হাসি
তিলত্তমা একগুচ্ছ ফুল হাতে ঠোঁট লটকিয়ে মৃদু হাসছে।কোনমতেই তাঁর হাসি থামছে না।রাস্তার দু'একজন মানুষ নজরে আসতেই হাত চেপে হাচির ভান ধরে হাসছে,কিন্তু হাসি থামছেনা।
পুরোনো কোন কৌতুকময় মুহূর্ত মনে পড়লেই হাসি পায় তিলত্তমার।এই অভ্যেসটা ওর নিজের কাছে খারাপ ভালো দুটোই লাগে।এই সময়কার অনুভূতিটুকো ভাষায় অবর্ণনীয়।তবুও যতটুকো বলা যায়,তা হলো হাটুতে অথবা কনুইতে ঘা খেলে যেমন অনুভূতি বলতে গেলে ওরকম।
ঘা খাবার পরে অবস্থা এমন হয় যে চোখে জল এসে যায় কিন্তু মুখে থাকে হাসি আর সমস্ত শরীর জুড়ে একটা ঢেউখেলা সুড়সুড়ি বয়ে যায়।
আজ দুপুরে কাচের জানালায় নাক লাগিয়ে বৃষ্টি উপভোগ করছিল।বৃষ্টির ফোটাগুলো ওর নাক চোখের বরাবর কাচের জানালায় ঠিকরে পড়ছে,ও বারেবার চোখ বন্ধ করে নিচ্ছে।মনে হয় যে এক্ষুণি নাকে এসে লাগবে।
বারবার এরকম করাতে কি এক কথা মনে পড়ল কে জানে, সেই যে হাসিতে ধরেছে আর ছাড়াতেই পারছেনা।জানালার কাছ থেকে ঠোঁট কামড়ে ধরে মিটমিট করে হাসতে হাসতে পড়ার টেবিলে এসে পড়ায় মনোযোগী হবার চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি।
হাসিটা যে কেনো এত আসছে,এই ভেবে একটু বিরক্ত হবার চেষ্টা করল,কিন্তু বিরক্তির প্রচেস্টায়ও হাসি পেতে লাগল।কি এক মহা ঝামেলা!আম্মুকে ডাক দিলো।
আম্মু ভাত দাও বলেই ফিক করে হেসে দিল!
ওর আম্মু বল্ল কি হয়েছে??
না কিছুনা বলেই আবার ফিক!এবারতো পুরো সন্দেহ!ষোড়শী কণ্যা।বয়সটাতে কখন কি করে বলা যায়না।তাই কড়া সুড়েই বল্লেন, সত্যি করে বল?আম্মুর চোখ রাঙ্গানি দেখেতো ফিক থেকে ফ্যাক হয়ে গেলো!আরে আম্মু কিছু হয়নি (ফিক)!
শ্রাবণীর কলম গুজিয়েছিস?? না (ফিক)!
ছাঁদে উঠে বাড়িওয়ালার গাছের ফুল চুড়ি করেছিস?
মুখ চেপে ধরে ঘোলাটে আওয়াজে না!তারপরেও ফিক।
আরে আম্মু কিছু করিনি বিশ্বাস করো;না কিছু একটা করেছিস!কিচ্ছু করি নি (ফিক)! আম্মুও।
যাও তোমার খাবার বন্ধ,কোচিংয়ে যাও এখন।যখন সত্যি কথা বলবে তখন খাবার দিবো।বিশ্বাস করো আম্মুউউ আমি কিছু করিনি (ফিক)!
পুরোনো কোন কৌতুকময় মুহূর্ত মনে পড়লেই হাসি পায় তিলত্তমার।এই অভ্যেসটা ওর নিজের কাছে খারাপ ভালো দুটোই লাগে।এই সময়কার অনুভূতিটুকো ভাষায় অবর্ণনীয়।তবুও যতটুকো বলা যায়,তা হলো হাটুতে অথবা কনুইতে ঘা খেলে যেমন অনুভূতি বলতে গেলে ওরকম।
ঘা খাবার পরে অবস্থা এমন হয় যে চোখে জল এসে যায় কিন্তু মুখে থাকে হাসি আর সমস্ত শরীর জুড়ে একটা ঢেউখেলা সুড়সুড়ি বয়ে যায়।
আজ দুপুরে কাচের জানালায় নাক লাগিয়ে বৃষ্টি উপভোগ করছিল।বৃষ্টির ফোটাগুলো ওর নাক চোখের বরাবর কাচের জানালায় ঠিকরে পড়ছে,ও বারেবার চোখ বন্ধ করে নিচ্ছে।মনে হয় যে এক্ষুণি নাকে এসে লাগবে।
বারবার এরকম করাতে কি এক কথা মনে পড়ল কে জানে, সেই যে হাসিতে ধরেছে আর ছাড়াতেই পারছেনা।জানালার কাছ থেকে ঠোঁট কামড়ে ধরে মিটমিট করে হাসতে হাসতে পড়ার টেবিলে এসে পড়ায় মনোযোগী হবার চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি।
হাসিটা যে কেনো এত আসছে,এই ভেবে একটু বিরক্ত হবার চেষ্টা করল,কিন্তু বিরক্তির প্রচেস্টায়ও হাসি পেতে লাগল।কি এক মহা ঝামেলা!আম্মুকে ডাক দিলো।
আম্মু ভাত দাও বলেই ফিক করে হেসে দিল!
ওর আম্মু বল্ল কি হয়েছে??
না কিছুনা বলেই আবার ফিক!এবারতো পুরো সন্দেহ!ষোড়শী কণ্যা।বয়সটাতে কখন কি করে বলা যায়না।তাই কড়া সুড়েই বল্লেন, সত্যি করে বল?আম্মুর চোখ রাঙ্গানি দেখেতো ফিক থেকে ফ্যাক হয়ে গেলো!আরে আম্মু কিছু হয়নি (ফিক)!
শ্রাবণীর কলম গুজিয়েছিস?? না (ফিক)!
ছাঁদে উঠে বাড়িওয়ালার গাছের ফুল চুড়ি করেছিস?
মুখ চেপে ধরে ঘোলাটে আওয়াজে না!তারপরেও ফিক।
আরে আম্মু কিছু করিনি বিশ্বাস করো;না কিছু একটা করেছিস!কিচ্ছু করি নি (ফিক)! আম্মুও।
যাও তোমার খাবার বন্ধ,কোচিংয়ে যাও এখন।যখন সত্যি কথা বলবে তখন খাবার দিবো।বিশ্বাস করো আম্মুউউ আমি কিছু করিনি (ফিক)!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৩/০৩/২০১৯অসাধারণ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০৩/০৩/২০১৯দারুণ ছোটগল্প ফরমেট
ধন্যবাদ -
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৭/০২/২০১৯নাটকের মতো।
-
কৌশিক আজাদ প্রণয় ২৬/০২/২০১৯বেশ লাগল
-
মোহাম্মদ মাইনুল ২৬/০২/২০১৯ভালো ই।