www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কলমের পর্দা

ইসলাম ধর্মে পর্দা কী শুধু নারীদের জন‍্য‌ই !
আমি মনে করি কবি / সাহিত‍্যিকদের‌ও পর্দা করা অত‍্যাবশ‍্যক , আর তাদের পর্দা হলো কলমের পর্দা।
একজন লেখকের কলমকে সংযত করা উচিত।
তাদের এমন কিছু লিখা উচিত যা মানুষের জন্য কল‍্যাণকর। কারণ তাদের লেখাগুলোই নির্ধারণ করবে পরবর্তী প্রজন্ম কেমন হবে।
তাদের সাহিত‍্যকর্ম পরিচালনা করবে ভবিষ্যত পৃথিবীটাকে।
আমার যেভাবে আমাদের কলমটিকে চালনা করব পৃথিবী সেভাবেই চলবে। সবকিছুই লেখকের লিখনিতে নিহিত থাকে।
যে লেখক যতো অশ্লীল লেখে সে ততো বেপর্দাশীল ,
তার কলমের আব্রু নেই আর তার কলমের মত‌ই গড়ে উঠবে আব্রুহীন অসভ্য অশ্লীল সমাজ , যেখানে অশ্লীলতাকে মনে করা হবে স্বাভাবিক।
" বর্তমান পৃথিবীতে কতজন ছেলেমেয়ে প্রেম করা পছন্দ করেনা ?
এই প্রশ্নের উত্তর হবে , " শূন্য জন। "
তারা কেন প্রেমে পড়ে ?
কারণ তারা ছোটবেলা থেকেই নাটক-সিনেমা ও গল্প-উপন্যাস পড়ে এসব‌ই শিখে। তাদের অন্তরের অন্তস্থলে মিশে আছে এসব প্রেম ভালোবাসা।
ছেলেমেয়েরা এসব কোথায় পেয়েছে?
সাহিত্যকর্মে। "
আমরা যেটাকে প্রেম বলি আল্লাহ্ সেটাকে যিনা বলে , যুগের পরিবর্তনে যিনা শব্দটি প্রেমে নামকরণ করা হয়েছে। কারণ আমরা জন্মের পর থেকে চারিদিকে কতো ভালোবাসার রোমান্টিক গান , ভালোবাসার গল্প শুনি।
আমরা টিভিতে সবসময় ভালোবাসার চলচ্চিত্র দেখি ,
আমরা গল্প উপন্যাসে ভালোবাসার কাহিনী পড়ি।
আচ্ছা, এসবের রচয়িতাদের তো সাহিত‍্যিক‌ই বলে তাইনা ?
আচ্ছা , প্রেমের বিষয় ছাড়া কী সাহিত্য রচনা করা যায়না ? আরো তো কতো পজিটিভ বিষয় আছে আমরা সেসব বিষয় নিয়ে কেন লিখছি না ?
কেউ পড়বে না বলে !
সবাই না পড়ুক অল্প কয়েকজন পড়ে যদি সুপথে আসতে পারে তবেই তো আমাদের লেখার সফলতা তখন আমাদের কলমের কালির মূল‍্য শহীদের রক্তের চেয়ে উত্তম হিসেবে গণ্য হবে।
কিন্তু আমরা যা লিখি এসব তো শয়তানের প্রসাবের চেয়েও নিকৃষ্ট।
লেখকেরা মরে গেলেও তার লিখনী যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকে আর তা মানুষ হৃদয়ে লালন করে সেই লেখার আদর্শে নিজেকে গড়ে তোলে।
এখন কথা হলো মানুষ নিজেকে কেমন ভাবে গড়ে তোলে।
আপনার লেখা পড়ে যদি কেউ সুপথে আসে তবে আপনি মৃত্যুর পরেও কবরে শুয়ে শুয়ে র‍্যায়েলিটি হিসেবে স‌ওয়াব পাবেন।
কিন্তু দুভার্গ‍্যবশত যদি কেউ আপনার লেখা পড়ে বিপথগামী হয় তবে কবরে শুয়ে শুয়েও আপনি পাপ করবেন।
অশ্লীল সাহিত্য রচনা করে নোবেলজয়ী হ‌ওয়ার চাইতে সুশীল সাহিত্য রচনা করে একজন মানুষকেও যদি সুপথে আনতে পারেন তবে পরকালে আপনি যা পাবেন তা দুনিয়ার হাজার হাজার নোবেল একত্র করলেও তার সমতুল্য হবে না।
তাই আসুন, আমরা আমাদের কলমের পর্দা করি , আর তাতে যদি কেউ আমাদের র‍্যায়েলিটি না দেয় তবে দুঃখিত হ‌ওয়ার কিছু নেই আমাদের র‍্যায়েলিটি আল্লাহ্ দিবেন।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৫৬৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৭/১২/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • অসাধারণ!খুব ই ভালো লাগছে।আল্লাহ আপনাকে এর উত্তম প্রতিদান দিক।
  • জসিম বিন ইদ্রিস ২৫/১২/২০১৯
    একটু ভীন্নমত! যদিও কলমের পর্দায় আপনি কলমকে সুস্থভাবে ব্যবহার করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তথাপি বর্তমান অসুস্থ সমাজে কলম হোক উন্মুক্ত...জানতে হবে সকল কিছু আর লিখতে হবে জনকল্যাণে।
  • নুর হোসেন ১৯/১২/২০১৯
    যথার্থ পোস্ট, ভালো লিখেছেন।
  • অপূর্ব সুন্দর ব্যাখ্যা |
 
Quantcast