ভাবলেশ
বিকেলের একটা কোনা আছে।সবাই সেখানে যেতে পারেনা।সেখানে যেতে সাধনা লাগে।কাক দেখতে হয় প্রচুর।তারপর হঠাৎ একটা কাক সেই কোনে নিয়ে যায়।
আকন বেশ বিস্মিত হয়েই পামেলের কথাগুলো শুনে।
বশির উদ্দিনরে চিনস না আকন??
কোন জসিমুদ্দিন?আরে ফ্লাইওভারের নীচের মোড়টাতে যে সিগারেট বিক্রি করতো।
হুম,হুম চিনেছি।
সে সাধনা করে।সারাদিন দেখবি দোকান চালায়।কিন্ত বিকেলে পাবিনা।
আকাশ দেখে।আকাশের কোনায় চলে গেলে আর কারো আসতে মনে চায় না।
সারাদিন গাড়ির প্যাপো শব্দের মাঝে ভ্যাপসা গরম।এগুলো কি ভাল লাগে।আজকে আমার সাথে ধ্যানে বসবি।দেখবি সেই মজা।আর আসতে মনে চাইবে না।
বিকেলে আকন স্কুলের মাঠের বেশ রাস্তার লাগোয়া কর্নারে এসে বসে।পা ঝুলিয়ে বসে বসে কোনা খুজে।পঞ্চাশটি কাক দেখে কিন্তু কোনা খুজে পায় না।
হা হয়ে তাকিয়ে থাকে লাল স্কুলের উপরে আকশী সাদা বর্নিল আকাশের দিকে।সূর্যটা স্কুলের পেছনে অস্ত যাচ্ছে।এপাশ থেকে কেমন একটা আভা দেখা যাচ্ছে।
আকন ভাবে পেছনে সূর্যটা কই ডোববে।গলির পরে গলি।স্কুলের পরেই মসজিদ গলি,তারপর জোড়া খাম্বা গলি,তারপর বৌ বাজারের গলি,মাঝে আরো কত সহস্রগলি। সূর্য কোন গলিতে নামবে!
তারপর কি হবে।অন্ধকারে সূর্যটা হারিয়ে যাবে।পথ ভূলে আবার পূবের আকাশে উঠবে।কোনদিন গন্তব্যে যেতে পারবে না।প্রতিদিন গন্তব্য খুজতে গলিতে হারিয়ে যাবে।আবার পূবের কোনে উঠবে।
সম্বিৎ ফিরে পায় আকন।সে কি ভাবছে এগুলো। নিজের মনেই হাসি পায়।মনে মনে বলে "মাম্মা সেই পিনিক, একটা সিগারেট হইলে"।
আবার নিজেকে সুধরে নেয়।পামেল নেশা করেনা।বিকেল দেখে,এইটারে ধ্যান কয়।ইশ এতদিন জনলে এইটারে নেশা বানাইতো।
গাড়ির শব্দগুলো কানে হানা দিতাছে।আকন পড়াশোনা করেনি।কিন্তু অলিতে গলিতে স্কুলের সামনে ঘুরছে।যাদের স্বামী বিদেশ থাকে তাদের আকন দেখতে পারেনা।তাদের কাচা টাকার গরম বেশি। এরকম এক মহিলা তারে স্কুলের সামনে বলছিল "কুত্তার পেটে ঘি হজম হয়না"।আকন পড়ে এর অর্থ জানছিল পামেলের থেকে।
কুকুর তেল জাতীয় খাবার অথবা ঘি খেলে শরীরের চামড়া উঠে যায়।তাই ঢাকা শহরের কুকুরগুলোর চামড়ায় পশম নাই।কেমন ল্যাংটা দেখায়।ছোট বোনটাকে নিয়ে ময়ময়লা টোকাতে গেলে লজ্জায় তাকাতে পারেনা।
কেমন জানি সিনেমার আইটেম গানের নায়িকাদের মত লাগে।একজায়গায় পশম আছে আবার নাই।
আকনের কানে গাড়ির শব্দগুলো হানাদিতে থাকে।এই ডেমরা,স্টাফকোটার,সারুলিয়া দশ টাকা দশ টাকা।এই গাড়িগুলো আকনের কাছে তেল খাওয়া কুকুরের মত মনে হয়।
মনে মনে একটু আজব হয়।এতক্ষণ তো কোন আওয়াজ ছিলনা।আবার হারিয়ে যেতে চায় নিঃশব্দের কোনে।আকন আবার আকাশের পানে তাকায়,সূর্য তার যৌবন হারিয়েছে।বোঝা বোঝা আলোতে অবসন্ন দেহ নিয়ে ফিরে যাচ্ছে।
এটাকেই সন্ধে বলে।পামেল বলেছিল এই সময়টায় গোধূলি দেখা যায়।আকন জানেনা,বোঝেনা,শুধু অনুভব করে।তার মনে আশার কোন উদয় হয়।
ওর বোনকে লেখাপড়া করাবে।ওর বোন গোধূলি দেখবে।
শহরে বক নেই।শালিক আর কাকেরাই নীড় খোজে।সন্ধের উর্মিলা বাতাসে। কাক 'কা কা' কলরব তুলে।আকন কাক দেখে। কাক দেখাই তাঁর নেশা।আকন নেশা করেনা,ধ্যান করে,ধ্যান করাই তার নেশা।
আকন বেশ বিস্মিত হয়েই পামেলের কথাগুলো শুনে।
বশির উদ্দিনরে চিনস না আকন??
কোন জসিমুদ্দিন?আরে ফ্লাইওভারের নীচের মোড়টাতে যে সিগারেট বিক্রি করতো।
হুম,হুম চিনেছি।
সে সাধনা করে।সারাদিন দেখবি দোকান চালায়।কিন্ত বিকেলে পাবিনা।
আকাশ দেখে।আকাশের কোনায় চলে গেলে আর কারো আসতে মনে চায় না।
সারাদিন গাড়ির প্যাপো শব্দের মাঝে ভ্যাপসা গরম।এগুলো কি ভাল লাগে।আজকে আমার সাথে ধ্যানে বসবি।দেখবি সেই মজা।আর আসতে মনে চাইবে না।
বিকেলে আকন স্কুলের মাঠের বেশ রাস্তার লাগোয়া কর্নারে এসে বসে।পা ঝুলিয়ে বসে বসে কোনা খুজে।পঞ্চাশটি কাক দেখে কিন্তু কোনা খুজে পায় না।
হা হয়ে তাকিয়ে থাকে লাল স্কুলের উপরে আকশী সাদা বর্নিল আকাশের দিকে।সূর্যটা স্কুলের পেছনে অস্ত যাচ্ছে।এপাশ থেকে কেমন একটা আভা দেখা যাচ্ছে।
আকন ভাবে পেছনে সূর্যটা কই ডোববে।গলির পরে গলি।স্কুলের পরেই মসজিদ গলি,তারপর জোড়া খাম্বা গলি,তারপর বৌ বাজারের গলি,মাঝে আরো কত সহস্রগলি। সূর্য কোন গলিতে নামবে!
তারপর কি হবে।অন্ধকারে সূর্যটা হারিয়ে যাবে।পথ ভূলে আবার পূবের আকাশে উঠবে।কোনদিন গন্তব্যে যেতে পারবে না।প্রতিদিন গন্তব্য খুজতে গলিতে হারিয়ে যাবে।আবার পূবের কোনে উঠবে।
সম্বিৎ ফিরে পায় আকন।সে কি ভাবছে এগুলো। নিজের মনেই হাসি পায়।মনে মনে বলে "মাম্মা সেই পিনিক, একটা সিগারেট হইলে"।
আবার নিজেকে সুধরে নেয়।পামেল নেশা করেনা।বিকেল দেখে,এইটারে ধ্যান কয়।ইশ এতদিন জনলে এইটারে নেশা বানাইতো।
গাড়ির শব্দগুলো কানে হানা দিতাছে।আকন পড়াশোনা করেনি।কিন্তু অলিতে গলিতে স্কুলের সামনে ঘুরছে।যাদের স্বামী বিদেশ থাকে তাদের আকন দেখতে পারেনা।তাদের কাচা টাকার গরম বেশি। এরকম এক মহিলা তারে স্কুলের সামনে বলছিল "কুত্তার পেটে ঘি হজম হয়না"।আকন পড়ে এর অর্থ জানছিল পামেলের থেকে।
কুকুর তেল জাতীয় খাবার অথবা ঘি খেলে শরীরের চামড়া উঠে যায়।তাই ঢাকা শহরের কুকুরগুলোর চামড়ায় পশম নাই।কেমন ল্যাংটা দেখায়।ছোট বোনটাকে নিয়ে ময়ময়লা টোকাতে গেলে লজ্জায় তাকাতে পারেনা।
কেমন জানি সিনেমার আইটেম গানের নায়িকাদের মত লাগে।একজায়গায় পশম আছে আবার নাই।
আকনের কানে গাড়ির শব্দগুলো হানাদিতে থাকে।এই ডেমরা,স্টাফকোটার,সারুলিয়া দশ টাকা দশ টাকা।এই গাড়িগুলো আকনের কাছে তেল খাওয়া কুকুরের মত মনে হয়।
মনে মনে একটু আজব হয়।এতক্ষণ তো কোন আওয়াজ ছিলনা।আবার হারিয়ে যেতে চায় নিঃশব্দের কোনে।আকন আবার আকাশের পানে তাকায়,সূর্য তার যৌবন হারিয়েছে।বোঝা বোঝা আলোতে অবসন্ন দেহ নিয়ে ফিরে যাচ্ছে।
এটাকেই সন্ধে বলে।পামেল বলেছিল এই সময়টায় গোধূলি দেখা যায়।আকন জানেনা,বোঝেনা,শুধু অনুভব করে।তার মনে আশার কোন উদয় হয়।
ওর বোনকে লেখাপড়া করাবে।ওর বোন গোধূলি দেখবে।
শহরে বক নেই।শালিক আর কাকেরাই নীড় খোজে।সন্ধের উর্মিলা বাতাসে। কাক 'কা কা' কলরব তুলে।আকন কাক দেখে। কাক দেখাই তাঁর নেশা।আকন নেশা করেনা,ধ্যান করে,ধ্যান করাই তার নেশা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দীপঙ্কর বেরা ০৩/০৭/২০১৮ভাল লাগল
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০৩/০৭/২০১৮বেশ