উত্থান-পতন
উত্থান-পতন
- এম. মাহবুব মুকুল
জীব সৃষ্টির আদিযুগ থেকে ভাঙ্গা-গড়ার খেলা,
ধবংসের বুকে সৃষ্টি। অন্ধকার পেরিয়ে ওঠে বেলা।
খেলা খেলা, ধবংসের খেলা। খেলিছে কেবা!
শান্তির মাঝে কৃত্রিম দেয়াল গড়ায় যেবা।
মানব ইতিহাসের সময় কতো দ্রুত পাল্টায়,
প্রকৃতি দেখো টাইফুন সাইমুম ঝড়ে উল্টায়।
তীব্র ক্ষোভ! ভয়ঙ্কর ক্রোধ!! বিক্ষুব্ধ মানুষ!!!
ইট লোহা কংক্রিটে শক্ত প্রাচীর গড়ে ফানুস।
সেই কবে থেকে এ ইতিহাস জানি তুমি আমি,
হারিয়ে গিয়েছে বিশ্ব থেকে কতো মহারথি ভূস্বামী।
সেন-গুপ্ত-মৌর্য-পাঠান-বর্গী-মারাঠা-মোগল
উত্থান পতনের মাঝে শেষ, তাদের দখল।
চাপা উত্তেজনার বুকে, দুঃখ হতাশার সুর
দ্বিধা-দ্বন্দ্বের পরে শুরু হয় শান্তি চুক্তি সাক্ষর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে গড়ে ওঠে বার্লিন প্রাচীর,
১৯৯০ সারে ভাঙ্গল জার্মানীর ঐ শক্ত প্রাচীর।
বিশ্বে আজ কোথাও হয় মিলন। একত্রীকরণ,
আবার কোথাও দেখো ধবংসকে করে বরণ।
ঐ নব্বই সালে একদিকে জার্মানী একত্রী করণ,
পরমুহূর্তে বিলীন হলো সোভিযেত ইউনিয়ন।
স্বপ্ন আর বাস্তব দু’য়ের মধ্যে প্রভেদ বিস্তর,
বাস্তবের কঠিন মিলন, আবেগ স্বপ্ন কল্পনার।
মানুষের স্বপ্ন বেশী দিন স্থায়ী হয় না, বোধ হয়,
কোথাও ঘটে পূর্ণ আবার কোথাও শূন্য করে দেয়।
সময় বড় নির্মম! সময় অসময় মানে না,
হাসি কাঁন্নার কোন কিছুই সে ধার ধারে না।
বার্লিন, মস্কো, প্রাগ, বেলগ্রেড এসব শহর,
ওলোট-পালোট করা, ভাঙ্গা-গড়ার অন্তহীন বন্দর।
উত্থান-পতন অভ্যুদয় ধবংস-সৃষ্টির অনিশেষ নাটক,
বিশ্বের কিছু ধনিদেশ আজ সেজেছে ঘটক।
কোথাও চলছে যুদ্ধ আবার কোথাও হানাহানি,
কার ক্ষমতা কতো ! ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়ে করে প্রদর্শনী।
ভাঙ্গাগড়ার আবর্তে কোথায় কে তলাচ্ছে কে জানে?
দেশ জাতি সমাজ আতঙ্কিত, মারনাস্ত্রের ভয় জনমনে।
উত্থান পতন ধবংস বিপর্য়য়ে মানুষ লক্ষ্যহীন,
প্রিয়স্মৃতি প্রিয়মুখ হারিয়ে সমাজ আজ প্রীতিহীন।
বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, লিথুনিয়া ও শ্লোভাকিয়া
ভাঙ্গা গড়ার অজানা কাহিনী চলে ধামাচাপা দিয়া।
প্রতিদিন ঘটে ইতিহাসের নতুন নতুন সব ঘটনা,
ঐতিয্য ধবংস করে, নতুন ইতিহাস করে বর্ণনা।
রোমান, বলকান সম্রাজ্য, জারদের শাসন!
বৃটিশ-ফরাসীদের মাঝে কতো উত্থান-পতন।
এ বিশ্বের বুকে নিরীহ দূর্বল মানুষ নীরব সাক্ষী,
‘স্মৃতি বড়ো দূর্বল, বিস্মরণ পরায়ন’- বলে রক্ষী।
যা ঘটে, তাকেই বলে এই বুঝি এর শেষ !
পরমুহূর্তে রাখে আর এক ট্রাজেডির রেশ।
উত্থান-পতন, ভাঙ্গাগড়ার এ নিষ্ঠুর খেলা!
বিশ্ব জাতিসমূহকে রক্ষায় উঠাতে হবে বেলা।
পৃথিবীতে আজ যা ঘটছে, তা সময়ে প্রবাহমান,
সময় পেরিয়ে পরবর্তীতে রটে যায় তার দূর্নাম।
উত্থান-পতনের এ খেলা শেষ কোথায় গিয়ে ?
সময়ই জানে! প্রকৃতির মাঝে ধরণী থাকে ভয়ে।
বিশ্বের বুকে ইতহাস বিচিত্র নির্মম খেলা খেলে
জানি না! কোথায় শেষ হবে? কিসে সে ভোলে!
হেলায় খেলায় ধবংসের খেলায় মানুষ মারছে সর্বত্র
মানুষ মেরে বলে, সন্ত্রাস মেরেছি। আমরা অভিভূত!
মানব ইতিহাসও ক্ষণভঙ্গুর বিচিত্র তার ঘটনাবলী,
ধবংসের খেলায় বিশ্বভূমণ্ডলে উত্থান পতনের পদধুলি।
- এম. মাহবুব মুকুল
জীব সৃষ্টির আদিযুগ থেকে ভাঙ্গা-গড়ার খেলা,
ধবংসের বুকে সৃষ্টি। অন্ধকার পেরিয়ে ওঠে বেলা।
খেলা খেলা, ধবংসের খেলা। খেলিছে কেবা!
শান্তির মাঝে কৃত্রিম দেয়াল গড়ায় যেবা।
মানব ইতিহাসের সময় কতো দ্রুত পাল্টায়,
প্রকৃতি দেখো টাইফুন সাইমুম ঝড়ে উল্টায়।
তীব্র ক্ষোভ! ভয়ঙ্কর ক্রোধ!! বিক্ষুব্ধ মানুষ!!!
ইট লোহা কংক্রিটে শক্ত প্রাচীর গড়ে ফানুস।
সেই কবে থেকে এ ইতিহাস জানি তুমি আমি,
হারিয়ে গিয়েছে বিশ্ব থেকে কতো মহারথি ভূস্বামী।
সেন-গুপ্ত-মৌর্য-পাঠান-বর্গী-মারাঠা-মোগল
উত্থান পতনের মাঝে শেষ, তাদের দখল।
চাপা উত্তেজনার বুকে, দুঃখ হতাশার সুর
দ্বিধা-দ্বন্দ্বের পরে শুরু হয় শান্তি চুক্তি সাক্ষর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে গড়ে ওঠে বার্লিন প্রাচীর,
১৯৯০ সারে ভাঙ্গল জার্মানীর ঐ শক্ত প্রাচীর।
বিশ্বে আজ কোথাও হয় মিলন। একত্রীকরণ,
আবার কোথাও দেখো ধবংসকে করে বরণ।
ঐ নব্বই সালে একদিকে জার্মানী একত্রী করণ,
পরমুহূর্তে বিলীন হলো সোভিযেত ইউনিয়ন।
স্বপ্ন আর বাস্তব দু’য়ের মধ্যে প্রভেদ বিস্তর,
বাস্তবের কঠিন মিলন, আবেগ স্বপ্ন কল্পনার।
মানুষের স্বপ্ন বেশী দিন স্থায়ী হয় না, বোধ হয়,
কোথাও ঘটে পূর্ণ আবার কোথাও শূন্য করে দেয়।
সময় বড় নির্মম! সময় অসময় মানে না,
হাসি কাঁন্নার কোন কিছুই সে ধার ধারে না।
বার্লিন, মস্কো, প্রাগ, বেলগ্রেড এসব শহর,
ওলোট-পালোট করা, ভাঙ্গা-গড়ার অন্তহীন বন্দর।
উত্থান-পতন অভ্যুদয় ধবংস-সৃষ্টির অনিশেষ নাটক,
বিশ্বের কিছু ধনিদেশ আজ সেজেছে ঘটক।
কোথাও চলছে যুদ্ধ আবার কোথাও হানাহানি,
কার ক্ষমতা কতো ! ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়ে করে প্রদর্শনী।
ভাঙ্গাগড়ার আবর্তে কোথায় কে তলাচ্ছে কে জানে?
দেশ জাতি সমাজ আতঙ্কিত, মারনাস্ত্রের ভয় জনমনে।
উত্থান পতন ধবংস বিপর্য়য়ে মানুষ লক্ষ্যহীন,
প্রিয়স্মৃতি প্রিয়মুখ হারিয়ে সমাজ আজ প্রীতিহীন।
বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, লিথুনিয়া ও শ্লোভাকিয়া
ভাঙ্গা গড়ার অজানা কাহিনী চলে ধামাচাপা দিয়া।
প্রতিদিন ঘটে ইতিহাসের নতুন নতুন সব ঘটনা,
ঐতিয্য ধবংস করে, নতুন ইতিহাস করে বর্ণনা।
রোমান, বলকান সম্রাজ্য, জারদের শাসন!
বৃটিশ-ফরাসীদের মাঝে কতো উত্থান-পতন।
এ বিশ্বের বুকে নিরীহ দূর্বল মানুষ নীরব সাক্ষী,
‘স্মৃতি বড়ো দূর্বল, বিস্মরণ পরায়ন’- বলে রক্ষী।
যা ঘটে, তাকেই বলে এই বুঝি এর শেষ !
পরমুহূর্তে রাখে আর এক ট্রাজেডির রেশ।
উত্থান-পতন, ভাঙ্গাগড়ার এ নিষ্ঠুর খেলা!
বিশ্ব জাতিসমূহকে রক্ষায় উঠাতে হবে বেলা।
পৃথিবীতে আজ যা ঘটছে, তা সময়ে প্রবাহমান,
সময় পেরিয়ে পরবর্তীতে রটে যায় তার দূর্নাম।
উত্থান-পতনের এ খেলা শেষ কোথায় গিয়ে ?
সময়ই জানে! প্রকৃতির মাঝে ধরণী থাকে ভয়ে।
বিশ্বের বুকে ইতহাস বিচিত্র নির্মম খেলা খেলে
জানি না! কোথায় শেষ হবে? কিসে সে ভোলে!
হেলায় খেলায় ধবংসের খেলায় মানুষ মারছে সর্বত্র
মানুষ মেরে বলে, সন্ত্রাস মেরেছি। আমরা অভিভূত!
মানব ইতিহাসও ক্ষণভঙ্গুর বিচিত্র তার ঘটনাবলী,
ধবংসের খেলায় বিশ্বভূমণ্ডলে উত্থান পতনের পদধুলি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Md. Rayhan Kazi ১০/০৮/২০২০কথামালায় নান্দনিকতার ছোঁয়া।
-
মোঃ মাহাবুবুর রহমান পথিক ০৯/০৮/২০২০অসাধারণ কবি।
-
সিন্ধু সেঁচে মুক্তা-আব্দুল কাদির মিয়া ০৮/০৮/২০২০দারুন
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৮/০৮/২০২০beautiful poem
-
ফয়জুল মহী ০৭/০৮/২০২০Wonderful pome
-
জানবক্স খান ০৭/০৮/২০২০দারুন কাব্য। কবিতার চেয়ে বেশী কিছু।