একটা নাটক বানাতে কি লাগে পর্ব ১
কারেন্ট নেই। পকেটও খালি। দুটো সিডি নিয়ে রাস্তায় হাঁটছি আর ভাবছি, একটা নাটক বানাতে কি লাগে !! হয়তো একটা মন মতন স্ক্রিপ্ট, কিছু চরিত্র আর হয়তো ব্যাংক ব্যালেন্স।
যখন থিয়েটার করতাম তখন লোকের মুখে দলের লিডারদের মুখে শুনতাম, শিল্পকলা হোক বা মুসলিম হল নাকি থিয়েটার পাড়া। সেরকম হয়তো কোন না কোন নাটক পাড়াও আছে পৃথিবীর কোন এক কোণায়। আমি দেখিনি তাই ঠোঁট কাঁপছে বলতে।
ভাবছি কিছু টাকা ধার করবো। উঁ..। ভাবছি কিছু টাকায় কি নাটক হয়? ধার যখন করবোই তাহলে বেশি টাকায় ধার করবো। আবার এটাও চিন্তার বিষয়, টাকা না হয় ধার করলাম কিন্তু স্ক্রিপ্ট পাবো কোথায়?
লোকে বলাবলি করছে তাপমাত্রা নাকি ৩৬ ডিগ্রী ছাড়িয়ে গেছে। তাইতো বলি ভেতরের গেঞ্জি কেন ভেজা ভেজা লাগছে। ভেজার কথা মনে পড়ে যাওয়ায় এখন কেমন প্যান্টটাও ভেজা লাগছে। তাতে কি? তাই বলে তো আর রাস্তায় ওপেন প্যান্টে চলাচল করতে পারি না। আগে পরে নাটক বানাতে যাচ্ছি আর এখন যদি মানুষ খোলা প্যান্টে আমাকে দেখে তাহলে এই উঠতি প্রোডিউসারের সম্মান কোথায় গিয়ে যে দাঁড়াবে ভাবতে পারছি না।
বাসায় বোন বড় বড় করে পড়ে শুনি, "অর্থই অনর্থের মূল"। পড়ার এই লাইনটা শুনলে গাঁ কেমন যেন গুলিয়ে উঠে। আরে পড়ার ঐ লাইনটা হওয়া উচিত ছিল "অনর্থই অর্থের মূল"। যদি পকেট ভর্তি টাকা থাকত তাহলে কি সন্ত্রাসী ভাড়া করে অমিতের বাবার মানি ব্যাগ হাতাতে পারতো অমিত!! আরে কাল্লু ভিল্লু ঝিল্লুর মত দাগী ভিলেনকে কি ভাড়া করা যেত? যেত না। যাকগে সে সব কথা। এখন থেকে শর্ট ক্যামেরা লাইট নিয়ে চিন্তা করতে হবে আমাকে।
ঘরে ফিরে মায়ের সাথে
একেতো কারেন্ট নেই তার উপর হাত পাখার হাত নেই। এভাবে কি জীবন চলে? মা, এই মা, খেতে দেন, খুদা লেগেছে।
মাঃ কি খাবি?
এককাপ চা আর দুইটা পরটা।
মাঃ কি? পরটা!! হুঁ বুঝলাম। নতুন কোনো ভুত আছড় করেছে তোর মাথায়। মাঝখানে কিছুদিন ব্যান্ড-ট্যান্ড করবি বলে কিসব আবুল-তাবুল গান তুলেছিলি আবার চুলও রেখেছিলি এত্ত বড় বড়। শেষ-মেষ কি হলো...? লোকেই তোর ব্যান্ড বাজিয়ে দিল। আজ আবার নতুন ভুত ভড় করলো তোর শরীরে।
বন্ধুর সাথে টেলিফোনে
দোস্ত ভাবছি কাল একবার অপারেশনে বের হবো।
বন্ধুঃ কি যে বলিসনা তুই। ডাক্তার আমি আর অপারেশনে বের হোবি তুই। হো হো হো হা হা হা আ।
দিলি তো পুরো মোডটা নষ্ট করে। ভাবছি, আমার আসছে নাটকে আমি ভিলেনের অভিনয় করব তাই তার প্র্যাকটিস করছিলাম। কিন্তু তোর ঐ মহিষাসুরের হাসি শুনে আমার মুডটার বারোটা বাজিয়ে দিলি। রাবিস।
যখন থিয়েটার করতাম তখন লোকের মুখে দলের লিডারদের মুখে শুনতাম, শিল্পকলা হোক বা মুসলিম হল নাকি থিয়েটার পাড়া। সেরকম হয়তো কোন না কোন নাটক পাড়াও আছে পৃথিবীর কোন এক কোণায়। আমি দেখিনি তাই ঠোঁট কাঁপছে বলতে।
ভাবছি কিছু টাকা ধার করবো। উঁ..। ভাবছি কিছু টাকায় কি নাটক হয়? ধার যখন করবোই তাহলে বেশি টাকায় ধার করবো। আবার এটাও চিন্তার বিষয়, টাকা না হয় ধার করলাম কিন্তু স্ক্রিপ্ট পাবো কোথায়?
লোকে বলাবলি করছে তাপমাত্রা নাকি ৩৬ ডিগ্রী ছাড়িয়ে গেছে। তাইতো বলি ভেতরের গেঞ্জি কেন ভেজা ভেজা লাগছে। ভেজার কথা মনে পড়ে যাওয়ায় এখন কেমন প্যান্টটাও ভেজা লাগছে। তাতে কি? তাই বলে তো আর রাস্তায় ওপেন প্যান্টে চলাচল করতে পারি না। আগে পরে নাটক বানাতে যাচ্ছি আর এখন যদি মানুষ খোলা প্যান্টে আমাকে দেখে তাহলে এই উঠতি প্রোডিউসারের সম্মান কোথায় গিয়ে যে দাঁড়াবে ভাবতে পারছি না।
বাসায় বোন বড় বড় করে পড়ে শুনি, "অর্থই অনর্থের মূল"। পড়ার এই লাইনটা শুনলে গাঁ কেমন যেন গুলিয়ে উঠে। আরে পড়ার ঐ লাইনটা হওয়া উচিত ছিল "অনর্থই অর্থের মূল"। যদি পকেট ভর্তি টাকা থাকত তাহলে কি সন্ত্রাসী ভাড়া করে অমিতের বাবার মানি ব্যাগ হাতাতে পারতো অমিত!! আরে কাল্লু ভিল্লু ঝিল্লুর মত দাগী ভিলেনকে কি ভাড়া করা যেত? যেত না। যাকগে সে সব কথা। এখন থেকে শর্ট ক্যামেরা লাইট নিয়ে চিন্তা করতে হবে আমাকে।
ঘরে ফিরে মায়ের সাথে
একেতো কারেন্ট নেই তার উপর হাত পাখার হাত নেই। এভাবে কি জীবন চলে? মা, এই মা, খেতে দেন, খুদা লেগেছে।
মাঃ কি খাবি?
এককাপ চা আর দুইটা পরটা।
মাঃ কি? পরটা!! হুঁ বুঝলাম। নতুন কোনো ভুত আছড় করেছে তোর মাথায়। মাঝখানে কিছুদিন ব্যান্ড-ট্যান্ড করবি বলে কিসব আবুল-তাবুল গান তুলেছিলি আবার চুলও রেখেছিলি এত্ত বড় বড়। শেষ-মেষ কি হলো...? লোকেই তোর ব্যান্ড বাজিয়ে দিল। আজ আবার নতুন ভুত ভড় করলো তোর শরীরে।
বন্ধুর সাথে টেলিফোনে
দোস্ত ভাবছি কাল একবার অপারেশনে বের হবো।
বন্ধুঃ কি যে বলিসনা তুই। ডাক্তার আমি আর অপারেশনে বের হোবি তুই। হো হো হো হা হা হা আ।
দিলি তো পুরো মোডটা নষ্ট করে। ভাবছি, আমার আসছে নাটকে আমি ভিলেনের অভিনয় করব তাই তার প্র্যাকটিস করছিলাম। কিন্তু তোর ঐ মহিষাসুরের হাসি শুনে আমার মুডটার বারোটা বাজিয়ে দিলি। রাবিস।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।