিলো মঠের পাশের দেবদারু গাছের শাখায়।
কোন চাষীর হাড় পড়েছিলো হিজল বনের পাশে,কে জানে এসব।কতশত শ্যামলী মরে পড়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের বিভৎস সময়ে।প্রতিটি গাছ বোবা হয়ে দাড়িয়ে আছে নীরব অবলা সাক্ষী হয়ে।
এইসব গাছের শাখায় নতুন তরু,গুল্ম,লতা আবাস গেড়েছে।এখানের সন্ধ্যা প্রাচীন।নিথর অন্ধকারে রক্তিম সূর্যের করুণ রাগ ভেসে ওঠে মোহজাগানিয়া সায়াহ্নে।মধ্য দুপুরে দক্ষিণের নদী থেকে দমকা বাতাস আসে।তারই এক সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যে গরুর গাড়ি ক্যাচ ক্যাচ আওয়াজে যাচ্ছিল শহরের পানে।শ্যামলীর দুরুদুরু বুকে জপতে থাকা নামটি মুখ ফুটে বেরিয়ে এসেছিল অশ্রুপাতে।
এভাবে সপ্তাহ পেরিয়ে মাসের মাথায় শ্যামলীর দেখা পেয়েছিলো রাফায়েল।চোঁখের ভাষায় কথা হত তাদের।আনমনে চলতে পথে হঠাৎ কখনো শ্যামলীর সামনে পড়লে মুখ ফুটে অস্ফুট শব্দ বেরিয়ে আসত "ওলা" এরপরে দু'জনের সে কি হাসি, পেটে খিল ধরে যেতো।
রাফায়েল বাংলাদেশে এসেছে কোম্পানির হয়ে কাজে।একটা শুমারির কাজে তাকে আসতে হয়েছে মাতৃভূমি ছেড়ে বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলায়,যেখানে নদীপথ একে বেকে বেরিয়ে গিয়েছে সাগরে।কতশত প্রাচীন বৃক্ষ দাড়িয়ে আছে ইতিহাস হয়ে।হয়ত কোন সন্ধ্যায় নীল চাষীর কণ্যা ঝুলেছিলো মঠের পাশের দেবদারু গাছের শাখায়।
কোন চাষীর হাড় পড়েছিলো হিজল বনের পাশে,কে জানে এসব।কতশত শ্যামলী মরে পড়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের বিভৎস সময়ে।প্রতিটি গাছ বোবা হয়ে দাড়িয়ে আছে নীরব অবলা সাক্ষী হয়ে।
এইসব গাছের শাখায় নতুন তরু,গুল্ম,লতা আবাস গেড়েছে।এখানের সন্ধ্যা প্রাচীন।নিথর অন্ধকারে রক্তিম সূর্যের করুণ রাগ ভেসে ওঠে মোহজাগানিয়া সায়াহ্নে।মধ্য দুপুরে দক্ষিণের নদী থেকে দমকা বাতাস আসে।তারই এক সন্ধ্যায় বৃষ্টির মধ্যে গরুর গাড়ি ক্যাচ ক্যাচ আওয়াজে যাচ্ছিল শহরের পানে।শ্যামলীর দুরুদুরু বুকে জপতে থাকা নামটি মুখ ফুটে বেরিয়ে এসেছিল অশ্রুপাতে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ০৫/০৫/২০২০Nice.
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ২৭/০৪/২০২০আপনার গল্প গুলো দারুন....
-
কুমারেশ সরদার ২৫/০৪/২০২০কেয়াবাত
-
হুসাইন দিলাওয়ার ২৫/০৪/২০২০অনবদ্য
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৩/০৪/২০২০বাঃ
-
জুলফিকার দিহান ২৩/০৪/২০২০অসাধারণ
-
কুমারেশ সরদার ২৩/০৪/২০২০চোখের সামনে ছবি ভেসে ওঠে
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২২/০৪/২০২০নাইস
-
ফয়জুল মহী ২২/০৪/২০২০লেখা পড়ে ভালো লেগেছে