মায়াবী রাতে বোতল হাতে
বিছানায় শুয়ে শুয়ে বিরহের গান শুনছিলাম, কেন বিরহের গান শুনছিলাম নিজেও জানিনা, কারণ আমি কখনো ব্যর্থ হয়নি, তবুও শুনতে খুব ভালোই লাগছিল। হঠাৎ করেই এলাকার এক বড় ভাই ফোন দিল। ভাইয়ের প্রতি যদিও আমর এক আকাশ অভিমান জমা তবুও ফোনটা রিসিভ করলাম।
ভাই বলল,
ভাইয়ের প্রতি রাগ করেছিস? নদীর পাড়ে চলে আয়, আজ স্পেশাল কিছু আছে।
আমি বললাম,
ভাইয়া আপনি পাঁচ মিনিট বসুন আমি দশ মিনিটের মধ্যেই আসতেছি।
এইটুকু বলেই নদীর পাড়ে দৌড় শুরু করলাম।
.
আমার বড় ভাই ঢাকা থাকে। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। বড়ভাই যখন বাড়িতে আসে তখন আমার বিড়ি-সিগারেট কিনে খেতে হয় না। বড় ভাইয়ের সাথে ঘুরাফেরা করি তখন সব খরচা বড় ভাই দিয়ে দেয়। কিন্তু এবার আমর প্রাণের বড় ভাই, জানের বড়ভাইকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে পারছিনা বলে নিজের বিড়ি নিজেরই কিনে খেতে হচ্ছে। আপনারাই বলেন আমি একজন বেকার ছেলে, আমার কি আর নিজের টাকা দিয়ে বলেন বিড়ি-সিগারেট খাওয়া পোষায়?
.
যাই হোক আমি যথা সময়ে নদীর পাড়ে পৌছলাম।
দেখি, বড়ভাই বিদেশি বোতল নিয়ে বসে আছে।
আমাকে দেখে বড়ভাই বললেন,
বিদেশি মাল, এক ঢোক পেটে পড়লেই তোর সব রাগ অভিমান পানি হয়ে যাবে।
আমি তো খুশিতে একেবারে লাল হয়ে গেলাম, বললাম,
বড়ভাই এবার আপনি একটা সুন্দর কাজ করছেন, কতদিন যাবত দামি মাল খাই না।
বড়ভাই বললেন,
নে খা, ইচ্ছে মত খা। দুই বোতল এনেছি। তিন হাজার টাকা লেগেছে।
.
আজ আমার মনটা অনেক খুশি, কারণ আমি আগে কখনো দামি মদ খাই নাই, আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল, এই প্রিয় নদীর পাড়ে বসে মদ খাব, আর জোৎস্না বিলাস করব। এই জন্য অনেক দিন যাবত টাকা জমাতে চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না। কারণ হাতে যা পায় তা দিয়ে বিড়ি কিনতেই শেষ।
বড়ভাই আমার সেই আশাটা পূরণ করছে, এজন্য আমার ইচ্ছে করছে বড়ভাই এর পায়ে সালাম করতে কিন্তু লজ্জায় করতে পারছিনা।
.
বড়ভাই একটা বোতল আমার হাতে দিয়ে বললেন,
নে শুরু কর।
আমি বললাম,
আপনি সিনিয়র মানুষ, আপনার সামনে আমি কি আর এসব করতে পারি, আপনিই শুরু করেন।
বড়ভাই শুরু করলেন, একটা করে চুমুক দিচ্ছেন আর লম্বা একটা দম নিচ্ছেন। আমি মুগ্ধ চোখে চেয়ে দেখছি।
অর্ধেকের বেশি মাল শেষ করে বড়ভাই আমার হাতে বোতলটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
খা এবার।
আমি দুই হাত দিয়ে বোতলটা ধরে চুকচুক করে খাচ্ছি, যদিও আমি ভেবেছিলাম আমার একহাতে মদের বোতল আরেক হাতে সিগারেট থাকবে। কিন্তু কেন জানি সেই আশাটা আর পূরণ হলো না।
.
যাইহোক বোতলটা শেষ হবার পর বড়ভাই সিগারেট ধরালেন, এবং গল্প বলা শুরু করলেন। আমি আগে কখনো মাল খাই নাই, তাই শুধু টলছিলাম আর দুলছিলাম। বড়ভাই আমার অবস্থা দেখে বললেন,
রমজান তোর অবস্থা বেশি ভালো না, এই অবস্থায় এখানে থাকা যাবেনা। তুই বাড়ি চলে যা, এই বোতলটা আগামীকাল খাবো।
কিন্তু আমার কেন জানি, ঐ বোতলটাও শেষ করতে ইচ্ছে করছিল। বড়ভাই "না" বলাতে উনার উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছিল কিন্তু উনাকে তো আর কিছু বলতে পারি না। হাজার হলেও বড়ভাই। তাই মনের রাগ মনে চেপে বাড়ি ফিরলাম।
.
আমার রুমের বাতি নেভানো, বিছানায় কে যেন শুয়ে আছে, আমার এক বন্ধু প্রায় রাতে আমার এখানে এসে থাকে, সালার জন্য বড়ো অসুবিধা হয়।
এমনিতেই মনে রাগ জমে আছে, তার উপর এই সালা। রাগে সালার লুঙ্গি ধরে টান দিলাম। এরপর বাতি জ্বালিয়ে দেখি বাবা হা হয়ে শুয়ে আছে। মাল খেয়ে আমার মাথা তালগোল পাকিয়ে গেছে। আজ বাসায় মেহমান এসেছে, তাই আজ বাবার আমার সাথে ঘুমানোর কথা, এটা আমার মনেই ছিল না।
.
বাবার লুঙ্গি খুলে ফেলেছি, আমার কি আর দাড়িয়ে থাকা উচিত? লুঙ্গি ফেলে দিলাম ছুট। বাবাও আমার পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছে, ভাগ্যিস উনার পড়নে আন্ডার ওয়ার ছিল।
.
ত্রয়োদশী চাঁদের আলোতে আমরা পিতা পুত্র দৌড়াচ্ছি, কি অদ্ভুত দৃশ্য, তাও আবার বাবা নেংটা। ছোটবেলায় বাবার সাথে মজা করার সময় আমি নেংটা হয়ে বাবার পেছনে দৌড়াতাম, কিন্তু আজ তার উল্টো, আজ বাবায় আমার পরে পেছনে নেংটা হয়ে দৌড়াচ্ছে।
.
দৌড়াতে দৌড়াতে নদীর পাড়ে এলাম, সেখানে কয়েক জন ছেলে বসে তাস খেলছিল, আমার দৌড়ানো দেখে তারা হয়তো ভেবেছিল, আমরা পুলিশের লোক। তাই তারাও সবকিছু ফেলে দৌড়াতে শুরু করলো। এভাবে অনেকক্ষণ দৌড়ানোর পর পিছনে তাকিয়ে দেখি, বাবা নাই। এতক্ষণ তাহলে আমি একা একাই দৌড়ালাম!!!
.
রাতও অনেক হয়েছে, রাস্তা ঘাট খুব বেশি ভালো না, আমার ভয় ভয় করতে লাগলো। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে আমার গার্লফ্রেন্ড নিশিকে কল করে বললাম,
নিশি আজ রাতে আমি তোমার সাথে থাকতে চাই।
কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো উত্তর আসলো না। কিছুক্ষণ পর একটা টেক্সট মেছেজ আসলো।
tumi kothay acho?
আমি রিপ্লাই দিলাম,
tumar barir samne achi
নিশি টেক্সট করলো
wait koro asteche
.
রাত দুইটা বাজে, আমি নিশির বাড়ির সামনের রাস্তায় বসে ঝিমুচ্ছিলাম, হঠাৎই বুঝতে পারলাম, কে যেন আমায় চাদর দিয়ে মুড়িয়ে ঝাপটে ধরলো, বুঝতে পারলাম এটা আমার হবু শশুর, অর্থাৎ নিশির বাবা। এতক্ষণ তাহলে ইনার সাথেই চ্যাটিং করেছি। বাধ্য হয়ে উনার ভুড়িতে দিলাম এক লাথি, আর উনি ছিটকে গিয়ে কাদায় পড়লো, ততক্ষণে আমি চাদর সরিয়ে ফেলেছি। পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় দেখলাম উনাকে এখন একদম পিশাচের মতো লাগছে। সারা শরীর কাদায় মাখামাখি, কিন্তু আমার তো আর পিশাচ শশুরের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। অতি দ্রুত কেটে পড়তে হবে। তাই দিলাম এক ভৌ দৌড়। আর আমার পিশাচ শশুর আমার পিছনে পিছনে দৌড়াতে লাগলো, আমার সাথে কি আর তিনি ঐ হাতির মতো শরীর নিয়ে দৌড়িয়ে পারে? অল্প কিছুদুর যাবার পরই তিনি হাপিয়ে উঠল। তাই আর উনার সাথে বেশিক্ষণ দৌড়া দৌড়ি হলো না। আর এতক্ষণ দৌড়িয়ে আমিও ক্লান্ত তাই নদীর পাড়ে চলে এলাম। ভোর পর্যন্ত এখানে বসেই বিড়ি টানব আর জোছনা বিলাস করব, বলে মনস্থির করলাম।
.
সকালে চুপিচুপি বাড়িতে ঢুকে পড়লাম। বাবাও আমাকে তেমন কিছু বললেন না। শুধু এতটুকুই বললেন,
মেহমানগুলো চলে যাক তারপর তোকে পেদানির ব্যবস্থা করব। বাবার কথায় নিশ্চিত হলাম যে বিকাল পর্যন্ত কিছু ঘটবে না, এতক্ষণ আরাম করে ঘুমানো যাবে।
সারারাত দৌড়াদৌড়ির উপর ছিলাম, একটুও ঘুমাতে পারিনি। তাই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। যা ঘটার বিকেলে ঘটুক।
.
বিকেলে বাবার ডাক হাকে ঘুম ভেঙ্গে গেল। বুঝতে পারলাম, মেহমান চলে গেছে, খেলা তাহলে এবার শুরু হবে।
বাবা আমাকে টেনে তুলে নিয়ে গিয়ে আঙিনার কাঠাল গাছের সাথে বেধে ফেললেন, এরপর উরাম ধুরাম রাম পেদানি শুরু করলেন। সহ্য করতে না পেরে আমিও অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম।
.
রাতে জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমি বিছানায় শুয়ে আছি। আমার মাথার কাছে মা চিন্তিত মুখে বসে আছে।
তাই মা কে খুশি করার জন্য বললাম,
চিন্তা করো না মা, আমার কিছু হয়নি।
অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম মায়ের চিন্তিত মুখটি কেমন জানি শক্ত হতে শুরু করেছে আর ধীরে ধীরে লাল হয়ে যাচ্ছে। বুঝতে পারলাম মা রাগ করতেছে।
মা বললেন,
তুই কি জীবনেও মানুষ হবি না?
বুঝতে পারলাম এখানে থাকা যাবে না। তাই মা'র কথার জবাব না দিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম।
.
হাটতে হাটতে নদীর পাড়ে গিয়ে বড়ভাই কে কল দিলাম।
-বড়ভাই কোথায় আছেন?
-এইতো বাড়িতেই আছি, তুই কোথায়?
-নদীর পাড়ে।
-আচ্ছা, থাক। আমি আসতেছি।
-আচ্ছা, আসুন।
বড়ভাই এসেই বললেন,
শুনলাম আজ নাকি তোকে মেরেছে, দেখি তোর পিঠটা।
আমি বললাম,
বড়ভাই ও কিছু না, বাদ দেন।
বাদ দিব মানে, এতটুকু একটা বাচ্চা ছেলেকে এভাবে কেন মারবে?
বুঝতে পারলাম বড়ভাই কে আর থামানো যাবে না। তাই হাল ছেড়ে দিলাম, যতক্ষণ পারে চেচামেচি করুক।
.
বড়ভাই বলতে লাগলেন,
তোর বাপ একটা অমানুষ, যদি আমার মতো তোর বাপেও মদ খেতো তাহলে তোর প্রতি এই নিষ্ঠুর নির্যাতন করতে পারতো না।
যাইহোক, তুই আবার তোর বাপের মতো হবি না।
নে, মদ খা, মানুষ হবি
এই বলে বড়ভাই আমার হাতে মদের বোতল তুলে দিলেন, আর আমিও মানুষ হবার লক্ষ্যে খাওয়া শুরু করলাম।
মদ শেষ হবার পর বড়ভাই গাজা ধরালেন,
দুজনে মিলে পনেরটা স্টিক শেষ করলাম।
বড়ভাই বললেন,
আজ তোর বাড়ি যাবার দরকার নেই। বাড়িতে গেলে হয়তো আজ অন্য কোনো ঝামেলা করতে পারিস। চুপচাপ বসে থাক।
.
অন্ধকার রাত। দক্ষিণ কোনে হাজার হাজার জোনাকি পোকা টিপিটিপি করে জ্বলছে, চারদিক থেকে অজস্র ঝিঁঝিঁ পোকার গান ভেসে আসছে। নদীর গহীন থেকে ঢেউ এসে কোলে আছড়ে পড়ছে, ছলাৎ ছলাৎ শব্দে। আমরা দুই ভাই প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি চেয়ে চেয়ে দেখছি। মনে হচ্ছে মদ-গাজার চেয়ে বড়ো নেশা হচ্ছে, নির্জন এই রাতের এই সৌন্দর্যে। আমরা আজ মাতাল।
.
এভাবে অনেকক্ষণ কেটে গেল, ভাবলাম লিখে পোস্ট করে দেয়।
তাই পোস্ট খেয়ে গানজা লেখতেছি। মাথা ঠিক নাই। তাই হয়তো আমার লেখায় অনেক ভুল থাকতে পারে। আপনারা সবাই আমার ভুলগুলো সাদরে গ্রহণ করবেন।
ভাই বলল,
ভাইয়ের প্রতি রাগ করেছিস? নদীর পাড়ে চলে আয়, আজ স্পেশাল কিছু আছে।
আমি বললাম,
ভাইয়া আপনি পাঁচ মিনিট বসুন আমি দশ মিনিটের মধ্যেই আসতেছি।
এইটুকু বলেই নদীর পাড়ে দৌড় শুরু করলাম।
.
আমার বড় ভাই ঢাকা থাকে। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছে। বড়ভাই যখন বাড়িতে আসে তখন আমার বিড়ি-সিগারেট কিনে খেতে হয় না। বড় ভাইয়ের সাথে ঘুরাফেরা করি তখন সব খরচা বড় ভাই দিয়ে দেয়। কিন্তু এবার আমর প্রাণের বড় ভাই, জানের বড়ভাইকে নিয়ে ঘুরাঘুরি করতে পারছিনা বলে নিজের বিড়ি নিজেরই কিনে খেতে হচ্ছে। আপনারাই বলেন আমি একজন বেকার ছেলে, আমার কি আর নিজের টাকা দিয়ে বলেন বিড়ি-সিগারেট খাওয়া পোষায়?
.
যাই হোক আমি যথা সময়ে নদীর পাড়ে পৌছলাম।
দেখি, বড়ভাই বিদেশি বোতল নিয়ে বসে আছে।
আমাকে দেখে বড়ভাই বললেন,
বিদেশি মাল, এক ঢোক পেটে পড়লেই তোর সব রাগ অভিমান পানি হয়ে যাবে।
আমি তো খুশিতে একেবারে লাল হয়ে গেলাম, বললাম,
বড়ভাই এবার আপনি একটা সুন্দর কাজ করছেন, কতদিন যাবত দামি মাল খাই না।
বড়ভাই বললেন,
নে খা, ইচ্ছে মত খা। দুই বোতল এনেছি। তিন হাজার টাকা লেগেছে।
.
আজ আমার মনটা অনেক খুশি, কারণ আমি আগে কখনো দামি মদ খাই নাই, আমার অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল, এই প্রিয় নদীর পাড়ে বসে মদ খাব, আর জোৎস্না বিলাস করব। এই জন্য অনেক দিন যাবত টাকা জমাতে চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না। কারণ হাতে যা পায় তা দিয়ে বিড়ি কিনতেই শেষ।
বড়ভাই আমার সেই আশাটা পূরণ করছে, এজন্য আমার ইচ্ছে করছে বড়ভাই এর পায়ে সালাম করতে কিন্তু লজ্জায় করতে পারছিনা।
.
বড়ভাই একটা বোতল আমার হাতে দিয়ে বললেন,
নে শুরু কর।
আমি বললাম,
আপনি সিনিয়র মানুষ, আপনার সামনে আমি কি আর এসব করতে পারি, আপনিই শুরু করেন।
বড়ভাই শুরু করলেন, একটা করে চুমুক দিচ্ছেন আর লম্বা একটা দম নিচ্ছেন। আমি মুগ্ধ চোখে চেয়ে দেখছি।
অর্ধেকের বেশি মাল শেষ করে বড়ভাই আমার হাতে বোতলটা ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
খা এবার।
আমি দুই হাত দিয়ে বোতলটা ধরে চুকচুক করে খাচ্ছি, যদিও আমি ভেবেছিলাম আমার একহাতে মদের বোতল আরেক হাতে সিগারেট থাকবে। কিন্তু কেন জানি সেই আশাটা আর পূরণ হলো না।
.
যাইহোক বোতলটা শেষ হবার পর বড়ভাই সিগারেট ধরালেন, এবং গল্প বলা শুরু করলেন। আমি আগে কখনো মাল খাই নাই, তাই শুধু টলছিলাম আর দুলছিলাম। বড়ভাই আমার অবস্থা দেখে বললেন,
রমজান তোর অবস্থা বেশি ভালো না, এই অবস্থায় এখানে থাকা যাবেনা। তুই বাড়ি চলে যা, এই বোতলটা আগামীকাল খাবো।
কিন্তু আমার কেন জানি, ঐ বোতলটাও শেষ করতে ইচ্ছে করছিল। বড়ভাই "না" বলাতে উনার উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছিল কিন্তু উনাকে তো আর কিছু বলতে পারি না। হাজার হলেও বড়ভাই। তাই মনের রাগ মনে চেপে বাড়ি ফিরলাম।
.
আমার রুমের বাতি নেভানো, বিছানায় কে যেন শুয়ে আছে, আমার এক বন্ধু প্রায় রাতে আমার এখানে এসে থাকে, সালার জন্য বড়ো অসুবিধা হয়।
এমনিতেই মনে রাগ জমে আছে, তার উপর এই সালা। রাগে সালার লুঙ্গি ধরে টান দিলাম। এরপর বাতি জ্বালিয়ে দেখি বাবা হা হয়ে শুয়ে আছে। মাল খেয়ে আমার মাথা তালগোল পাকিয়ে গেছে। আজ বাসায় মেহমান এসেছে, তাই আজ বাবার আমার সাথে ঘুমানোর কথা, এটা আমার মনেই ছিল না।
.
বাবার লুঙ্গি খুলে ফেলেছি, আমার কি আর দাড়িয়ে থাকা উচিত? লুঙ্গি ফেলে দিলাম ছুট। বাবাও আমার পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছে, ভাগ্যিস উনার পড়নে আন্ডার ওয়ার ছিল।
.
ত্রয়োদশী চাঁদের আলোতে আমরা পিতা পুত্র দৌড়াচ্ছি, কি অদ্ভুত দৃশ্য, তাও আবার বাবা নেংটা। ছোটবেলায় বাবার সাথে মজা করার সময় আমি নেংটা হয়ে বাবার পেছনে দৌড়াতাম, কিন্তু আজ তার উল্টো, আজ বাবায় আমার পরে পেছনে নেংটা হয়ে দৌড়াচ্ছে।
.
দৌড়াতে দৌড়াতে নদীর পাড়ে এলাম, সেখানে কয়েক জন ছেলে বসে তাস খেলছিল, আমার দৌড়ানো দেখে তারা হয়তো ভেবেছিল, আমরা পুলিশের লোক। তাই তারাও সবকিছু ফেলে দৌড়াতে শুরু করলো। এভাবে অনেকক্ষণ দৌড়ানোর পর পিছনে তাকিয়ে দেখি, বাবা নাই। এতক্ষণ তাহলে আমি একা একাই দৌড়ালাম!!!
.
রাতও অনেক হয়েছে, রাস্তা ঘাট খুব বেশি ভালো না, আমার ভয় ভয় করতে লাগলো। তাই উপায়ন্তর না পেয়ে আমার গার্লফ্রেন্ড নিশিকে কল করে বললাম,
নিশি আজ রাতে আমি তোমার সাথে থাকতে চাই।
কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো উত্তর আসলো না। কিছুক্ষণ পর একটা টেক্সট মেছেজ আসলো।
tumi kothay acho?
আমি রিপ্লাই দিলাম,
tumar barir samne achi
নিশি টেক্সট করলো
wait koro asteche
.
রাত দুইটা বাজে, আমি নিশির বাড়ির সামনের রাস্তায় বসে ঝিমুচ্ছিলাম, হঠাৎই বুঝতে পারলাম, কে যেন আমায় চাদর দিয়ে মুড়িয়ে ঝাপটে ধরলো, বুঝতে পারলাম এটা আমার হবু শশুর, অর্থাৎ নিশির বাবা। এতক্ষণ তাহলে ইনার সাথেই চ্যাটিং করেছি। বাধ্য হয়ে উনার ভুড়িতে দিলাম এক লাথি, আর উনি ছিটকে গিয়ে কাদায় পড়লো, ততক্ষণে আমি চাদর সরিয়ে ফেলেছি। পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় দেখলাম উনাকে এখন একদম পিশাচের মতো লাগছে। সারা শরীর কাদায় মাখামাখি, কিন্তু আমার তো আর পিশাচ শশুরের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। অতি দ্রুত কেটে পড়তে হবে। তাই দিলাম এক ভৌ দৌড়। আর আমার পিশাচ শশুর আমার পিছনে পিছনে দৌড়াতে লাগলো, আমার সাথে কি আর তিনি ঐ হাতির মতো শরীর নিয়ে দৌড়িয়ে পারে? অল্প কিছুদুর যাবার পরই তিনি হাপিয়ে উঠল। তাই আর উনার সাথে বেশিক্ষণ দৌড়া দৌড়ি হলো না। আর এতক্ষণ দৌড়িয়ে আমিও ক্লান্ত তাই নদীর পাড়ে চলে এলাম। ভোর পর্যন্ত এখানে বসেই বিড়ি টানব আর জোছনা বিলাস করব, বলে মনস্থির করলাম।
.
সকালে চুপিচুপি বাড়িতে ঢুকে পড়লাম। বাবাও আমাকে তেমন কিছু বললেন না। শুধু এতটুকুই বললেন,
মেহমানগুলো চলে যাক তারপর তোকে পেদানির ব্যবস্থা করব। বাবার কথায় নিশ্চিত হলাম যে বিকাল পর্যন্ত কিছু ঘটবে না, এতক্ষণ আরাম করে ঘুমানো যাবে।
সারারাত দৌড়াদৌড়ির উপর ছিলাম, একটুও ঘুমাতে পারিনি। তাই গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। যা ঘটার বিকেলে ঘটুক।
.
বিকেলে বাবার ডাক হাকে ঘুম ভেঙ্গে গেল। বুঝতে পারলাম, মেহমান চলে গেছে, খেলা তাহলে এবার শুরু হবে।
বাবা আমাকে টেনে তুলে নিয়ে গিয়ে আঙিনার কাঠাল গাছের সাথে বেধে ফেললেন, এরপর উরাম ধুরাম রাম পেদানি শুরু করলেন। সহ্য করতে না পেরে আমিও অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলাম।
.
রাতে জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমি বিছানায় শুয়ে আছি। আমার মাথার কাছে মা চিন্তিত মুখে বসে আছে।
তাই মা কে খুশি করার জন্য বললাম,
চিন্তা করো না মা, আমার কিছু হয়নি।
অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম মায়ের চিন্তিত মুখটি কেমন জানি শক্ত হতে শুরু করেছে আর ধীরে ধীরে লাল হয়ে যাচ্ছে। বুঝতে পারলাম মা রাগ করতেছে।
মা বললেন,
তুই কি জীবনেও মানুষ হবি না?
বুঝতে পারলাম এখানে থাকা যাবে না। তাই মা'র কথার জবাব না দিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম।
.
হাটতে হাটতে নদীর পাড়ে গিয়ে বড়ভাই কে কল দিলাম।
-বড়ভাই কোথায় আছেন?
-এইতো বাড়িতেই আছি, তুই কোথায়?
-নদীর পাড়ে।
-আচ্ছা, থাক। আমি আসতেছি।
-আচ্ছা, আসুন।
বড়ভাই এসেই বললেন,
শুনলাম আজ নাকি তোকে মেরেছে, দেখি তোর পিঠটা।
আমি বললাম,
বড়ভাই ও কিছু না, বাদ দেন।
বাদ দিব মানে, এতটুকু একটা বাচ্চা ছেলেকে এভাবে কেন মারবে?
বুঝতে পারলাম বড়ভাই কে আর থামানো যাবে না। তাই হাল ছেড়ে দিলাম, যতক্ষণ পারে চেচামেচি করুক।
.
বড়ভাই বলতে লাগলেন,
তোর বাপ একটা অমানুষ, যদি আমার মতো তোর বাপেও মদ খেতো তাহলে তোর প্রতি এই নিষ্ঠুর নির্যাতন করতে পারতো না।
যাইহোক, তুই আবার তোর বাপের মতো হবি না।
নে, মদ খা, মানুষ হবি
এই বলে বড়ভাই আমার হাতে মদের বোতল তুলে দিলেন, আর আমিও মানুষ হবার লক্ষ্যে খাওয়া শুরু করলাম।
মদ শেষ হবার পর বড়ভাই গাজা ধরালেন,
দুজনে মিলে পনেরটা স্টিক শেষ করলাম।
বড়ভাই বললেন,
আজ তোর বাড়ি যাবার দরকার নেই। বাড়িতে গেলে হয়তো আজ অন্য কোনো ঝামেলা করতে পারিস। চুপচাপ বসে থাক।
.
অন্ধকার রাত। দক্ষিণ কোনে হাজার হাজার জোনাকি পোকা টিপিটিপি করে জ্বলছে, চারদিক থেকে অজস্র ঝিঁঝিঁ পোকার গান ভেসে আসছে। নদীর গহীন থেকে ঢেউ এসে কোলে আছড়ে পড়ছে, ছলাৎ ছলাৎ শব্দে। আমরা দুই ভাই প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি চেয়ে চেয়ে দেখছি। মনে হচ্ছে মদ-গাজার চেয়ে বড়ো নেশা হচ্ছে, নির্জন এই রাতের এই সৌন্দর্যে। আমরা আজ মাতাল।
.
এভাবে অনেকক্ষণ কেটে গেল, ভাবলাম লিখে পোস্ট করে দেয়।
তাই পোস্ট খেয়ে গানজা লেখতেছি। মাথা ঠিক নাই। তাই হয়তো আমার লেখায় অনেক ভুল থাকতে পারে। আপনারা সবাই আমার ভুলগুলো সাদরে গ্রহণ করবেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩০/০৯/২০১৮কিছু বলার নাই।
-
তুষার অপু ১৭/০৯/২০১৮খুব মজার লেগেছে লেখার ধরণটা।
-
আব্দুল হক ১৬/০৯/২০১৮নামটি যেন কেমন কেমন?
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১৫/০৯/২০১৮খুব লাগলো