বউয়ের বাপের বাড়ি ঈদ বায়না
সকাল বেলা বউ বলল এবার ঈদ বাপের বাড়িতে করবে। আমি বাধ সাধলাম তার ইচ্ছেতে। তবে সেটা মুখে প্রকাশ করিনি। চুপ থাকলাম। কারণ একলা একা বাসায় আমার দিন কয়েদ খানার মত কাটবে তাকে ছাড়া। তাই ভাবছি কি করা যায়। যাতে দোষ আমার উপরে না বর্তায়। 😂
ঈদের আগে আজ অফিসের শেষ দিন। গোসল সেরে নিলাম। অফিসের উদ্দেশ্যে বের হব। বউ শার্ট আইরন করছে। সেই সুযোগে আমি চুপি চুপি আমাদের দু'জনের পাসপোর্ট দু'খানা ব্যাগে পুরে নিলাম। নিষ্পাপ সহজ সরল হাসি খুশি মুখটি এসে আমাকে শার্ট পরিয়ে দিল। এই আজ তো শেষ অফিস। তাড়াতাড়ি চলে এসো। আচ্ছা ঠিকাচ্ছে আসবনি। আল্লাহ হাফেজ।
প্রতিদিনকার ন্যায় দুপুরে ফোন দিল।
বউ- কি কর?
আমি- কাজ করি। তুমি?
বউ- আমি বসে আছি। কুরআন পড়ছিলাম। তুমি কি ব্যস্ত নাকি ভীষণ?
আমি- হুমম। আজ অফিস শেষ তো সব কাজ গুছিয়ে যেতে হবে। তাই কাজ একটু বেশি। ও হ্যাঁ শোন তাই আজ একটু যেতে দেরিও হতে পারে।
বউ- আচ্ছা... রাখি... কাজ কর... (গম্ভীর কন্ঠ) 😖
বিকালে অফিস শেষ করে ঘন্টা খানেক ইচ্ছে করেই দেরিতে বাসায় অাসলাম। কলিংবেল দিলাম। চেহারায় একটা বিষন্ন ভাব ফুটিয়ে তোললাম। 😎 মিষ্টি মিষ্টি হেসে দরজা খুলে দিল। আমার দিকে থাকিয়ে হাসি মুখ মলিন হয়ে গেল বুঝলাম। এবার আমার নাটকের পালা!!! ☺
বউ- মন খারাপ?
আমি নিশ্চুপ! কথার উত্তর দিলাম না। পাসপোর্ট দু'টা ব্যাগ থেকে বের করে তার সামনে বিচানায় রাখলাম।
আমি- যাও ক্যান্সেল করে দিলাম!
বউ- কি ক্যান্সেল করলে? পাসপোর্ট কোথায় নিয়ে গেছিলে? (চেহারায় কিছুটা উৎসুক ভাব)
আমি- পাসপোর্ট নিয়ে যায়নি! নিয়ে আসলাম।
বউ- মানে কি? কিছুই তো মাথায় ঢুকছে না। বুঝিয়ে বল।
আমি- ভাবছিলাম ঈদের ছুটিটা তোমাকে নিয়ে ভারতের শিলিগুড়িতে কাটাব। কিন্তু তুমি তো বাপের বাড়িতে ঈদ করবে। তাই প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করে দিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে আসলাম।
বউ- (রেগে আগুন 😈😈😈) শয়তান, কুত্তা যা আমি কোথাও যাব না। বাপের বাড়িও যাব না। 😭😭😭 কান্না শুরু করে দিল। 😫
আমি- আজব! আমার দোষ কি? আমি কি তোমার বাপের বাড়ি যেতে নিষেধ করব নাকি?
বউ- কুত্তা আমি কোথাও যাব না। (কাঁদো স্বরে)
আমি- ইহ! তুমি বাপরে বাড়ি যাবে না? দেখা যাবে।
বউ- হ্যাঁ হ্যাঁ দেখে নিও।
প্ল্যান সাকসেসফুল!!! 😂😂😂 মনের মধ্যে যে কি খুশি বইছে তা ভাষায় প্রকাশ যোগ্য নয়। এখানে মনে রাখতে হবে কুত্তা কথাটা তার যখন খুবি রাগ হয় তখন কমন গালি হিসেবে ব্যবহিত হয়। এর বেশি কিছু পারে না। 😍😍😍
ঈদের আগে আজ অফিসের শেষ দিন। গোসল সেরে নিলাম। অফিসের উদ্দেশ্যে বের হব। বউ শার্ট আইরন করছে। সেই সুযোগে আমি চুপি চুপি আমাদের দু'জনের পাসপোর্ট দু'খানা ব্যাগে পুরে নিলাম। নিষ্পাপ সহজ সরল হাসি খুশি মুখটি এসে আমাকে শার্ট পরিয়ে দিল। এই আজ তো শেষ অফিস। তাড়াতাড়ি চলে এসো। আচ্ছা ঠিকাচ্ছে আসবনি। আল্লাহ হাফেজ।
প্রতিদিনকার ন্যায় দুপুরে ফোন দিল।
বউ- কি কর?
আমি- কাজ করি। তুমি?
বউ- আমি বসে আছি। কুরআন পড়ছিলাম। তুমি কি ব্যস্ত নাকি ভীষণ?
আমি- হুমম। আজ অফিস শেষ তো সব কাজ গুছিয়ে যেতে হবে। তাই কাজ একটু বেশি। ও হ্যাঁ শোন তাই আজ একটু যেতে দেরিও হতে পারে।
বউ- আচ্ছা... রাখি... কাজ কর... (গম্ভীর কন্ঠ) 😖
বিকালে অফিস শেষ করে ঘন্টা খানেক ইচ্ছে করেই দেরিতে বাসায় অাসলাম। কলিংবেল দিলাম। চেহারায় একটা বিষন্ন ভাব ফুটিয়ে তোললাম। 😎 মিষ্টি মিষ্টি হেসে দরজা খুলে দিল। আমার দিকে থাকিয়ে হাসি মুখ মলিন হয়ে গেল বুঝলাম। এবার আমার নাটকের পালা!!! ☺
বউ- মন খারাপ?
আমি নিশ্চুপ! কথার উত্তর দিলাম না। পাসপোর্ট দু'টা ব্যাগ থেকে বের করে তার সামনে বিচানায় রাখলাম।
আমি- যাও ক্যান্সেল করে দিলাম!
বউ- কি ক্যান্সেল করলে? পাসপোর্ট কোথায় নিয়ে গেছিলে? (চেহারায় কিছুটা উৎসুক ভাব)
আমি- পাসপোর্ট নিয়ে যায়নি! নিয়ে আসলাম।
বউ- মানে কি? কিছুই তো মাথায় ঢুকছে না। বুঝিয়ে বল।
আমি- ভাবছিলাম ঈদের ছুটিটা তোমাকে নিয়ে ভারতের শিলিগুড়িতে কাটাব। কিন্তু তুমি তো বাপের বাড়িতে ঈদ করবে। তাই প্রোগ্রাম ক্যান্সেল করে দিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে আসলাম।
বউ- (রেগে আগুন 😈😈😈) শয়তান, কুত্তা যা আমি কোথাও যাব না। বাপের বাড়িও যাব না। 😭😭😭 কান্না শুরু করে দিল। 😫
আমি- আজব! আমার দোষ কি? আমি কি তোমার বাপের বাড়ি যেতে নিষেধ করব নাকি?
বউ- কুত্তা আমি কোথাও যাব না। (কাঁদো স্বরে)
আমি- ইহ! তুমি বাপরে বাড়ি যাবে না? দেখা যাবে।
বউ- হ্যাঁ হ্যাঁ দেখে নিও।
প্ল্যান সাকসেসফুল!!! 😂😂😂 মনের মধ্যে যে কি খুশি বইছে তা ভাষায় প্রকাশ যোগ্য নয়। এখানে মনে রাখতে হবে কুত্তা কথাটা তার যখন খুবি রাগ হয় তখন কমন গালি হিসেবে ব্যবহিত হয়। এর বেশি কিছু পারে না। 😍😍😍
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আফরিনা নাজনীন মিলি ২১/০৬/২০১৭মজার অভিজ্ঞতা, উপভোগ করলাম। বানানের দিকটা একটু খেয়ালে রাখলে আরো সুখপাঠ্য হতো।