আল্লাহর হেদায়াত এবং ফাঁস করা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে জান্নাতের সার্টিফিকেট লাভ
“আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানের রাজিম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।”
“অমা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিয়া’বুদুন।”
অকালা রাসূলুল্লাহি (সঃ) “বুনিয়াল ইসলামু আলা খামসিন, (১) শাহাদাতু আল্লাহ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু অ-আশহাদু আন্না মুহাম্মদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু (২) ওয়া ইকামাস সালাহ (৩) ওয়া ইতায়ুজ্জাকাত (৪) ওয়াল হাজ্জু (৫) ওয়া সাওমু রমাদান।”
চান্দুয়াইল জুবাইদা নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে আয়োজিত আজকের বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলের সম্মানিত সভাপতি। উপস্থিত প্রখ্যাত আলেমে দীন হযরত মাওলানা....সাহেব। উপস্থিত দূর দূরান্ত হতে আগত ইসলামের ঝান্ডাবাহী আলেম-উলামাবৃন্দ। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রেমে পাগল দীনি ভাইয়েরা। প্রিয় সুধী, ছাত্র এবং আড়ালে বসে কান পেতে যেসকল মা বোনেরা কুরআন হাদীসের অমীয় বাণী শ্রবণ করছেন। সকলের প্রতি আমার সালাম-আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমি কোন আলেম নই, বক্তা নই। আমি গুছিয়ে কথা বলতে পারি না। আমি শুধু দাঁড়িয়েছি আপনাদের কাছে দোয়া চাওয়ার জন্য। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ আমাকে এবং আমার পরিবারের সকলকে সুস্থ রাখেন এবং গোমরাহীর পথ থেকে ফিরিয়ে হেদায়াতের পথে পরিচালিত করেন।
এই হেদায়াতের পথ আমরা সকলেই চাই। বলুন চাই কিনা?
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে প্রত্যেক রাকাতে আমরা সুরা ফাতিহা পাঠ করে আল্লাহর কাছে কী চাই?
চাই-“ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরা তল্লাজিনা আন আমতা আলাইহিম। গায়রিল মাগদুবি আলাইহিম। অলাদ দয়াল্লিন।”
এর অর্থ কী?
এর অর্থ হলো- “হে আল্লাহ আমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন। তাদের পথে রাখেন যারা আপনার অনুগ্রহ/নেয়ামত/হেদায়েত লাভ করেছে। যারা অভিশপ্ত বিপথগামী তাদের পথ থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করেন।”
বলতে পারেন-“আমরাতো সালাত পড়ি, রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম আহকাম পালন করি। আমরা তো ভালো পথেই আছি, সঠিক পথেই আছি। আমরা আল্লাহর কাছে হেদায়াত কেন চাইবো?
মহান আল্লাহ বলেন-“ আমি যাকে হেদায়াত দান করি তাকে কেউ গোমরাহ বানাতে পারে না। আর আমি যাকে গোমরাহ বানাই কেউ তাকে হেদায়াত দান করতে পারে না।”
এতে বুঝা যায় হেদায়াত দান করা আল্লাহর ইচ্ছা অনিচ্ছার ব্যাপার। আল্লাহর ইচ্ছা না হলে শত ভালো কাজ করেও কেউ হেদায়াত পাবে না। আবার শত মন্দ কাজ করেও একটা ভালো কাজের জন্য আল্লাহ তাকে হেদায়াত দান করতে পারেন। এজন্য প্রত্যেক সেজদা থেকে ওঠে আবার সেজদায় যাওয়ার পূর্বে রাসুল (সঃ) বলতেন-“আল্লাহুম্মাগফিরলি, অর হামনি, অর জোকনি, ওয়াহদিনি।” হে আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিন, আমাকে রহম করেন, আমাকে রিযিক দান করেন, আমাকে হেদায়াত দান করেন।
যেখানে আল্লাহর রাসূল আল্লাহর কাছে প্রতিমুহূর্তে আল্লাহর কাছে হেদায়াত চাইতেন, সেখানে আমি আপনি আমরা পশ্চিম দিকে ফিরে কয়টা ঠুস দিয়ে কীভাবে আল্লাহর হেদায়াত পেয়ে গেছি বলতে পারি?
আল্লাহর হেদায়াত পেতে হলে আপনাকে সূরা ফাতিহার পর আরেকটু সামনে এগুতে হবে। মাত্র একটা পাতা উল্টাতে হবে। আপনি আল্লাহর কাছে হেদায়াতের পথ চাইলেন, আল্লাহ কি চুপ করে বসে আছেন; আল্লাহ কি আপনার আবদারে সাড়া দেননি? দিয়েছেন। শুনুন তাহলে দয়াময় আল্লাহ তাঁর বান্দার ডাকে কীভাবে সাড়া দিয়েছেন।
তিনি বলেন-“আলিফ লাম মিম। জা-লিকাল কিতাবু লা-রাইবা ফিহি হুদাল্লিল মুত্তাকিন। আল্লাজিনা ইয়ু’মিনুনা বিল গাইবি ওয়ায়ুকিমুনাস সালাতা ওয়ামিম্মা রাযাকনাহুম ইয়ুনফিকুন। ওয়াল্লাজিনা ইউ’মিনুনা বিমা উনযিলা ইলাইকা অমা উনযিলা মিন কাবলিকা, অবিল আ-খিরাতি হুম ইউকিনুন। উলায়িকা আলা হুদাম্মির রাব্বিহুম অউলায়িকা হুমুল মুফলিহুন।” সুরা বাকারা-১-৫ আয়াত।
অর্থ- আলিফ লাম মিম। এটা সেই কিতাব যাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। এটা মুত্তাকীদের জন্য হেদায়াত/ পথ নির্দেশক। (১) যারা অদৃশ্যের/আল্লাহর প্রতি ইমান আনে (২) যারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে (৩) এবং আমি যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে দান করে। (৪) আর তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে, তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং (৫) পরকালের প্রতিও তারা নিশ্চিত বিশ্বাসী। তারাই আল্লাহর হিদায়াতের মধ্যে আছে। আর তারাই সফলকাম।
তাহলে বুঝা গেল কুরআন কাদেরকে হেদায়াতের পথ দেখাবে?
যারা (১) যারা অদৃশ্যের/আল্লাহর প্রতি ইমান আনে (২) যারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে (৩) এবং তিনি যে রিযিক দিয়েছেন তা থেকে দান করে। (৪) আর মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে, তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং (৫) পরকালের প্রতিও যারা নিশ্চিত বিশ্বাসী।
এই ৫টি কাজ যারা করে তারাই আল্লাহর হেদায়াত প্রাপ্ত এবং তারাই সফলকাম অর্থাৎ আল্লাহর পরীক্ষায় পাস করে জান্নাতে যাওয়ার সার্টিফিকেট লাভ করবে।
পরীক্ষা পাসের কথা যখন এসেই পড়েছে তখন আরেকটি কথা না বলে পারছি না। একজন ছাত্রকে এক ক্লাস হতে অন্য ক্লাসে ওঠতে হলে মিনিমাম এক বছর পড়া লেখা করতে হয়। এসএসসি ও এইচএসসিতে ২ বছর পড়তে হয়। তারপর পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে পাস করলে সার্টিফিকেট পায়। দুনিয়ার এই পরীক্ষা পাসের জন্য কত সময় ধরে পড়া লেখা, কত কষ্ট, কত টাকা খরচ, কত জালজালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করে। তারপরও ৩০-৪০% ছাত্রছাত্রী ফেল করে। যারা ফেল করে তারা কি উপরের ক্লাসে যেতে পারে?
মহান আল্লাহ কত দয়ালু দেখেন। কোন বিষয় পড়তে হবে তার সিলেবাস দিয়ে দিয়েছেন। মাত্র ৫টি বিষয়-(১) কলেমা/ইমান, (২) সালাত, (৩) যাকাত, (৪) হজ্জ এবং (৫) রমজানের রোজা। পরীক্ষায় কী প্রশ্ন আসবে তাও বলে দিয়েছেন। ৫টি বিষয় থেকে মাত্র ৩টি প্রশ্ন থাকবে। বলেন তো এই তিনটি প্রশ্ন কী যা আপনার মৃত্যুর পরে কবরে জিজ্ঞাসা করা হবে? হাঁ আপনারা সবাই জানেন। (১) মার রাব্বুকা-তোমার রব কে, (২) অমানদিনুকা-তোমার ধর্ম কী ছিল এবং (৩) অমান নাবিউকা-তোমার নবী কে ছিলো? এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর যাতে সঠিকভাবে দিতে পারেন তার প্রস্তুতি নেয়ার সময় দিয়েছেন এক বছর দুই বছর নয় গড়ে ৭০ বছর। আর এই প্রশ্ন ফাঁসের জন্য আল্লাহকে কোন ঘুষও দেয়া লাগেনি। এরপরও যদি কেউ এই ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হবে তাদের জন্য কি জান্নাতের সার্টিফিকেট মিলবে?
সাবধান মুসলমান! আল্লাহ জ্বিন এবং মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। আর সেই ইবাদতের মৌলিক বিষয় আল্লাহ কুরআন ও রাসুলের হাদিসের মাধ্যমে তা জানিয়ে দিয়েছেন। আমরা যেন ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর হেদায়াত লাভ করতে পারি এবং আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জান্নাতের সার্টিফিকেট লাভ করতে পারি। আমীন।
২৫-০১-২০১৮
মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান
বিতর্ক সহ-সম্পাদক
জাতীয় সংসদ সচিবালয়, ঢাকা।
(গ্রামের বাড়িতে চান্দুয়াইল জুবাইদা নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে আয়োজিত বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য প্রদানের জন্য প্রস্তুতকৃত। আরবি উচ্চারণ বাংলা বানানে ভুল এসে থাকলে সংশোধনের পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে।)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।”
“অমা খালাকতুল জিন্না ওয়াল ইনসা ইল্লা লিয়া’বুদুন।”
অকালা রাসূলুল্লাহি (সঃ) “বুনিয়াল ইসলামু আলা খামসিন, (১) শাহাদাতু আল্লাহ লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারীকালাহু অ-আশহাদু আন্না মুহাম্মদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু (২) ওয়া ইকামাস সালাহ (৩) ওয়া ইতায়ুজ্জাকাত (৪) ওয়াল হাজ্জু (৫) ওয়া সাওমু রমাদান।”
চান্দুয়াইল জুবাইদা নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে আয়োজিত আজকের বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলের সম্মানিত সভাপতি। উপস্থিত প্রখ্যাত আলেমে দীন হযরত মাওলানা....সাহেব। উপস্থিত দূর দূরান্ত হতে আগত ইসলামের ঝান্ডাবাহী আলেম-উলামাবৃন্দ। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রেমে পাগল দীনি ভাইয়েরা। প্রিয় সুধী, ছাত্র এবং আড়ালে বসে কান পেতে যেসকল মা বোনেরা কুরআন হাদীসের অমীয় বাণী শ্রবণ করছেন। সকলের প্রতি আমার সালাম-আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমি কোন আলেম নই, বক্তা নই। আমি গুছিয়ে কথা বলতে পারি না। আমি শুধু দাঁড়িয়েছি আপনাদের কাছে দোয়া চাওয়ার জন্য। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ আমাকে এবং আমার পরিবারের সকলকে সুস্থ রাখেন এবং গোমরাহীর পথ থেকে ফিরিয়ে হেদায়াতের পথে পরিচালিত করেন।
এই হেদায়াতের পথ আমরা সকলেই চাই। বলুন চাই কিনা?
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে প্রত্যেক রাকাতে আমরা সুরা ফাতিহা পাঠ করে আল্লাহর কাছে কী চাই?
চাই-“ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরা তল্লাজিনা আন আমতা আলাইহিম। গায়রিল মাগদুবি আলাইহিম। অলাদ দয়াল্লিন।”
এর অর্থ কী?
এর অর্থ হলো- “হে আল্লাহ আমাদেরকে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেন। তাদের পথে রাখেন যারা আপনার অনুগ্রহ/নেয়ামত/হেদায়েত লাভ করেছে। যারা অভিশপ্ত বিপথগামী তাদের পথ থেকে আমাদেরকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করেন।”
বলতে পারেন-“আমরাতো সালাত পড়ি, রোজা রাখি, আল্লাহর হুকুম আহকাম পালন করি। আমরা তো ভালো পথেই আছি, সঠিক পথেই আছি। আমরা আল্লাহর কাছে হেদায়াত কেন চাইবো?
মহান আল্লাহ বলেন-“ আমি যাকে হেদায়াত দান করি তাকে কেউ গোমরাহ বানাতে পারে না। আর আমি যাকে গোমরাহ বানাই কেউ তাকে হেদায়াত দান করতে পারে না।”
এতে বুঝা যায় হেদায়াত দান করা আল্লাহর ইচ্ছা অনিচ্ছার ব্যাপার। আল্লাহর ইচ্ছা না হলে শত ভালো কাজ করেও কেউ হেদায়াত পাবে না। আবার শত মন্দ কাজ করেও একটা ভালো কাজের জন্য আল্লাহ তাকে হেদায়াত দান করতে পারেন। এজন্য প্রত্যেক সেজদা থেকে ওঠে আবার সেজদায় যাওয়ার পূর্বে রাসুল (সঃ) বলতেন-“আল্লাহুম্মাগফিরলি, অর হামনি, অর জোকনি, ওয়াহদিনি।” হে আল্লাহ আমাকে মাফ করে দিন, আমাকে রহম করেন, আমাকে রিযিক দান করেন, আমাকে হেদায়াত দান করেন।
যেখানে আল্লাহর রাসূল আল্লাহর কাছে প্রতিমুহূর্তে আল্লাহর কাছে হেদায়াত চাইতেন, সেখানে আমি আপনি আমরা পশ্চিম দিকে ফিরে কয়টা ঠুস দিয়ে কীভাবে আল্লাহর হেদায়াত পেয়ে গেছি বলতে পারি?
আল্লাহর হেদায়াত পেতে হলে আপনাকে সূরা ফাতিহার পর আরেকটু সামনে এগুতে হবে। মাত্র একটা পাতা উল্টাতে হবে। আপনি আল্লাহর কাছে হেদায়াতের পথ চাইলেন, আল্লাহ কি চুপ করে বসে আছেন; আল্লাহ কি আপনার আবদারে সাড়া দেননি? দিয়েছেন। শুনুন তাহলে দয়াময় আল্লাহ তাঁর বান্দার ডাকে কীভাবে সাড়া দিয়েছেন।
তিনি বলেন-“আলিফ লাম মিম। জা-লিকাল কিতাবু লা-রাইবা ফিহি হুদাল্লিল মুত্তাকিন। আল্লাজিনা ইয়ু’মিনুনা বিল গাইবি ওয়ায়ুকিমুনাস সালাতা ওয়ামিম্মা রাযাকনাহুম ইয়ুনফিকুন। ওয়াল্লাজিনা ইউ’মিনুনা বিমা উনযিলা ইলাইকা অমা উনযিলা মিন কাবলিকা, অবিল আ-খিরাতি হুম ইউকিনুন। উলায়িকা আলা হুদাম্মির রাব্বিহুম অউলায়িকা হুমুল মুফলিহুন।” সুরা বাকারা-১-৫ আয়াত।
অর্থ- আলিফ লাম মিম। এটা সেই কিতাব যাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। এটা মুত্তাকীদের জন্য হেদায়াত/ পথ নির্দেশক। (১) যারা অদৃশ্যের/আল্লাহর প্রতি ইমান আনে (২) যারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে (৩) এবং আমি যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে দান করে। (৪) আর তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে, তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং (৫) পরকালের প্রতিও তারা নিশ্চিত বিশ্বাসী। তারাই আল্লাহর হিদায়াতের মধ্যে আছে। আর তারাই সফলকাম।
তাহলে বুঝা গেল কুরআন কাদেরকে হেদায়াতের পথ দেখাবে?
যারা (১) যারা অদৃশ্যের/আল্লাহর প্রতি ইমান আনে (২) যারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে (৩) এবং তিনি যে রিযিক দিয়েছেন তা থেকে দান করে। (৪) আর মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রতি যা নাযিল হয়েছে এবং তার পূর্বে যা নাযিল হয়েছে, তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং (৫) পরকালের প্রতিও যারা নিশ্চিত বিশ্বাসী।
এই ৫টি কাজ যারা করে তারাই আল্লাহর হেদায়াত প্রাপ্ত এবং তারাই সফলকাম অর্থাৎ আল্লাহর পরীক্ষায় পাস করে জান্নাতে যাওয়ার সার্টিফিকেট লাভ করবে।
পরীক্ষা পাসের কথা যখন এসেই পড়েছে তখন আরেকটি কথা না বলে পারছি না। একজন ছাত্রকে এক ক্লাস হতে অন্য ক্লাসে ওঠতে হলে মিনিমাম এক বছর পড়া লেখা করতে হয়। এসএসসি ও এইচএসসিতে ২ বছর পড়তে হয়। তারপর পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে পাস করলে সার্টিফিকেট পায়। দুনিয়ার এই পরীক্ষা পাসের জন্য কত সময় ধরে পড়া লেখা, কত কষ্ট, কত টাকা খরচ, কত জালজালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে প্রশ্ন ফাঁস করে। তারপরও ৩০-৪০% ছাত্রছাত্রী ফেল করে। যারা ফেল করে তারা কি উপরের ক্লাসে যেতে পারে?
মহান আল্লাহ কত দয়ালু দেখেন। কোন বিষয় পড়তে হবে তার সিলেবাস দিয়ে দিয়েছেন। মাত্র ৫টি বিষয়-(১) কলেমা/ইমান, (২) সালাত, (৩) যাকাত, (৪) হজ্জ এবং (৫) রমজানের রোজা। পরীক্ষায় কী প্রশ্ন আসবে তাও বলে দিয়েছেন। ৫টি বিষয় থেকে মাত্র ৩টি প্রশ্ন থাকবে। বলেন তো এই তিনটি প্রশ্ন কী যা আপনার মৃত্যুর পরে কবরে জিজ্ঞাসা করা হবে? হাঁ আপনারা সবাই জানেন। (১) মার রাব্বুকা-তোমার রব কে, (২) অমানদিনুকা-তোমার ধর্ম কী ছিল এবং (৩) অমান নাবিউকা-তোমার নবী কে ছিলো? এই তিনটি প্রশ্নের উত্তর যাতে সঠিকভাবে দিতে পারেন তার প্রস্তুতি নেয়ার সময় দিয়েছেন এক বছর দুই বছর নয় গড়ে ৭০ বছর। আর এই প্রশ্ন ফাঁসের জন্য আল্লাহকে কোন ঘুষও দেয়া লাগেনি। এরপরও যদি কেউ এই ৩টি প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হবে তাদের জন্য কি জান্নাতের সার্টিফিকেট মিলবে?
সাবধান মুসলমান! আল্লাহ জ্বিন এবং মানুষকে সৃষ্টি করেছেন একমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য। আর সেই ইবাদতের মৌলিক বিষয় আল্লাহ কুরআন ও রাসুলের হাদিসের মাধ্যমে তা জানিয়ে দিয়েছেন। আমরা যেন ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর হেদায়াত লাভ করতে পারি এবং আল্লাহর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জান্নাতের সার্টিফিকেট লাভ করতে পারি। আমীন।
২৫-০১-২০১৮
মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান
বিতর্ক সহ-সম্পাদক
জাতীয় সংসদ সচিবালয়, ঢাকা।
(গ্রামের বাড়িতে চান্দুয়াইল জুবাইদা নূরানি হাফেজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে আয়োজিত বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য প্রদানের জন্য প্রস্তুতকৃত। আরবি উচ্চারণ বাংলা বানানে ভুল এসে থাকলে সংশোধনের পরামর্শ সাদরে গৃহীত হবে।)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুল হক ২৫/০১/২০১৮সত্য কথা!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৫/০১/২০১৮কথা সত্য।